thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তারকাদের শোক

২০২০ নভেম্বর ২৬ ২২:২৫:৪৮
ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তারকাদের শোক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বুধবার হার্ট অ্যাটাকে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আর্জেন্টিনা ফুটবল লিজেন্ড ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তার মৃত্যুতে তারকারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তাদের অনুভূতি। ম্যারাডোনার মৃত্যু-শোক ছুঁয়ে গেছে তারকাদের।

পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো তারকাদের শোক:

শাকিব খান: তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমার দেখা সর্বকালের সেরা ফুটবলার তিনি। তিনি সেরাদের সেরা ছিলেন। সাদিকা পারভিন পপি লেখেন, কিংবদন্তির মৃত্যু নেই। জয়া অহসান লিখেছেন, বিদায় রাজপুত্র।

চঞ্চল চৌধুরী: আমাদের কৈশরে, স্কুল জীবনে মিশে ছিল যে নামটি। ম্যারাডোনা। চলে গেলেন পরপারে। খুব বেশী করে ফিরে যাচ্ছি সেই অতীতে। ম্যারাডোনার ছবিওয়ালা খাতায় লিখতে লিখতেই, স্কুল জীবন পার করা। এখন কেমন লাগছে, অনেককেই বোঝানো যাবে না। আমাদের গ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়িতে একমাত্র সাদাকালো টেলিভিশন। তখনও গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌছায়নি। ব্যাটারী চালিত সাদাকালো টেলিভিশনে রাত জেগে চেয়ারম্যান বাড়ির উঠোনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখা। কত কত স্মৃতি। তার আত্মার শান্তি হোক।

আরিফিন শুভ: একটি ইতিহাসের সমাপ্তি। শুভ বিদায় জাদুকর। আফরান নিশো লিখেছেন, রেস্ট ইন পিস দিয়াগো ম্যারাডোনা। নিরব লিখেছেন, ছোটবেলায় ফুটবল কি জানতামই না। শুধু জানতাম ফুটবল মানেই ম্যারাডোনা। কন্ঠশিল্পী আঁখী আলমগীর লিখেছেন, রেস্ট ইন পিস দিয়াগো ম্যারাডোনা। খুব দ্রুতই চলে গেলে।

মামুনুর রশীদ: ফুটবল মানেই তো ম্যারাডোনা আর পেলে। তবে, এদেশে ফুটবলকে গভীরভাবে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন ম্যারাডোনা। শত শত মাইল দূরে থাকা একজন খেলোয়াড় কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন এদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে— তার অন্যতম উদাহরণ ম্যারাডোনা।

এটা মূলত হয়েছিল ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ খেলার সময় থেকে। ওই বছর ম্যারাডোনার কারণেই তার দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তখন এদেশে রঙিন টেলিভিশন এসে গেছে। এছাড়া মধ্যবিওরা সাদাকালো টেলিভিশন কেনার সক্ষমতা অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে শহর বলি আর গ্রাম বলি টেলিভিশনে ম্যারাডোনার খেলা দেখে তাকে ভালোবেসে ফেলেছেন। যা আর কমেনি। তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশ শুধু নয়, সারা বিশ্ববাসী তাকে কতটা ভালোবাসতেন। এই ভালোবাসা কমবে না, থেকেই যাবে।

আফজাল হোসেন: ম্যারাডোনা আসলেই ফুটবলের জাদুকর। একজন বিশ্বনন্দিত ফুটবলার তিনি। আমাদের দেশে তার কোটি কোটি ভক্ত রয়েছেন। এইরকম সারা বিশ্বে আছে তার ভক্ত। ফুটবলে কতটা জাদু দেখাতে পারলে এত বড় ভক্ত সংখ্যা হয় একজন খেলোয়াড়ের।

হঠাৎ করেই টেলিভিশনে তার চির বিদায়ের কথাটি শুনে খারাপ লেগেছে। বার বার ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সময়টির কথা চোখে ভাসছে। ওই বছরই বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তিনি। যার ফলেই মূলত আমাদের দেশে তিনি এতটা জনপ্রিয়। তার এই জনপ্রিয়তা রয়ে যাবে বছরের পর বছর। পরপারে ভালো থাকুন তিনি।

সুবর্ণা মুস্তাফা: তাকে বিদায় বলব না। তার মত নামি খেলোয়াড় দেহগতভাবে না থাকলেও সব সময় থাকবেন তার খেলা দিয়ে। সব সময় থাকবেন। তাই বিদায় বলা হলো না। ফুটবলের ইতিহাসে তিনি একটি ইতিহাস। ফুটবলে তিনি স্বর্গ গড়েছেন এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনি সেরাদেরও সেরা।

জাহিদ হাসান: ম্যারাডোনাকে ফুটবুল জাদুকর বলা হয়। আমি বলব— আরও বেশি বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এইরকম নামকরা খেলোয়াড় শতবছরে হয়ত একবার আসবে। একজন মানুষ খেলার জন্য এদেশে কত জনপ্রিয়। তার তুলনা তিনি নিজেই। তার চলে যাওয়ার কথাটি শুনে ১৯৮৬, ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ খেলার কথা খুব করে মনে পড়ছে। বিশেষ করে, ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তিনি। ওই স্মৃতিটা খুব মনে পড়ছে। তার আত্মা শান্তিতে থাকুক এটাই চাওয়া। আমরা তাকে মনে রাখব ভালোবাসা দিয়ে।

ফেরদৌস: ফুটবল ভালোবাসেন না এইরকম মানুষ কমই পাওয়া যাবে। আর নানা দেশ সাপোর্ট করলেও ম্যারাডোনাকে পছন্দ করেন না— এইরকম ভক্তও কম পাওয়া যাবে। অন্য দেশ সাপোর্ট করলেও ম্যারাডোনার প্রতি ভালোবাসা, ম্যারাডোনার ছন্দময় খেলার সমর্থন করা মানুষ বিশ্বে কোটি কোটি।

আমাদের দেশে তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। এইরকম একজন খেলোয়াড়ের খেলার ভক্ত আমিও। তার চলে যাবার খবরে খুব খারাপ লেগেছে। যেখানে থাকুন শান্তিতে থাকুন ফুটবল জাদুকর।

রিয়াজ: ছেলেবেলায় ফুটবল খেলার স্মৃতি মনে করা মানেই ম্যারাডোনার নামটি মনে করা। আমরা ছেলেবেলায় যখন ফুটবল খেলতাম, তখন ম্যারাডোনার ক্রেজ তুঙ্গে। যেখানে ফুটবল সেখানেই ম্যারাডোনার নাম সে সময়ে।

হাজার হাজার মাইল দূরের দেশের একজন মানুষের জন্য কত ভালোবাসা আমাদের। বড় হয়ে টের পেয়েছি তারকার জন্য ভক্তদের ভালোবাসা এমনই।

তার চলে যাওয়ার খবরে কষ্ট পেয়েছি। নানা চ্যানেলে তার না থাকার খবরটি গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। মানুষ ম্যারাডোনার মৃত্যু হলো, কিন্তু খেলোয়াড় ম্যারাডোনার তো মৃত্যু নেই। তিনি বেঁচে থাকবেন কোটি কোটি ভক্তদের ভালোবাসা নিয়ে।

বিদ্যা সিনহা মীম: যে দেশই সমর্থন করি না কেন— ম্যারাডোনার প্রতি ভালোবাসা সব সময় ছিল, এখনো আছে। হঠাৎ করে তার মৃত্যুর খবর শুনে খারাপ লেগেছে। খেলা দিয়ে কতটা বিশ্ব নন্দিত হওয়া যায় তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ম্যারাডোনা। তার মতো খেলোয়াড়ের ভালোবাসার মানুষের অভাব কখনো হবে না। ফুটবলের জাদুকর হিসেবে তিনি চির অমর হয়ে থাকবেন।

ক্লোজআপ তারকা সাজিয়া সুলতানা পুতুল: যাদুকর কাকে বলে? যখন একজন মানুষ তার কারণে পৃথিবীর কোটি মানুষকে তার দেশটিকে চিনিয়ে দিতে পারেন, পারেন তারই মতো ক্ষ্যাপাটে অনুরাগীতে পরিণত করতে, পারেন চূড়ান্ত ব্যর্থতাতেও সেই দেশের সমর্থন ছেড়ে অন্য কোনো দলের অনুরাগী না হতে বাধ্য করতে, পারেন প্রজন্মের পর প্রজন্মে তার দেশের নামটিকে বুকে গাঁথিয়ে নিতে, পারেন শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে থেকেও গলা উঁচিয়ে সমর্থকদের কথা বলিয়ে নিতে, পারেন তার দেশ থেকে হাজার মাইল দূরের দেশের ছোট্ট গ্রামের চায়ের দোকান বা বাড়ির ছাদে তার দেশের পতাকা টানিয়ে নিতে! তবে সেই মানুষটিকে ম্যারাডোনা হতে হয়! ফুটবলবিশ্বের সবচেয়ে আদুরে আর পাগলাটে আর ক্ষ্যাপাটে আর অভিমানী নাম, বিদায়! গতকাল ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬নভেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর