thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

আবরার হত্যার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হবে : আইনমন্ত্রী

২০১৯ নভেম্বর ১৩ ১৭:১৪:৫৪
আবরার হত্যার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হবে : আইনমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে হবে।

আবরার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দেওয়ার পর বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এবং জনগণের চাহিদা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যথাশীঘ্র করা। তাই ‘দ্রুত বিচার আইন, ২০০০’ এ বিচার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো। সেটা যখন আইন মন্ত্রণালয়ে আসবে তখন আমরা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবো।

বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার চার্জশিট প্রস্তুত করে আদালতে জমা দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

চার্জশিট মোট ২৫ জনকে জড়িত উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।

মামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এর মধ্যে এজাহারে ১৬ জন ও এজাহারের বাইরে ৫ জন। বাকি চারজন পলাতক। পলাতক ৪ জনের মধ্যে তিনজন মামলার এজাহারভুক্ত। তারা হলেন- জিসান, তানিন ও মোর্শেদ। এজাহার বহির্ভূত একজন রাফি।

এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।

এজাহার বহির্ভূত গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জন হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ১৩,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর