thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

এক ডোজেই সফল জনসনের করোনা ভ্যাকসিন!

২০২০ সেপ্টেম্বর ২৭ ১০:৪৯:২১
এক ডোজেই সফল জনসনের করোনা ভ্যাকসিন!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের একটি ডোজই কার্যকর বলে দাবী করেছে প্রতিষ্ঠানটি । একটি ডোজই নোভেল করোনার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও মধ্যবর্তী ধাপে ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসনের গবেষকরা।

সারা বিশ্বে নোভেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যখন তিন কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে, সেই সময় একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টে এমনটাই দাবি করল মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন।

শুক্রবার মেডআরএক্সআইভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, পৃথক ভাবে দু’টি ডোজ প্রয়োগ করে সমান প্রতিক্রিয়া মিলেছে। তবে একটি মাত্র ডোজ দিলে কতটা কাজ হয় এবং দু’টি ডোজ প্রয়োগে কী ফল মেলে, এই মুহূর্তে তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যদি দেখা যায় যে একটি ডোজেই কাজ হচ্ছে, সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বয়স্কদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি তাই তাঁদের ওপর এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী হবে সেটাই এখন পরীক্ষা করে দেখছেন গবেষকরা। অল্পবয়সীদের মতো এই ভ্যাকসিনের একটি মাত্র ডোজ তাঁদেরও সমান ভাবে রক্ষা করবে কি না, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে।

জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের নাম এডি২৬.কোভ২.এস। গত জুলাই মাসে প্রথমে একদল হনুমানের উপর ওই প্রতিষেধক পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়। তাতে দেখা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে সেটি। তার পরেই মার্কিন সরকারের অনুমোদনে ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর প্রাথমিক পর্যায়ে সেটির প্রয়োগ শুরু হয়।

জনসন অ্যান্ড জনসনের গবেষকদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যাঁদের উপর ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা কিনা টিকা নেওয়ার পর ২৯ দিন পর্যন্ত প্যাথোজেন থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করতে সক্ষম।

সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিনের প্রয়োগে শরীরে কী প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, তা ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে মাত্র ১৫ জনের উপরে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাই ব্যাপক হারে পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক টিএইচ চ্যানের মতে, কোনও ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে হলে আরও ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার প্রযোজন রয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই কোনও ভ্যাকসিনকে নিরাপদ বলে মানা সম্ভব।
জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ৬০ হাজার মানুষের উপর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে।

এ বছরের শেষ দিকে অথবা চলতি বছরের শুরুতেই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হয়ে যাবে এবং তারপরেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে পারবে বলে আশাবাদী জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তৃপক্ষ। তবে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে জনসন অ্যান্ড জনসনের থেকে ফাইজার এবং মডার্নাকেই এগিয়ে রাখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই দুই সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের আগে প্রতিষেধক এনে ফেলবে বলে ধারণা তার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭সেপ্টেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর