thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

'৩০ জুন পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট নয়'

২০১৯ নভেম্বর ২৪ ১০:৩২:০১
'৩০ জুন পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট নয়'

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আইনের কয়েকটি ধারা পুনর্বিবেচনার আশ্বাসে ৩০ জুন পর্যন্ত আন্দোলনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান।

পরিবহন শ্রমিকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগ হলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসসহ কয়েকটি বিষয়ে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শিথিলতা প্রদর্শন করবে পুলিশ। এ ব্যাপারে শনিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই ৩০ জুন পর্যন্ত আন্দোলন হবে না বলে ঘোষণা দেন শাহজাহান খান।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এরপর থেকে আইন প্রয়োগে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কিছু ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয় আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। মালিক-শ্রমিকরা আমাদের কাছে কিছু দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরা কিছু সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু সুপারিশ অনুযায়ী আইনের কিছু ধারা সংশোধন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এসব বিষয় নিয়ে আমরা শাহজাহান খানের নেতৃত্বে পরিবহন নেতাদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে যে যেভাবে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন, তারা সেভাবেই চালাবেন। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তারা লাইসেন্স হালনাগাদ বা উপযুক্ত লাইসেন্স সংগ্রহ করার সুযোগ পাবেন। বিআরটিএ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তবে কারও কাছে ভুয়া লাইসেন্স পেলে সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হবে। তারা নতুন করে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লাইসেন্স করে নেবেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা গাড়ির ফিটনেস নবায়ন করেননি তাদের বিরাট একটা টাকা জরিমানা হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে তারা শুধুমাত্র সরকারি ফি জমা দিয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট পেতে জরিমানা মওকুফ চেয়েছেন। আমরা তাদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করতে বলেছি, তাদের জরিমানা মওকুফের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অনেক ট্রাকে কনটেইনার টানার জন্য নির্ধারিত ডিজাইনের বাইরে বাড়তি ডিজাইন করেছেন। এ বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি করা হবে। পরিবহন মালিকরা টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বসে ৩০ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। নতুন আইন প্রয়োগ ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমন কয়েকটি ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শন করবেন। এছাড়া বাকি ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাংবাদিকদের শাজাহান খান বলেন, আইন হওয়ার সময় থেকেই কিছু কিছু বিষয় সংশোধনের দাবি আমরা জানিয়েছিলাম। আমরা কখনোই আইনের বিরোধিতা করিনি। আমরা আইন মানি এবং মানব। কিন্তু আইনে কিছু অস্পষ্টতা রয়ে গেছে, সেগুলো দূর করে সঙ্গতিপূর্ণ করার দাবি জানিয়েছি আমরা। আইনে উল্লেখিত জেলের বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আমরা বলেছি জরিমানার কথা। কারণ এতো পরিমাণ জরিমানা চালকরা কখনো দিতে পারবে না। আমরা বলেছি আগের আইনে যে জরিমানা ছিল, বর্তমান সময়ে সেই টাকার অনুপাতে বর্তমানে যে টাকা দাড়ায় সে পরিমাণ জরিমানা নির্ধারণ করা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্মঘট ডাকিনি। ধর্মঘট-আন্দোলন আমাদের পেশা নয়। বিপদ হলে আমরা কথা বলি, না শুনলে আন্দোলনে যেতে হয়। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছেন, আমরা সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। তারপর যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তখন আমরা কর্মসূচি দেব।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২৪,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর