thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

আবরার হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি

২০২০ মার্চ ১৮ ১৪:৫১:৫৪
আবরার হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলার নথি ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দিয়ে আগামী ৬ এপ্রিল আসামিদের উপস্থিতি ও চার্জশুনানির দিন ধার্য করেন। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সরকারি প্রজ্ঞাপন তারা পেয়েছেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মামলা বদলি হয়েছে। ৬ এপ্রিল থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিহত আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ছেলে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য আবেদন করেন। সে অনুযায়ী সম্প্রতি সরকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেয়।

বুধবার শুনানিকালে কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় গত বছর ১৩ নভেম্বর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে দাখিল করেন।

মামলায় কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষে ছাত্র আকাশ হোসেন, শিক্ষার্থী মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, হোসেন মোহাম্মাদ তোহা, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। যাদের মধ্যে প্রথম আট জন আদালতে স্বীকারোক্তি করেছেন।

অপর তিন আসামি বুয়েটের ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান (২২), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০) ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মুজতবা রাফিদ (২১) পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। রাত তিনটার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮মার্চ,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর