thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

মোস্তাফিজ ঝলকে যে রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান

২০১৯ জুলাই ০৫ ১৯:৩১:১৬
মোস্তাফিজ ঝলকে যে রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: একটা সময় ২ উইকেটেই ২৪৬ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। তখনও ৮ ওভারের মতো বাকি। পাকিস্তানের সামনে ৩৩০-৩৪০ করার সুযোগ ছিল। তবে শেষ পাওয়ার প্লেতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানের উইকেট একটার পর একটা তুলে নিতে থাকেন টাইগার বোলাররা।

শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তান তুলতে পেরেছে ৮৫ রান। তবে উইকেট হারিয়েছে ৭টি। এর মধ্যে ৫টিই নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৫০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১৫ রান। অর্থাৎ জিততে হলে ৩১৬ রান করতে হবে টাইগারদের।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশ অস্বস্তিতেই ছিল তারা। স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়ে বোলিং উদ্বোধন করান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি।

প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান দেন মিরাজ। ৭ ওভারে আসে মাত্র ২৩ রান। ইনিংসের অষ্টম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফাখর জামানকে মিরাজের ক্যাচ বানান সাইফউদ্দীন।

কিন্তু এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে তুলেন ইমাম উল হক আর বাবর আজম। ১৫৭ রানের এই জুটিটি ভাঙেন সেই সাইফউদ্দীনই। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া বাবর আজমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন টাইগার পেসার। ৯৮ বলে ১১ বাউন্ডডারিতে বাবর তখন ৯৬ রানে।

তবে ১৮০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আরও একটি জুটি পায় পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে ইমাম আর মোহাম্মদ হাফিজ তুলেন ৬৬ রান। এই জুটি ভাঙার পরই বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা।

ইমাম উল হক সবেমাত্র সেঞ্চুরিটা তুলেছেন। এক বল পরই মোস্তাফিজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে হিটউইকেট হন পাকিস্তানি ওপেনার। ১০০ বল মোকাবেলায় গড়া তার কাটায় কাটায় ১০০ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি বাউন্ডারির মার।

পরের ওভারে এসে মেহেদী মিরাজ তুলে নেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান হাফিজকে (২৭)। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে সাকিবের সহজ ক্যাচ হন তিনি।

১০০তম ওয়ানডে উইকেট হাত দিয়ে ডাকছিল মোস্তাফিজকে। খুব বেশি দেরি করেননি কাটার মাস্টার। আগের ওভারে ইমামকে ফিরিয়েছেন, পরের ওভারে হারিস সোহেলকে (৬) সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করেন মোস্তাফিজ।

এর মধ্যে আবার সাউফউদ্দীনের ইয়র্কারে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (২)। ওয়াহাব রিয়াজকেও (২) ফেরান এই পেসারই, দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড করে। তবে ইমাদ ওয়াসিম একটা প্রান্ত ধরে মেরে খেলছিলেন।

৪৮তম ওভারের প্রথম বলেই অসাধারণ ক্যাচ ধরেন মোস্তাফিজ। টাইগার পেসারকে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়েছিলেন শাদাব খান। এক হাতে দুর্দান্ত এক ফিরতি ক্যাচ নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন মোস্তাফিজ।

তবে পাকিস্তানের কাজের কাজটা করে দিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম। ২৬ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৪৩ রানের এক ঝড় তুলে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের শিকার হন তিনি।

এই মোস্তাফিজই ইনিংস শেষে টাইগারদের সেরা বোলার। ৭৫ রান খরচ করলেও তার নামের পাশে ৫টি উইকেট। ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০৫,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

খেলা এর সর্বশেষ খবর

খেলা - এর সব খবর