thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

চীনের বিকল্প বাজার খুঁজছে সরকার

২০২০ ফেব্রুয়ারি ১০ ২০:০৬:৩৪
চীনের বিকল্প বাজার খুঁজছে সরকার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনা নাগরিকদের বিভিন্ন দেশে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হলে দেশটি থেকে মালামাল আমদানি-রপ্তানিতেও অনেক দেশ আগ্রহ হারাবে। বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিকল্প বাজারে নজর রেখেছে সরকার।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই মি. ডেভিড মারিটের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়, এতে করে চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। তবে আদা-রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়নার বিকল্প বাজারে নজর রাখছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে কতটুকু প্রভাব পড়েছে সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। সে প্রতিবেদন এখনো তারা দিতে পারেননি। প্রতিবেদন পেলেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখনই বলার সময় হয়নি করোনার কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। অনেক আইটেম চীন থেকে আসে। রেডিমেড গার্মেন্টসের ফেব্রিক্স যেটা চায়না থেকে আসে। তবে সমস্যা মূলত একটি প্রদেশেই বেশি। তবুও আমরা সেদিকে নজর রাখছি। কারণ, সেখান থেকে পণ্য আনতে সমস্যা হলে বিকল্প তো ভাবতে হবে। আর পোশাক ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছি, তারা প্রতিবেদন দিলে বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে।’

চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারলে সমস্যা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পেঁয়াজ আসছে মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর ও পাকিস্তান থেকে। চায়নার জন্য পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না। তবে অন্যান্য মশলার সমস্যা হবে কি না সেটি দেখছি। সমস্যা হলে অন্য মার্কেটে আমাদের যেতে হবে। আমরা লক্ষ্য রাখছি কী সমস্যা হতে পারে।’

এফবিসিসিআইকে তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছিল তারা কোনো প্রতিবেদন দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যবসায়ীরা জানেন এসময় চায়নায় ছুটি থাকে। এসময় কোনো ইমপোর্ট হবে না। তাই ১৩ তারিখ সেখানকার ছুটি শেষ হলে বোঝা যাবে প্রভাব পড়বে কি না।’

বাজারে রসুনের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সিরিয়াস। এসব ব্যাপারে লক্ষ্য রাখছি। আজকে আমি কথা বলব এ বিষয়ে। এ ধরনের সুযোগগুলো অসাধু ব্যবসায়ীরা নিচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে যেতে চাই। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চায়না থেকে পণ্য না আসলে সেটি নিয়ে আমরা বসতে চাই। রসুন, আদা, কাপড় নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই জানতে চাইব। পেঁয়াজ নিয়ে যেহেতু তেমন আমদানি নেই, তাই সেটি নিয়ে আপাতত ভাবছি না।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ১০,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর