thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

আরাফাতের ময়দানে 'রহমতের' বৃষ্টিতে ভিজেছেন হাজিরা

২০১৯ আগস্ট ১১ ১০:১১:৫৫
আরাফাতের ময়দানে 'রহমতের' বৃষ্টিতে ভিজেছেন হাজিরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করার হাজিদের কান্নার পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল শনিবার। কৃত অন্যায়ের জন্য বিনীত হৃদয়ের প্রার্থণা কবুল করে তাদের সান্ত্বনা দিতেই যেন স্রষ্টা বৃষ্টি ঝরিয়েছিলেন। আরাফাতের ময়দানে আসা হাজিদের স্রষ্টার ক্ষমার ঘোষণার জন্যই একে ডাকা হয় ‘ক্ষমার পাহাড়’ নামে।

শনিবার ছিল ৯ জিলহজ। হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা ফরজ হুকুমগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ৯ জিলহজ আরফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান। হজের সেই বিধান পালনের জন্য মিনা থেকে ভোরেই মিনা থেকে রওনা দিয়েছিলেন হাজিরা। দুপুরের দিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় রাস্তাগুলোতে পানি উঠে যায় এবং আরাফাতের ময়দানের বিভিন্নস্থানে থাকা ডোবাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে যায়।

বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরপর কেউ দৌড় দেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। তবে অনেকেই ছুটে যায় রাস্তায় প্রার্থণার জন্য। আরফাতের ময়দানে থাকা অনেক হাজি এসময় বিগলিত অন্তরে প্রার্থণা শুরু করেন। মুসলমানদের মধ্যে প্রচলতি সাধারণ বিশ্বাস হচ্ছে, আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালে বৃষ্টি হওয়ার মানে হচ্ছে দোয়া কবুল হওয়ার ইঙ্গিত।

ঘাদা আল-জোহর নামে এক হাজি তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন,‘প্রথমবার আমি হজে এসেছি। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরপর আমি বাইরে ছুটে গিয়েছি, আমি কেঁদেছি। টেলিভিশনে হজের সময় যখন বৃষ্টি হতে দেখতাম তখন ভাবতাম, এরা কত না ভাগ্যবান। গত বছর হজে আসা আমার এক বান্ধবী আমাকে এখানে আসার কথা বলেছিল। তাই আমি এখানে এসেছি। আমার দোয়া কবুল হয়েছে।’

এদিকে গতকাল সূর্যাস্তের পর হাজিরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আজ ১০ জিলহজ তারা মিনায় প্রত্যাবর্তন করবেন। এর পর তারা শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি , মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা এবং তাওয়াফে জিয়ারত করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

ধর্ম এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম - এর সব খবর