করোনাকালে গর্ভাবস্থার পরিচর্যায় ইউনিসেফের যেসব পরামর্শ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গর্ভাবস্থা উত্তেজনা ও প্রত্যাশায় পূর্ণ একটি বিশেষ সময়। যদিও স্বাভাবিক সময়ে এই অভিজ্ঞতাটি সুখকর হয়ে থাকে, তবে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করা সন্তান প্রত্যাশী মায়েদের জন্য এই সময়টি ভয়, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তায় ভরে উঠেছে। এই সময়ে নারীরা কীভাবে নিজেদের এবং তাদের ছোট্ট শিশুটিকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব মিডওয়াইভসের সভাপতি ফ্রাঙ্কা ক্যাদি।
জাতিসংঘের নারী ও শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ফ্রাঙ্কা ক্যাদির কথা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
প্রসবপূর্ব চেকআপ চালিয়ে যাওয়া কি নিরাপদ?
সন্তান প্রত্যাশী মায়েদের অনেকে যখন ঘরে এবং বাইরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন, সেই মুহূর্তে চেকআপের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। ক্যাদি বলেন, ‘আপনি বিশ্বে এই মুহূর্তে অনেকগুলো অভিযোজনের ঘটনা ঘটতে দেখছেন, যেখানে ধাত্রী কিংবা মিডওয়াইফরা ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন বা সুনির্দিষ্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট করছেন, যাতে শিশুর অবস্থা ও বৃদ্ধি পর্যালোচনা সংক্রান্ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংক্ষিপ্ত করা যায়। আমি আশা করবো, নিজেদের এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমিত হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে গর্ভবতী নারীরা তাদের স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কম দেখা করবেন। খুব প্রয়োজন হলেই তারা সরাসরি দেখা করবেন।’ তবে গর্ভবতী মায়ের নিম্ন ও উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
মায়েদের প্রতি ক্যাদির পরামর্শ হচ্ছে- ‘স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিজ কমিউনিটিতে তাদের জন্য কী ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে তা খুঁজে দেখা। যেমন যে ব্যক্তি যত্ন নিচ্ছেন তিনি পুরোপুরি আপনার প্রয়োজনগুলোর জন্য প্রস্তুত কিনা। সাধারণত ধাত্রীরা বিষয়টি ভালো বোঝেন।’
সন্তানের জন্মের পর নিয়মিত টিকাসহ পেশাগত সহায়তা ও দিকনির্দেশনা গ্রহণ অব্যাহত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য এসব বিষয়ে সহায়তা গ্রহণের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় সম্পর্কে স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন।
যদি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হই, তাহলে কি এটি আমার কাছ থেকে আমার সন্তানের শরীরে যাবে?
গর্ভাবস্থায় মায়ের থেকে তার শিশুর মাঝে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয় কিনা তা আমরা এখনও জানি না। ক্যাদি বলেন, ‘ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড, গর্ভনালী বা মায়ের বুকের দুধে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, যদিও এবিষয়ে এখনও অনেক তথ্য আসছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বা গর্ভফুলেও কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।’
কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আপনি সর্বোত্তম যা করতে পারেন তা হচ্ছে- প্রয়োজনীয় পূর্ব সতর্কতামূলক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তবে, আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন বা সবে সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন এবং অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে আপনার অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যেসব পরামর্শ দেবেন সেগুলো ঠিকঠাক অনুসরণ করতে হবে।
আমি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। এটি কি এখনও সঠিক সিদ্ধান্ত?
ক্যাদির পরামর্শ হচ্ছে, ‘গর্ভবতী মায়েদের উচিত তাদের জন্য ধাত্রী [বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদাকারী] কোন স্থানকে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করেন এবং এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় কী ধরনের পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা। এটি ওই নির্দিষ্ট গর্ভবতী নারী, তার অবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।’
ক্যাদি বলেন, ‘আপনি হয়তো ভাবছেন, বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রেই অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। যেমন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্তরা যে প্রবেশপথ দিয়ে ঢোকেন অন্যরা সে প্রবেশপথ দিয়ে ঢোকেন না। তবে সব দেশে এটি পুরোপুরি মেনে চলা সম্ভব নয়। কিছু উচ্চ-আয়ের দেশ, যেমন নেদারল্যান্ডস, যেখান থেকে আমি এসেছি, সেখানে আমাদের একটি ব্যবস্থা রয়েছে, যে ব্যবস্থার মধ্যে বাড়িতে সন্তান জন্মদানের ব্যবস্থাটিও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সার্বিক ব্যবস্থার ভেতরে ঘরে সন্তান জন্মদানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রাখা অনেক নিরাপদ। আপনি দেখবেন এক্ষেত্রে অনেক নারী বাসাতেই সন্তান জন্ম দিচ্ছে [তবে বেশির ভাগ দেশের পরিস্থিতি এমন নয়]। এমনকি নেদারল্যান্ডসে মিডওয়াইফরা নির্দিষ্ট কিছু হোটেল ব্যবহার করেন, যাতে এসব হোটেলে নারীরা নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারেন। ফলে তাদের আর হাসপাতালে যেতে হয়না।’
আপনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পন্থাটি হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলা যিনি আপনার পুরো গর্ভাবস্থা ও প্রসবকালে সহায়তা করেন।
আমি যখন সন্তানের জন্ম দেব তখন কি স্বামী বা পরিবারের সদস্যরা আমার কাছাকাছি থাকতে পারবে?
এক্ষেত্রে নিয়মকানুন একেক দেশে একেক রকম হলেও ক্যাদি বিশ্বাস করেন, মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো যথাযথভাবে গ্রহণ করে সন্তান প্রসবের সময় নারীকে সাহস যোগাতে ঘনিষ্টদের তার পাশে থাকা উচিত।
তিনি জানান, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, নির্দিষ্ট কিছু দেশে লোকজনকে সন্তান প্রসবের সময় নারীদের পাশে থাকতে দেওয়া হয় না এবং এটি আমাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। আমি এটা বুঝি যে, ভীড় এড়ানোর জন্য আপনি সন্তান প্রসবের সময় একজন নারীর পাশে থাকা লোকজন কমাতে চান। এটি খুবই যৌক্তিক। তবে আসুন আমরা নিশ্চিত করি যে, সন্তান জন্মদানের সময় একজন নারীর পাশে কেউ থাকুক, অন্তত একজন – তার স্বামী, তার বোন, তার মা, [বা তার পছন্দের ঘনিষ্টজন]। আর অনুগ্রহ করে শিশুকে তার মায়ের সঙ্গে রাখুন।’
ক্যাদি বলেন, ‘আমাদের সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং প্রতিটি পরিস্থিতি, তা যেমনই হোক, আমাদের বুঝতে হবে যে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে তাদের সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করে এবং একে অপরের কথা শোনার মাধ্যমে তাদের পক্ষে সম্ভব সর্বোচ্চটুকুই করার চেষ্টা করেন। আমি মনে করি এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা একটি সম্প্রদায় হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করি।’
সন্তান জন্ম দেওয়া নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার কী করা উচিত?
সন্তান জন্মদান নিয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করা থাকলে পরিস্থিতি অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে হবে। এটি আপনার উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাও বুঝতে হবে যে, আপনার অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে সবকিছু একেবারে পরিকল্পনামাফিক নাও হতে পারে।
ক্যাদির পরামর্শ হচ্ছে, ‘এর মধ্যে থাকতে পারে প্রসববেদনা শুরু হলে কাকে ফোন করতে হবে, কে প্রসবকালীন সেবা প্রদান করবে এবং কোথায় সেবা মিলবে। হাসপাতালে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সহায়ক লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের জন্য যে ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে তাও মেনে চলতে হবে।’
তার আরও পরামর্শ হচ্ছে- বিশ্রামের জন্য ঘরে সহজ কিছু কাজ করা, যেমন [স্ট্রেচিং] ব্যায়াম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা এবং প্রয়োজন মনে করলে ধাত্রীকে ফোন করা। যতটা সম্ভব নিজের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। ভালোভাবে খান, ভালোভাবে পান করুন, আপনার পেটে হাত রাখুন এবং গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি উপভোগ করুন।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কাছে আমার কোন বিষয়টি জানতে চাওয়া উচিত?
ক্যাদি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে গর্ভবতী মায়ের একটি আস্থার সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘আপনার স্বাস্থ্যজনিত যেকোনো প্রশ্ন খোলাখুলিভাবে করা উচিত। আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে, আপনার ধাত্রীর সঙ্গে, আপনার প্রসূতি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যদি খোলামেলা সম্পর্ক থাকে, তাহলে তারা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং আপনার প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেবেন। এগুলো জানা আপনার অধিকার। কারণ পেটের শিশুটি আপনারই।’
ক্যাদি উল্লেখ করেন, ‘চিকিৎসক ও নার্সদের মতো ধাত্রীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলা করতে হচ্ছে এবং এ কারণে প্রয়োজনে সাড়া দিতে তাদের কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে’।
এক্ষেত্রে ক্যাদির পরামর্শ হচ্ছে, কীভাবে এবং কখন আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তার একটি ব্যবস্থা আগেই করে রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং জরুরি সেবার জন্য কীভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন সে বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করুন। এছাড়া সেবা প্রাপ্তিতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রসবপূর্বকালীন সেবাপ্রাপ্তি তথ্যাবলীর একটি অনুলিপি নিজের কাছে রাখার জন্য আগে থেকেই সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলুন, এটাও সহায়ক হতে পারে।
সন্তান জন্মদানের জন্য যখন আপনার পরিকল্পনার বিষয়টি আসবে তখন যত ধরনের প্রশ্ন করা প্রয়োজন সেটা করা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন:
# আমি কি এই স্থানে করোনাভাইরাস রোগে (কোভিড -১৯) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছি? এখানে থাকা অন্য কেউ কি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত?
# কোভিড-১৯ ভাইরাসে যারা আক্রান্ত নন তাদের কাছ থেকে আক্রান্তদের আপনি কীভাবে আলাদা করবেন?
# স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য যথেষ্ট ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক পোশাক রয়েছে কি?
# আমি কি কাউকে সঙ্গে রাখতে পারি? যদি না হয়, কেন না?
# আমি কি আমার শিশুকে আমার সঙ্গে রাখতে পারি? যদি না হয়, কেন না?
# আমি কি আমার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারি? যদি না হয়, কেন না?
# আমাকে কি স্বাভাবিকভাবে যোনির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে দেওয়া হবে, নাকি # শিগগিরই অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের ব্যবস্থা করতে হবে? যদি হয়, তবে কেন?
করোনাভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে নারীদের হাসপাতালে যাওয়ার সময় কী কী সাথে নেওয়া উচিত?
ক্যাদির পরামর্শ হচ্ছে- ‘নারীদের বাড়তি কিছু নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে তাদের সাবধানতা অবলম্বনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।’
তিনি আশা করেন, নারীরা যদি সন্তান জন্মদানের পর সুস্থ থাকে, তাহলে কিছু হাসপাতাল স্বাভাবিকের চেয়ে তাড়াতাড়ি তাদের বাড়িতে চলে যেতে বলতে পারে। এটি অঞ্চল, গর্ভবতীর অবস্থা ও হাসপাতালভেদে ভিন্নও হতে পারে। সন্তান প্রত্যাশী মায়েদের প্রতি তার পরামর্শ হচ্ছে, ধাত্রী বা প্রসূতি বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ চাওয়া, যা শুধু তাদের জন্যই প্রযোজ্য।
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর নবজাতককে কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে কী করতে পারি?
সবচেয়ে ভালো যে কাজটি আপনি করতে পারেন তা হচ্ছে, সহজ থাকার চেষ্টা করা। শুধু আপনার পরিবারের সঙ্গে থাকুন এবং দর্শনার্থীদের আসতে নিষেধ করুন। ক্যাদি বলেন, ‘একই সঙ্গে নিশ্চিত করুন যাতে আপনার অন্য সন্তানরা (যদি থাকে) অন্য শিশুদের সঙ্গে না মেশে। আপনার পরিবারের সদস্যদের বলুন, যাতে তারা নিয়মিত হাত ধোয় এবং নিজেদের যত্ন নেয়।’
যদিও এটি একটি কঠিন সময়। ক্যাদি পরামর্শ হচ্ছে, এই সময়ে পারিবারিক বন্ধন জোরালো করার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে ভাবতে হবে। অনেক সময় নতুন মা ও বাবাকে দর্শনার্থী সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। কিন্তু না; এই মুহূর্তে আপনার পরিবারের সঙ্গে একান্তে থাকার বিষয়টি উপভোগ করুন। আপনার শিশুর সঙ্গে একাকী বন্ধন গড়ে তোলা হবে দারুণ কিছু। নতুন মানুষটিকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং তা উপভোগ করুন।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সময় গর্ভবতী নারীকে সুরক্ষিত রাখতে কী করা উচিত?
এখন পর্যন্ত গবেষণায় যতদূর দেখা গেছে, অন্য যেকোনো শ্রেণির মানুষের তুলনায় গর্ভবতী নারীরা কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে নেই। বলা হচ্ছে যে, তাদের দেহ এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসার কারণে গর্ভবতী নারীরা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে মাসগুলোতে অত্যন্ত বাজেভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। আর তাই আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ক্যাদি বলেন, ‘আমি জানি যে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি অনেক কঠিন হতে পারে। অবশ্যই তারা নিজেদের এবং তাদের শিশুর যত্ন নিচ্ছেন এবং অনেকের হয়তো আরও সন্তান রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা যতদূর জানি, অন্য মানুষের যতটা ঝুঁকিতে থাকে, গর্ভবতী নারীরা তার চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে নেই। এই কারণে অন্য সবাই যা করে তাদেরও সেটাই করা উচিত। তিনি শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলার পরামর্শ দেন:
# কারোনাভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) লক্ষণ রয়েছে এমন কারো সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
# সম্ভব হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন।
# সম্ভব হলে বাড়িতে থেকে কাজ করুন।
# পাবলিক প্লেস বা লোকালয়, বিশেষ করে বন্ধ বা দেয়ালঘেরা স্থানগুলোতে ছোট-# বড় সব ধরনের জমায়েত পরিহার করুন।
# বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ পরিহার করুন।
# আপনার ধাত্রী, প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবাদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন, মেসেজ বা অনলাইন সেবা ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- সাবান ও পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়া, ঘরে বার বার স্পর্শ করা হয় এমন স্থান/জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা, কোভিড-১৯ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো লক্ষণ নিজের মাঝে দেখা যাচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা এবং থাকলে শুরুতেই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সেবা গ্রহণ করা।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে কি?
ক্যাদি বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো অব্যাহত রাখা পুরোপুরি নিরাপদ। এখন পর্যন্ত যত গবেষণা হয়েছে তার সবগুলোতে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসটি বুকের দুধের মাধ্যমে ছড়ায় না, তাই একজন মা তার সন্তানের জন্য সবচেয়ে ভালো যে কাজটি করতে পারেন তা হচ্ছে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো।’
যদি আপনার সন্দেহ হয় যে, আপনি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। এক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর নির্দেশাবলী অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে মায়েদের যথেষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত – সম্ভব হলে মাস্ক পরা, শিশুকে ধরার আগে ও পরে হাত ধোওয়া এবং ঘরের মেঝে বা অন্যান্য স্থান পরিষ্কা/জীবাণুমুক্ত করা। যদি আপনি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর মতো সুস্থ না থাকেন, তাহলে স্তন চেপে দুধ বের করে একটি পরিষ্কার কাপ বা চামচের সাহায্যে আপনার শিশুকে তা খাওয়ান– এক্ষেত্রেও যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
জনবহুল স্থানে থাকলে কী করা উচিত?
বিশ্বজুড়ে অনেক নারী অন্যান্য অনেক লোকের কাছাকাছি অবস্থান করেন, যা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। ক্যাদি বলেন, এ ধরনের স্থানগুলোতে আমি পুরো কমিউনিটিকে বলবো তাদের কমিউনিটিতে থাকা গর্ভবতী নারীদের যত্ন নিতে। এক্ষেত্রে তার সুপারিশ হচ্ছে, লোকজন গর্ভবতী নারীদের কাছ থেকে যতোটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা করবেন।
আর কমিউনিটিতে সবার হাত ধোওয়ার গুরুত্ব ভুলে যাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এমনি এমনি হাত ধোওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। কোভিড-১৯ ও সাবান একে অপরকে পছন্দ করে না। এটি খুব সহজ একটি ব্যবস্থা যা অনেক ভালো কিছু দিতে পারে। আমি সত্যিই আশা করবো যে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন পুরো কমিউনিটি এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলবে যেখানে গর্ভবতী নারীরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে, কেননা তারা সর্বোপরি একটা ভবিষ্যতের জন্ম দিচ্ছে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন!
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪মে, ২০২০)
পাঠকের মতামত:
- তাপপ্রবাহের সড়কে কৃত্তিম বৃষ্টি
- আবারও সোনার দাম কমলো
- প্রচারে সরকারি সুবিধা পেলে প্রার্থিতা বাতিল: ইসি রাশেদা
- "ঢাকার ১০ থানা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি"
- ফের সারাদেশে হিট এলার্ট জারি
- বিনিয়োগকারী সংগঠনের নামে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজী,ধরা পড়লো তিনজন
- মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে: ব্লিঙ্কেন
- বাংলাদেশ- ভারত সিরিজ নিয়ে বিসিবির সুখবর
- রোহিত- কোহলির অবসর নিয়ে যা বললেন যুবরাজ
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকার বেশি
- তীব্র তাপদাহে এশিয়ার কোন দেশের কী অবস্থা!
- তীব্র তাপদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু
- "শেরে বাংলার মমত্ববোধ, ভালোবাসা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে"
- বৃষ্টি নিয়ে যে সুখবর দিলো আবাহাওয়া অফিস
- "পরিষ্কার ধারণা ছিলো, বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না"
- ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে: ওবায়দুল কাদের
- ওলামা দলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
- বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে যা বোঝালেন মুশফিক
- এসির টেম্পারেচার কত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে ১৮ দেশের বিবৃতি, যে বার্তা দিল হামাস
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির, মাছের বাজার চড়া
- ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদি আরবের সুখবর
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তাপদাহের খবর
- কী করছেন হিট অফিসার
- তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, মে মাসের শুরুতে হতে পারে বৃষ্টি
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- শেয়ারের দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দিলো বিএসইসি
- "বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থাকে"
- "তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না"
- নিয়োগপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার
- দুদিনে সোনার দাম কমলো ভরিতে ৫২৩৮ টাকা
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- ঈদযাত্রায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৭ জন
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- লোকসান থেকে মুনাফায় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
- "শরীয়াহভিত্তিক প্রোডাক্ট আনলে অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে"
- খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৫শে জুন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ, গণগ্রেফতারের মুখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা
- আমি এখানে কাজ শুরু করতে মুখিয়ে আছি: মুশতাক
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- নির্যাতিত বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত: অমিত শাহ
- এমভি আবদুল্লাহর কয়লা খালাস শুরু, ২৩ নাবিকই ফিরবেন জাহাজে
- বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ পেছালো
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ১১ বছরেও শেষ হয়নি রানা প্লাজা ধসের বিচার
- ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- সাংবাদিক আতিকুর রহমান হাবিব এর মৃত্যুতে বিএনপি মিডিয়া সেলের শোকবার্তা
- গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও
- এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছাত্রলীগের
- ইসরাইলের অস্ত্র ইরানি বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকার বেশি
- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি
- বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: কাদের
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- তাপদাহ: দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিফ হিট অফিসারের
- মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে: ব্লিঙ্কেন
- এবারও বোরো মৌসুমে ধান ও চাল কিনবে সরকার
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- কারসাজি চক্রের প্রভাবে সূচকের পতন, কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
- টেকনো ড্রাগসের বিডিং শুরু আজ
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- ট্রেনে বাঁ পায়ের সব আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের
- বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সংশোধিত ফল প্রকাশ
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বাড়লো
- না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
- একের পর এক দেশ বিরোধী কাজ করছে সরকার: রিজভী
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী