thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদ পেতেছে জঙ্গিরা

২০১৯ জুলাই ০৯ ২১:০৬:৪২
ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদ পেতেছে জঙ্গিরা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের একটি কলেজে বিবিএ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী সাফিয়া আক্তার তানজী। ফেসবুকে একটি গ্রুপের মাধ্যমে পরিচয় হয় বরিশালের বাসিন্দা সহিফুল ওরফে সাইফের সঙ্গে। এরপর পরিচয় রূপ নেয় প্রণয়ে।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাফিয়াকে চট্টগ্রাম থেকে বরিশালে ডেকে পাঠান সাইফ। আসলে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে পাঠানোর প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে অন্তর্ভুক্তি করা।

সোমবার দিনগত রাতে বরিশালের একটি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে সাফিয়াকেসহ জান্নাতুল নাঈমা (২২) নামে এক নারী জঙ্গিকে আটক করে র‌্যাব-২।

পরে মঙ্গলবার সকালে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে আফজাল হোসেনকে (২৩) আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন এন্ড গণমাধ্যম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।

তিনি জানান, গত ২৬ জুন চট্টগ্রাম থেকে বিবিএ শিক্ষার্থী সাফিয়া নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ছায়াতদন্তের ভিত্তিতে সোমবার দিনগত রাতে বরিশালের একটি মাদ্রাসা থেকে সাফিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য নাঈমাকে আটক করা হয়।

সাফিয়ার সঙ্গে ফেসবুকে নাঈমাসহ বেশ কয়েকজন মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। সেখানে একটি গ্রুপে নাঈমার ফেসবুক বন্ধু বরিশালের সাইফেরর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। নাঈমা ও অন্যান্য কয়েকজনের প্ররোচনায় সাইফের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।

এরপর সাইফকে বিয়ে করার জন্য গত ২৬ জুন নাঈমার সঙ্গে বরিশালের উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়েন সাফিয়া। বরিশালে পৌঁছানোর পর প্রেমিক সাইফ তাকে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। মাদ্রাসায় অবস্থানকালীন সময়ে বিয়ের প্ররোচণায় তাকে জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ করা হয়।

আটক নাঈমাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি চট্রগ্রামের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তিনি ফেসবুকের একটি গ্রুপে বিভিন্ন নারী সদস্যদের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। জঙ্গি সংগঠনটির মহিলা সদস্য বৃদ্ধিতে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাকে সংগঠনে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।

সাইফকে বিবাহ করার জন্য কুরআন হিফজ করার শর্ত সাফিয়ার উপর জুড়ে দেয়। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা ও সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাফিয়াকে বরিশালে নিয়ে যান। নিজের বোন পরিচয় দিয়ে একটি মাদ্রাসায় সাফিয়াকে ভর্তিও করিয়ে দেন নাঈমা।

এমরানুল হাসান আরো বলেন, আটক আফজাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে রাজধানী ঢাকার নিকটস্থ একটি এলাকার স্থানীয় সংগঠক। নাঈমা সংগঠনের নির্দেশনা অনুসারে মহিলা সদস্যদের দলে অন্তর্ভূক্তিসহ নারী সদস্যদের দিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৯,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর