thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি 25, ২৬ মাঘ ১৪৩১,  ১০ শাবান 1446

মধ্যরাত থেকে সকালের মধ্যে আঘাত

 

গতিবেগ কমেছে ‘ফণী’র

২০১৯ মে ০৪ ০০:১৫:৪৮
গতিবেগ কমেছে ‘ফণী’র

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। শুক্রবার (৩ মে) বিকেলের দিকে এই ঝড়ের গতিবেগ যেখানে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, সেখানে রাত ১০টার পর এর গতি ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে নেমে আসে। আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে খুলনা ও আশপাশের এলাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে যে কোনো সময় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের ওডিশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় ওডিশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ‘ফণী কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। আগে যা ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।

এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফণীর অগ্রসর অংশের প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার (৪ মে) সকাল এর মধ্যে ঝড়ের মূল অংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে আগের মতোই ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর,বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও বুলেটিনে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/টিআইএম/০৩মে ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর