thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

কোটি টাকার ঘড়ি নিয়ে মুখ খুললেন কাদের

২০২০ জানুয়ারি ০৯ ১৬:২৪:৪১
কোটি টাকার ঘড়ি নিয়ে মুখ খুললেন কাদের

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া ঘড়ি বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করা আয়ের সঙ্গে দামি ঘড়িগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এমন সংবাদের বিষয়ে কাদের বলেছেন, ঘড়িগুলো কেনা নয়, উপহার পাওয়া। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি সুইডেনভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল ‘নেত্র’ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে, সেখানে তারা জানায়, নির্বাচনী হলফনামায় কাদের যে বার্ষিক আয়ের তথ্য দিয়েছেন তার সঙ্গে তার সাতটি দামি ঘড়ি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার রোলেক্স ডে ডেট প্রেসিডেন্ট ঘড়ির দাম ২৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। তার সবগুলো ঘড়ির দাম মিলিয়ে কোটি টাকার কম হবে না বলে জানিয়েছে তারা।

আলজাজিরা জানায়, ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশে ওই অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ সাংবাদিকরা কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি আজ প্রথম শুনলাম। আমার যত ঘড়ি আছে একটাও আমার নিজের না, পয়সা দিয়ে কেনা নয়। আপনি বিদেশে গেলেন এসে আমাকে একটা ঘড়ি দিলেন, আমি নিলাম। ফর গড সেক, আমি বলছি এগুলো আমার দামি পোশাক, এগুলো আমার কেনা নয়। কিন্তু আমি পাই, অনেকে আমাকে ভালোবাসে, আমার অনেক কর্মী আছে। তারা বিদেশে আছে, আসার সময় আমার জন্য একটা স্যুট নিয়ে আসে। গতকাল (বুধবার) সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কটি বানিয়ে নিয়ে এসেছেন।’

কাদের আরও বলেন, ‘এই রকম আপনি যদি নিয়ে আসেন, আমাকে উপহার দেন, আমি কী করব। এটা গিফট আইটেম, এটা আমার নিজের নয়। এটা সড়কের সঙ্গে কোনো....। আমি তো বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, আমি কোনো কন্ট্রাক্টর থেকে, আমি কোনো কন্ট্রাক্টরকে এখানে বসতেও দেই না। আমার সঙ্গে কোনো কন্ট্রাক্টরের বৈঠকও হয় না, যেটা হতো অতীতে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকাল পদোন্নতির জন্য কোনো তদবির হয় না। আমার এখানে চিফ ইঞ্জিনিয়ার নেক্সট সিনিয়র ম্যান, ১০ দিন সময় (চাকরির মেয়াদ) আছে, তাকেও আমি চিফ ইঞ্জিনিয়ার করেছি কয়েক দিন আগে। আগে তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে যাওয়া মানে হলো বিশাল ব্যাপার। এসব তো আপনারাই শুনতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কন্ট্রাক্টররা ইলেকশনের সময় আমাকে একটা অ্যামাউন্ট দিতে গিয়েছিল, আমি কিন্তু সরাসরি না করেছি। আমার ইলেকশনের টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন। আমার কারো থেকে টাকা নিতে হয়নি।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ০৯,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর