thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি 25, ২৯ মাঘ ১৪৩১,  ১২ শাবান 1446

মিয়ানমারের মিথ্যাচারে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ

২০১৯ অক্টোবর ৩০ ১৬:৫১:৩৮
মিয়ানমারের মিথ্যাচারে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের প্রতিনিয়ত মিথ্যা অপপ্রচারের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসানকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা বিষয়টি উত্থাপন করেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের মন্ত্রী চ তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করলে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চ তিন তার মন্তব্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আরসা বা অন্য কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে জিরো টলারেন্স। রাখাইনে কয়েকজন রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়া সম্পর্কে মিয়ানমার যে দাবি করেছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয়রত ১০ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনও সম্পর্ক নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার যেন এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করে বাংলাদেশের প্রস্তাবে রাজি হয়ে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করে।

গত ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। তাদের সঙ্গে রয়েছেন ১৯৮২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নানা অজুহাতে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া আরও অন্তত সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। একই বছরের ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে আবারও হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানোয় ব্যর্থ হয় ওই উদ্যোগ।

সর্বশেষ চলতি বছরের জুলাই মাসে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে নতুন করে উদ্যোগের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। ১৫ সদস্যের দলটি দুই দিন ধরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক করে। এসব বৈঠকে রোহিঙ্গাদের তরফে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ও চলাফেরায় স্বাধীনতার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ৩০,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর