thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

নড়াইল সদর হাসপাতালের ৪ চিকিৎসক ওএসডি

২০১৯ এপ্রিল ২৯ ১০:৪৬:২৬
নড়াইল সদর হাসপাতালের ৪ চিকিৎসক ওএসডি

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল জেলা সদর হাসপাতালের চার চিকিৎসককে ওএসডি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকায় একইসঙ্গে চার চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হঠাৎ ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এই চার চিকিৎসককে উপস্থিত না পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিলো।

রোববার (২৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই চার চিকিৎসককে ওএসডি করার কথা জানানো হয়। একই দিনেই তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা নাসরীন ওই প্রজ্ঞাপন ও নোটিশে সই করেছেন।

ওএসডি চার চিকিৎসক হলেন— হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. মো. আখতার হোসেন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. শওকত আলী, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. রবিউল আলম ও মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম সায়েম।
তাদের ওএসডি করার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালীতে ওএসডি করা হয়েছে। আদেশ জারির সাত কর্মদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। তা না হলে এই কর্মস্থল থেকে তারা তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন।

এছাড়া, চার চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, তারা গত ২৪ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল নড়াইল সদর হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টিকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী ‘অসদাচরণের সামিল’। তাদের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতেও বলা হয়েছে। কারণ দর্শাতে তিন কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে আকস্মিক নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মাশরাফি। কিন্তু সেদিন সেখানে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে পাননি তিনি। এমনকি নার্সও ছিলেন মাত্র দু’জন। তিনি হাজিরা খাতায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের হাজিরাও দেখতে পাননি। অনুপস্থিত কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিন্তু তারা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ২৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর