thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে 24, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৯ জিলকদ  1445

মাতাল ছেলে পেটালো পুলিশ, ক্ষমা চাইলেন মাহী বি চৌধুরী

২০১৯ ডিসেম্বর ২৬ ১৯:৩০:১৪
মাতাল ছেলে পেটালো পুলিশ, ক্ষমা চাইলেন মাহী বি চৌধুরী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে মাতাল অবস্থায় পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধর করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীর ছেলে আরাজ বি চৌধুরী। এই ঘটনায় রাত ১০টার আরাজকে বনানী থানায় করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে মাহী বি চৌধুরী ক্ষমা চেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বনানী কবরস্থানের দিক থেকে এয়ারপোর্ট রোডে বের হওয়ার সময় একটি সিএনজিকে খয়েরী রং’র গাড়ি ধাক্কা দেয়। গাড়ি নম্বর- ঢাকা মেট্রো-গ ২৮-০৮৩৬। এতে সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলমগীরের পায়ে আঘাত করে। এ সময় গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন মাহির ছেলে।

আরো জানা গেছে, সার্জেন্ট মাহির ছেলেকে গাড়ি থেকে বের হতে বললে সে মাতাল অবস্থায় বের হয়ে আলমগীরের শার্টের কলার ধরে টান দেয়। এতে তার শার্টের দুটি বোতাম ছিঁড়ে যায়। এর পরেই এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন সার্জেন্ট আলমগীরকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ট্রাফিক পুলিশের অন্য সদস্যরা বনানী থানার কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করলে থানা থেকে একটি পুলিশের ভ্যান এসে মাহির ছেলে ও তার সাথে থাকা বন্ধুকে আটক করে বনানী থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ধাক্কা দেয়া গাড়িটিকেও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সূত্র জানায়, মাহি থানার ওসিকে বুঝানোর চেষ্টা করেন তার ছেলে ভুল করে ফেলেছে এ জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থী। এর পরে থানার ওসি সার্জেন্ট আলমগীরকে ডেকে নেন। এরপর মাহি তার কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। সার্জেন্ট মৌখিকভাবে মাফ করে দিতে চাইলে ওসি বলেন, ‘মাফ করতে চাইলে লিখিত দিতে হবে।’ এরপর সার্জেন্ট লিখিত দেন।

সূত্র আরো জানায়, এরপর ওসি নিজ কক্ষে মাহির ছেলেকে ডেকে নিয়ে সার্জেন্টের কাছে মাফ চাইতে বললে তিনি মাফ না চেয়ে ইংলিশে গালাগাল করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে যায়। বের হয়েই ওসির ঘরের বারান্দায় বমি করার চেষ্টা করেন। এ সময় মাহি বলেন, ‘আমার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’ এরপর মাহি তার ছেলে আর ছেলের বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতালে যাবে বলে দ্রুত থানা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর ছেলেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।

বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আযম মিয়া জানান, ভুক্তভোগী সার্জেন্ট কোন অভিযোগ না করায় ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি। তবে আটক হওয়া ছেলেটির গাড়ি চালানোর কোন লাইসেন্স ছিল কি না সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ২৬,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর