thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ভাবি-ভাতিজাকে খুন

২০২০ জানুয়ারি ১১ ১১:১৫:০০
বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ভাবি-ভাতিজাকে খুন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: সাটুরিয়ার মা ও ছেলে হত্যার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার পারভীন আক্তার বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিলেন দেবর সোলাইমান হোসেনকে। ভাবির এই আচরণ সহ্য করতে না পেরে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করে ভাবি পারভীন আক্তার ও ভাতিজা আব্দুল নূরকে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত-৯-এর বিচারক জান্নাতুল রাফিন সুলতানের কাছে মামলার একমাত্র আসামি সোলাইমান হোসেন ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোলাইমানকে রাতেই আদালত থেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

জবানবন্দিতে সোলাইমান বলেছেন, ভাতিজা আব্দুল নুর হোসেনকে গলায় ও পেটে ৮ স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ভাবি পারভীনকে গলা কেটে হত্যা করে তার লাশ উলঙ্গ করে ঢেকে রাখেন কম্বল দিয়ে। তিনি লাশ উলঙ্গ করে বোঝাতে চেয়েছেন তার ভাবীকে কেউ ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, দেবর সোলাইমানের সঙ্গে তার ভাবি পারভীনের ৫/৬ বছর ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। তিন মাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। এরপর থেকেই ভাবি তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সোলাইমান তার ভাবির রুমে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় ভাবি তাকে আবারও বিয়ের কথা বলেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোলাইমান বিছানা থেকে নেমে এসে রুমের ভেতরে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে প্রথমে ভাবির গলায় আঘাত করেন। পাশে ঘুমিয়ে থাকা ভাতিজা নুর মোহাম্মদ জেগে ওঠলে সোলাইমান তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার পর সোলাইমান ছুরি ও নিজের রক্তমাখা পোশাক ধুয়ে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

জোড়া খুনের মামলার বাদী সাটুরিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, সোলাইমানকে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আটক করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল রাফিন সুলতানার আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা গ্রামের নিজ বাসা থেকে সৌদি প্রবাসী মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম ও ছয় বছরের শিশু নূর মোহাম্মদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে পারভীনের মা মজিরন বেগম সাটুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ১১,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর