thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার

২০২০ আগস্ট ০৬ ০৯:৩৮:০৬
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (৫ আগস্ট) ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস হত্যামামলা দায়েরের পর এই খবর জানা যায়।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টেকনাফ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা‌ এ‌বিএম দোহাকে দা‌য়িত্ব দেয়া হ‌য়ে‌ছে।

এরপর টেকনাফ থানার ওসির সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে তা ধরেন পরিদর্শক দোহা। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত কিছু না জানালেও বলেন, মঙ্গলবার থেকে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

গত ৩১ জুলাই রাতে সিনহা নিহত হওয়ার পর থেকে সমালোচনায় রয়েছেন ওসি প্রদীপ। ওই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা ভ্রমণ বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। রাতে এক সঙ্গীকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি।

ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়ে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। এই ঘটনায় পুলিশ মামলাও করে।

তবে পুলিশের এই ভাষ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বুধবারই কক্সবাজারের আদালতে মামলা করেন তার বোন শারমিন। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেছেন, ওসি প্রদীপের ফোনে পাওয়া নির্দেশে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লিয়াকত আলি গুলি করেছিলেন সিনহাকে।

মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে লিয়াকতকে, ২ নম্বর আসামি ওসি প্রদীপ। মামলাটির তদন্ত করতে র‌্যাবকে দায়িত্ব দিয়েছে আদালত। ওই ঘটনায় লিয়াকতসহ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ২০ পুলিশ সদস্যকে আগেই প্রত্যাহার করা হয়।

সিনহা নিহতের ঘটনায় জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বুধবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের সমিতি রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)।

একই দিন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ কক্সবাজারে গিয়ে সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, এই ঘটনায় দায়ী হিসেবে যে বা যারা চিহ্নিত হবে, তারাই শাস্তি পাবে। এর দায় বাহিনীর ওপর পড়বে না।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিনহার মা নাসিমা আখতারকে ফোন করে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেন।

৫১ বিএমএ লং কোর্সে অংশ নিয়ে সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া সিনহা ২০১৮ সালে সৈয়দপুর সেনানিবাসে থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬আগস্ট, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর