পুঁজিবাজারের  ৯ কোম্পানির  ১৭ পরিচালকের  পদ  শূন্য

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণ না করে পদে থাকায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত৯ কোম্পানির১৭ পরিচালকের পদ শূন্য ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

“বিএসইসি থেকে রেজিস্টার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ- ইডরা'র কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” এ তথ্য জানিয়েছেনবাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

জানা গেছে,গত ২ জুলাই ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালককে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার জন্য চিঠি দেয় কমিশন। ইতোমধ্যে ২৫ পরিচালক ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। বাকিদের মধ্যে ১৮ জন পরিচালক নিজেরাই কোম্পানি পর্ষদ থেকে চলে গেছে। আর ৯ কোম্পানির ১৭ পরিচালক এখনো পর্ষদে আছেন। তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে বিএসইসি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুলাই,২০ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২২টি কোম্পানির ৬১জন পরিচালককে নূন্যতম শেয়ার ধারণ নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিলো। তবে এই নির্দেশনা থেকে স্বতন্ত্র পরিচালকরা বাদ থাকবে।

কমিশনের আদেশে যে ৯ কোম্পানির ১৭ পরিচালক তাদের পদ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিআইসি) পরিচালক সোহাইল হুমায়ুন, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক পাইওনিয়ার ড্রেসেস লিমিটেড, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মো. লোকমান চৌধুরী, ইনটেক লিমিটেডের পরিচালক এটিএম হাবিবুল আলম, সাদিকা মাহবুব ও আনিসুজ্জামান, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক শারমিন নাসির ও দিলরুবা শারমিন, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালক শফিক আহমেদ, আজাদ মোস্তফা, আজিজ মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ, ফারহানা ইসলাম সোনিয়া ও সাদ কাদির বিন সোলাইমান, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালক হাবিব ই আলম চৌধুরী ও বদলুর রহমান খান, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডের পরিচালক শাহিনুর আলম।

উল্লেখ,২০০৯-১০ সালে শেয়ার কারসাজির পর ভয়াবহ দরপতনের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ও সম্মিলিতভাবে নূন্যতম শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, কোম্পানি পরিচালনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পর্ষদ গঠন করা।

ওই নির্দেশনায় পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এককভাবে কমপক্ষে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির ২ শতাংশ শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল বিএসইসি। এ ছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার শর্ত দেয়। গত আট বছরে অনেক পরিচালক ও কোম্পানি এ শর্ত লঙ্ঘন করেছে।

এ নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই ৪ কোম্পানির ১৪ জন পরিচালক আদালতে রিট করেন। আর শেষ পর্যন্ত পরিচালকদের রিট খারিজ করে বিএসইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে আদালত। (দ্য রিপোর্ট/টিআইএম/২১ সেপ্টেম্বর)