thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

রেমিট্যান্স-রিজার্ভ দুই সূচকেই রেকর্ড

২০২০ জুলাই ০২ ২০:৩৭:০২
রেমিট্যান্স-রিজার্ভ দুই সূচকেই রেকর্ড

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত ঠিক তখনই এক দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুটি সূচক রেমিট্যান্সে এবং রিজার্ভে একসঙ্গে রেকর্ড হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো এক মাসে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাঙালীরা। এই রেমিট্যান্সের উপর ভর করে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও প্রথমবারের মতো ৩৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্সও কখনও আসেনি। একইসঙ্গে এর আগে কখনই রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি।

এর আগে গত বছরের জুন মাসে রোজার ঈদকে সামনে রেখে এক মাসে ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। এই অঙ্ক আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে মহামারী চলায় রেমিট্যান্সে তার প্রভাব না পড়ার জন্য হুন্ডি বন্ধ হওয়া অন্যতম কারণ। এছাড়া রেমিট্যান্সের গতি ধরে রাখতে গত অর্থবছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার। প্রণোদনা থাকায় প্রবাসীরা বৈধ পথে বেশি পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন। এছাড়া, সামনে কোরবানির ঈদও আসছে। সব মিলিয়ে প্রবাসীরা বরাবরই এই সময়ে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। তবে, এবার করোনাভাইরাস মহামারীতে মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্সও কমে গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বগতির ধারা চলে এসেছে।

এদিকে, রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফনের কারণে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। তার তিন সপ্তাহ আগে ৩ জুন এই রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। ২০১৯ সালের ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ও এআইআইবির ঋণ সহায়তাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স। দেশের জিডিপিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২জুলাই, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর