thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

বগুড়ায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৫

২০১৯ জুন ১৭ ২০:২১:২১
বগুড়ায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৫

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার একটি গ্রামে বিএনপির স্থানীয় অফিসকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিনহাজের অন্তত ৫ সমর্থক আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিনহাজের ভাই মোখলেস শাখারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। শোখলেসের সহযোগিতায় সেখানকার বিএনপি অফিসটি স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজের আপেল মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের সমর্থকরা সেখানে ভোটের প্রচারে গেলে বিষয়টি তাদের নজরে পড়ে। এরপর স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়কে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহারের কারণ জানতে চায় মিনহাজের সমর্থকদের কাছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথাটাকাটি এবং পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ধানের শীষের সমর্থক আরিফুর রহমান আরিফ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিফাত আল আমিন এবং আপেল মার্কার কর্মী আপেল ও মাসুদ আহত হন।

বিএনপি নেতা মাফতুন আহমেদ খান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচবাড়িয়া এলাকায় তাদের দলীয় কার্যালয়কে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (আপেল মার্কা) নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালায়।

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিনহাজের অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীরা কোনো কারণ ছাড়াই তার সমর্থদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হামলাকারীরা আমাকেও মারধর করেছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, বিএনপি অফিসকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দু’জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাদের কোনো সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। ওই ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। তবে খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ১৭,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর