thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১,  ৯ জমাদিউল আউয়াল 1446

আম্পান: প্রস্তুত ১২ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র

২০২০ মে ১৮ ১৯:৪৯:২৩
আম্পান: প্রস্তুত ১২ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। উপকূলের ৫১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের জন্য ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার বিকালে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি মানুষকেও যাতে প্রাণ না হারায় সে ব্যাপারে সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেসব মানুষ ঝুঁকিতে আছেন মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। অন্য যেকোনো দুর্যোগের থেকে এবার সব থেকে বেশিসংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনো বাঁধ ভেঙে গেলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে তা নির্মাণ করবে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামীকাল সকাল থেকে মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার কাজ শুরু হবে, তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দুই হাজার ৫৬০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন বলেও জানান তিনি।

সরকারের প্রস্তুতি জানাতে গিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জনকে আশ্রয় দেয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলেছি। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন তাদের মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার জন্য বলা হয়েছে। এ কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রে যারা আশ্রয় নেবেন তাদের জন্য তিন হাজার ১০০ টন চাল, ৫০ লাখ নগদ টাকা, শিশু খাদ্য কিনতে ৩১ লাখ টাকা, গো-খাদ্য কিনতে ২৮ লাখ টাকা এবং চার হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিভিল সার্জনদের নেতেৃত্বে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধসহ টিম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ গেলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮মে, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর