thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

সরিয়ে দেওয়া হলো কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ককে

২০২০ এপ্রিল ১৩ ১২:০৯:৩২
সরিয়ে দেওয়া হলো কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ককে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিনকে। তিনি বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতা এবং একসময় শিবিরকর্মী ছিলেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তার হাতে করোনা মোকাবেলার লক্ষ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আর এ দায়িত্ব পেয়েই সরকার যেন বিপদগ্রস্ত হয়, করোনা নিয়ে সরকার যেন বিতর্কিত হয় এবং হাসপাতালে কেউ যেন সঠিকভাবে কাজ না করে তার সবটুকু আয়োজনই করেছিলেন।

ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিনই কুয়েত মৈত্রীর ছয়জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্ট দিয়েছিলেন। তার প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ছয়জন চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর প্রতিবাদ করে এবং এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়।

সর্বশেষ ওই চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দুইজন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন যে, কর্তব্যে তারা বিন্দুমাত্র অবহেলা করেননি। এরপর কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। দেখা যায় যে, ওই তত্ত্বাবধায়কই আসলে ষড়যন্ত্র করছেন। এটা জানার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই তত্ত্বাবধায়ককে সরিয়ে ডা. সারওয়ার উল আলমকে নতুন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেছে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যে, এরকম একজন শিবিরকর্মী এবং ড্যাব নেতাকে কীভাবে স্পর্শকাতর একটা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হলো? তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত আছে?

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩এপ্রিল,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর