দুই সিন্ডিকেটের কারসাজি: চামড়ার বাজারে বিপর্যয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার। তারল্য সংকটের অজুহাত তোলা হলেও বিপর্যয়ের মূল কারণ দুই সিন্ডিকেটের কারসাজি।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ন্যায্য দাম না পেয়ে লক্ষাধিক পিস পশুর চামড়া ফেলে দেয়। যার অধিকাংশই মাটির নিচে চাপা দেয়া হয়। কিছু ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। রাস্তায় ফেলে যাওয়া চামড়া পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ক্ষুব্ধ মৌসুমি ব্যবসায়ী ও কোরবানি দাতাদের নব্য প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত টনক নড়ে সরকারের। বিপুলসংখ্যক চামড়া নষ্ট করে ফেলায় এ খাতের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এ পরিস্থিতিতে ঈদের পর দিনই তড়িঘড়ি কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এবার লবণ ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেটও এর সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈদের রাতে সাতশ’ টাকা বস্তার (৬০ কেজি) লবণ বিক্রি হয় ১২৫০ টাকায়। বিদ্যমান অন্যান্য সংকটের সঙ্গে যোগ হচ্ছে চামড়া সমস্যা। মহলবিশেষ শঙ্কা প্রকাশ করে বলে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। কাজেই তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
শনিবার থেকে কাঁচা চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চামড়ার দামে কারসাজি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ট্যানারি মালিকদের পর্যাপ্ত টাকা দেয়া হয়েছে। কাজেই তারল্য সংকটের অজুহাত মেনে নেয়ার মতো নয়।
এটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে চামড়ার দাম কমেছে। সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। এদিন সারা দেশে লাখ লাখ পশু কোরবানি হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে দু’টি সিন্ডিকেট সব সময় সক্রিয়। এর একটি ট্যানারি মালিক পক্ষ অপরটি আড়তদারের পক্ষ। চামড়ার বাজারে এবারের অবস্থার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা ফায়দা লুটছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবছরই একে অপরকে দোষারোপ করে পার পেয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিঃস্ব হয় মৌসুমি ব্যবসায়ী, বঞ্চিত হয় কোরবানিদাতা এবং গরিব ও এতিমরা। সিন্ডিকেট গরিব এতিমদের ভাগে থাবা বসিয়েছে। উল্লেখ্য, চামড়া বিক্রির টাকা দুস্থ গরিব এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে।
চামড়ার বাজারে ধস নামার কারণে দরিদ্র মানুষগুলো মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে কম দামে চামড়া কিনে মোটা অঙ্কের মুনাফা করবে ট্যানারির মালিক ও আড়তদাররা। এখন কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি মেলায় শত শত কোটি টাকার অতিরিক্ত লাভ হাতিয়ে নেবে এ চক্রটি।
জানা গেছে, ট্যানারি শিল্পের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ পূরণ হয় কোরবানির ঈদে। এই ৬০ শতাংশের চামড়ার বাজার থেকে বেশি মুনাফার আশায় মূল্য বেঁধে দেয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও তাই করা হয়েছে। এটি করা হয় সরকারকে সঙ্গে নিয়েই। অথচ সারা বছর ৪০ শতাংশ সংগ্রহকৃত চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়া হয় না।
প্রশ্ন উঠেছে কার স্বার্থে কোরবানির চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়া হয়। মূল্য বেঁধে দেয়া হলেও দেশের ভেতর চামড়াজাত পণ্যের দাম কমছে না। এক জোড়া চামড়া জুতা এখনও কমপক্ষে ছয় থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সিন্ডিকেট ব্যস্ত থাকে কত কম দামে চামড়া নিজের ট্যানারিতে ঢোকানো যায় তা নিয়ে।
অপরদিকে ট্যানারির মালিকদের কাছে সারা দেশের আড়তদারদের পাওয়া ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকা ঈদের আগেই শোধ দেয়ার কথা। এজন্য ট্যানারি
মালিকদের ব্যাংক ঋণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এ সুযোগে আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে মাঠ পর্যায়ে চামড়া কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে মৌসুমি ক্রেতা ও কোরবানিদাতাদের চামড়া বিক্রির জায়গা ছিল না। সারা দেশের আড়তগুলো থেকে একই কথা বলা হয়েছে তারল্য সংকট। এজন্য চামড়া কেনা যাচ্ছে না। বিশ্লেষকদের মতে আড়তদারদের সিন্ডিকেটের বিষয়টি এক্ষেত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এর সঙ্গে এবার আরও একটি সিন্ডিকেট যোগ হয়েছে। সেটি হচ্ছে কতিপয় লবণ ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট। ঈদের রাতে এক বস্তা (৬০ কেজি) লবণের দাম ১২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।
অথচ এক সপ্তাহ আগে অর্ধেক দামে বিক্রি করা হয়েছে। লবণের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অনেকে চামড়া কিনতে সাহস পায়নি। চামড়ার বাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের এটাও একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, সারা বছর চামড়া কেনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেয়া হয় না। অথচ ঈদের সময় দাম বেঁধে দেয়া হচ্ছে। এতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে।
১০ টাকার ছাগলের চামড়ায় লবণ মেশাতে শ্রমিকদের মজুরি গুনতে হয় ২০ টাকা, দুই ফুট ছাগলের চামড়া প্রায় এক কেজির ওপর লবণ মেশাতে হবে। পাশাপাশি এটি হেমায়েতপুর নেয়া পর্যন্ত পরিবহন ভাড়া রয়েছে।
এসব হিসাব করে দেখা গেছে সরকারের নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দাম হয়ে যা। ফলে অনেক ব্যবসায়ী দাম কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। অথচ দাম বেঁধে না দিলে তারা মুক্ত বাজারে কেনা বেচার সুযোগ পেতেন।
চাহিদা এবং পণ্যের মানের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হতো। এ শিল্পের ক্ষেত্রে যা আগে প্রযোজ্য ছিল।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বুধবার বলেন, চামড়ার বাজারে এই অস্থিতিশীলতার জন্য আড়তদারগণ দায়ী। কারণ ট্যানারির মালিক পক্ষ আগামী ২০ আগস্ট থেকে লবণযুক্ত চামড়া কিনবে। এখন কিনছে আড়তদাররা। তিনি আরও বলেন, সারা বছর দাম বেঁধে দেয়া হয় না।
শুধু কোরবানিতে দেয়া কারণ যাতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল না করে। এখন যে পরিস্থিতি দাম বেঁধে না দিলেও চলবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার মূল্য কম।
এসব দিক বিবেচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ কমে কোরবানির পশুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয়েছে।
এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া মাত্র ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাত্র ৬০ টাকায়ও গরুর চামড়া বিক্রির রেকর্ড হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ ৫০০ টাকায় গরুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয়। আর একটি ছাগলের চামড়া ২০ টাকা ও বকরির চামড়া ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের দিন সোমবার ও পরের দিন মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে পশুর চামড়ার দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
ঈদের দিন শুরু থেকে কোরবানিদাতারা চামড়া বিক্রির লোক খুঁজে পায়নি। যারা বিক্রি করতে পেরেছেন তাও নামমাত্র মূল্যে। ন্যায্যমূল্যে না পেয়ে অনেক মাদ্রাসা ও এতিমখানার, লোকজনকে বিনা পয়সায় দিয়েছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ গজমহলের বাসিন্দা এনাম হোসেন সায়েম জানান, পাঁচটি গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ২ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, সরকার চামড়ার মূল্য বেঁধে দেয়ার পরও নির্ধারিত মূল্যে কেনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, চামড়া রফতানি করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে। কিন্তু এ বছর অনেক চামড়া মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়। সরকার এ খাতে ওয়েট ব্ল– চামড়া রফতানির অনুমোদন দিতে পারে। এটি চালু হলে চামড়ার মূল্য বাড়বে। কারণ তখন চামড়া খুঁজে খুঁজে সবাই কিনবে।
জানা গেছে, দাম না পেয়ে চটগ্রামে ১ লাখ পিস চামড়া রাস্তায় ফেলে দেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সিটি কর্পোরেশন তা মাটির নিচে পুঁতে ফেলে। সিলেটে রাস্তায় ফেলে দেয়া ২০ ট্রাক চামড়া পরিষ্কার করেছে সিটি কর্পোরেশন। আর ফতুল্লায় কয়েক হাজার চামড়া রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। এই পচা চামড়া সরাতে সীমানা নিয়ে দুই কর্পোরেশনের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো চিত্রে দেখা যায়, নদীতে মাছের খাবার হিসেবে কেটে চামড়া ফেলে দিয়েছে, অনেকে প্রবহমান নদীর পানিতে ফেলে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেক কোরবানিদাতা নিজেই মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন।
সৈয়দপুরে ৮০০ পিস চামড়া মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলা হয়। জানতে চাইলে ‘বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ)’ সভাপতি হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন বুধবার জানান, চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন ট্যানারি মালিকরা, রফতানি করছেন তারা। কিন্তু বাজার অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে আড়তদারদের।
আড়ত মালিকরা ৩০০ কোটি টাকা পাবে ট্যানারিগুলোর কাছে। ঈদের আগে মাত্র ৩টি ট্যানারি শতভাগ পাওনা পরিশোধ করেছে। ৭টি ট্যানারি ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পাওনা দিয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ ট্যানারির মালিক বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি। তিনি আরও বলেন, সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমোতি দিয়েছে। এখন চেষ্টা করা হবে কাঁচা চামড়া রফতানির।
সাভার প্রতিনিধি জানান, ট্যানারি শিল্প এলাকায় বুধবার সকালে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা চামড়ায় লবণ না দিয়েই ঈদের দিন রাতে ট্রাকে করে চামড়া নিয়ে এসেছেন। বিক্রি করতে না পেরে চামড়া ট্রাকেই রেখেছেন। জায়গার অভাবে কোথাও নামাতেও পারছেন না, অন্যদিকে ট্রাকের ভাড়াও বেড়েছে দ্বিগুণ।
সাভার ট্যানারির এএস লেদারের পক্ষে চামড়া কিনছেন গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, চামড়া ভালো হলে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত চামড়া কেনা হয়েছে পাঁচ হাজারে উপরে। তিনি আশা করছেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে লবণ দেয়া কাঁচা চামড়া এসে পৌঁছবে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস জানায়, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে চামড়া ফেলে চোখের পানি মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ধরনের অন্তত এক লাখ চামড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ট্রাকে তুলে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পুঁতে ফেলেছে। চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি এবার সাড়ে পাঁচ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশের মতো চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রধান শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যীশু বলেন, ‘বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো ও মুরাদপুর এলাকা থেকে প্রায় ৭০ ট্রাকে ১ লাখ পিসের মতো চামড়া আমরা অপসারণ করেছি।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আরেফিন নগর এলাকায় এবং হালিশহরের আনন্দবাজারে আমাদের নির্দিষ্ট আবর্জনার ভাগাড়ে তা পুঁতে ফেলা হয়েছে। সিলেট ব্যুরো জানায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস চামড়ার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি।
এমনকি অনেক ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া কিনতেও রাজি না হওয়ায় রাস্তায় চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানানো হয়। সিসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, ‘নগরী থেকে প্রায় ২০ ট্রাক চামড়া ডাম্পিং করা হয়েছে। ঈদের দিন বিক্রি করতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন মোড়ে এসব চামড়া রাখা ছিল। পরে সেগুলো ডাম্পিং করা হয়।’
কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া কেনার লোক না পাওয়ায় বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানানো হয়। রাজশাহী, যশোর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, পিরোজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ফতুল্লাহসহ দেশের প্রায় সব জেলায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
গরু-ছাগলের চামড়া কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। চাপাচাপির মুখে পানির দামে কিনেছেন। গরুর চামড়া দুই থেকে আড়াইশ টাকায়। কোথাও এর চেয়েও কম। ছাগলের চামড়া ১০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে বলে বিভিন্ন ব্যুরো অফিস এবং প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত : ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে কাঁচা চামড়ার গুণাগুণ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন : কাঁচা চামড়া রফতানির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ট্যানারি মালিকদের অ্যাসোসিয়েশন বিটিএ।
বুধবার ধানমণ্ডির নিজস্ব অফিসে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সেখানে বিটিএ’র সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা জেনেছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দিতে যাচ্ছে।
এতে শতভাগ দেশীয় এ শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। সাভারের আধুনিক চামড়া শিল্পনগরী প্রয়োজনীয় কাঁচা চামড়ার অভাবে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়বে। এতে হুমকির মধ্যে পড়বে এ শিল্পনগরীতে ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১৫, ২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- কাট্টলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিআইডিকে ‘নির্দেশ’
- ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু
- তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
- চিন্ময়কাণ্ডে পুলিশের ৩ মামলা, আসামি ১৪৭৬
- সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
- মারবা? পারবা না, শহীদেরা মরে না: হাসনাত-সারজিস
- হাসনাত-সারজিসকে ‘হত্যাচেষ্টা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ৪ দফা ঘোষণা
- "শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করুন, না হয় জনগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে"
- "শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হবে"
- গাজায় একদিনে আরও ৩৩ প্রাণহানি, মোট নিহত প্রায় ৪৪ হাজার ৩০০
- চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ঢাকায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
- স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারের জামিন
- মার্কিন দূতাবাসে খালেদা জিয়া
- টিসিবির পণ্য পাবেন ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক
- সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিএনপির মহাসচিব
- চাঁদাবাজির মামলায় তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি
- আইনজীবী হত্যা: রাতভর যৌথবাহিনীর অভিযানে ২৭ জন আটক
- ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম
- আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল
- ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে: হেফাজত আমীর
- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
- "আইনজীবী হত্যায় আটক ৬ জন ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত"
- "আইনজীবী হত্যায় আটক ৬ জন ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত"
- ডেঙ্গুতে আরো ১০ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯০
- ২০১ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো উইন্ডিজ
- পুঁজিবাজারে দরপতন: মতিঝিলে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
- "আইনজীবী হত্যায় জড়িত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি হবে"
- স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে: তারেক রহমান
- আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- চট্টগ্রামে আদালতের অদূরে আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা
- অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: মির্জা ফখরুল
- চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পর বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিসিএমআইএ’র ১২ দাবি
- ট্রাম্পের নামে করা মামলা খারিজ
- তাসকিনের ৬ উইকেট, বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৩৪
- সংবিধান সংস্কার নিয়ে মতামত দিয়েছেন ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ
- বিমানবন্দর থেকে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেপ্তার
- শান্তিনগর থেকে অহিংস গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক মাহবুবুল গ্রেপ্তার
- অনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায়: মাহফুজ আলম
- মোল্লা কলেজে ছাত্রবেশে পরিকল্পিত হামলা: পুলিশ
- নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হলেন সারজিসসহ আরও ৪৫ জন
- সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
- সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত করল ঢাবি
- সরকারে শরিকানা নিশ্চিতে কিছু বাম-ডান উন্মত্ত হয়ে গেছে : মাহফুজ
- ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ে বৈঠকের ডাক বৈষম্যবিরোধীদের
- হামলা-সহিংসতায় কারও ইন্ধন থাকলে কঠোর হাতে দমন : প্রেস সচিব
- কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ
- তিন কলেজের সংঘাত : গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩৫ জন ঢামেকে
- সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই: তারেক রহমান
- এআইবি পিএলসির স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি সই
- চট্টগ্রামের রাউজানে ইসলামী ব্যাংকের পথেরহাট শাখা উদ্বোধন
- মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান
- এআইবি পিএলসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
- ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ফলোঅন এড়ানোর স্বস্তি
- মিউচুয়াল ফান্ডের বিকাশ: অ্যাসেট ম্যানেজারদের সঙ্গে বসবে বিএসইসি
- ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জন নিহত
- গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
- কমিশনের সুপারিশে ২২ কর্মকর্তা বরখাস্তের খবর ভুয়া
- ২৬ সাংবাদিকসহ ২৯ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
- এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’
- ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ঢুকতে মানা
- ঢাকা পলিটেকনিক-বুটেক্স শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ২৮
- "নির্বাচন কবে সেই তারিখ প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা হবে"
- নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে: তারেক রহমান
- নারায়ণগঞ্জে পেপার মিলে অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ১১
- দারুণ শুরুর পর হতাশার দিন বাংলাদেশের
- নিউ এজ সম্পাদককে হয়রানি: অভিযুক্তকে প্রত্যাহার, এসবির দুঃখপ্রকাশ
- ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার
- তাজরীন ট্রাজেডির এক যুগ
- বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- যুক্তরাজ্যের প্রেস মিনিস্টার হলেন আকবর হোসেন
- তাজরীন ট্রাজেডির এক যুগ
- ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ঢুকতে মানা
- ফলোঅন এড়ানোর স্বস্তি
- বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- কমিশনের সুপারিশে ২২ কর্মকর্তা বরখাস্তের খবর ভুয়া
- মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৭৫ প্রাণ
- ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- গায়ানার স্কোয়াডে যোগ দিলেন সাকিব
- শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তত আছে: পুতিন
- ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি সই
- এআইবি পিএলসির স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
- না ভোট ফিরিয়ে আনাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন
- শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা
- নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হলেন সারজিসসহ আরও ৪৫ জন
- তিন কলেজের সংঘাত : গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩৫ জন ঢামেকে
- প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
- সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
- সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত করল ঢাবি
- হামলা-সহিংসতায় কারও ইন্ধন থাকলে কঠোর হাতে দমন : প্রেস সচিব
- গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- ট্রাম্পের নামে করা মামলা খারিজ
- ঢাকা পলিটেকনিক-বুটেক্স শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ২৮
- "নির্বাচন কবে সেই তারিখ প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা হবে"