thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১,  ২৭ রবিউল আউয়াল 1446

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও ছাত্র

২০২০ ডিসেম্বর ০৬ ১৮:১৮:০১
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও ছাত্র

সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী,কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় পুলিশ রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

রাত ২ টা ১৬ মিনিটে পাঞ্জাবী-পায়জামা পরিহিত দুই মাদ্রাসা ছাত্র পায়ে হেটে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যস্থলে আসেন। কুষ্টিয়া শহরের পাচ রাস্তার মোড়ে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষ্কর্যের গা ঘেষে থাকা মই বেয়ে উপরে ওঠেন। পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর হাতের উচু তজুনে আঘাত করে। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে করে হাত ও পরে মুখের অংশে ভাংচুর করে। প্রায় নয় মিনিট পর একই মই দিয়ে নেমে পায়ে হেটে চলে যান তারা। পুলিশ ওই দুইজন মাদ্রাসা ছাত্রসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাংচুরের ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ড.খ মহিদ উদ্দিন এর প্রেস বিফ্রিং থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সম্মেলন কক্ষে তিনি এই প্রেস বিফ্রিং করেন।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষন করে প্রথমে দুই ভাই মাদ্রাসা ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা ভিডিও দেখে ভাষ্কর্য ভাঙা দুই জনের চিনতে পারেন। তার দেওয়া তথ্যেও ভিত্তিত্বে গেল রাতভর অভিযান চালিয়ে ভারত সীমান্তের দৌলতপুরের ফিলিপনগর গোলাবাড়ি নামক নিজ গ্রাম থেকে সামছুল আলম এর ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর থেকে সমসের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) কে গ্রেফতার করে। এরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

পরবর্তিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক তাদেরকে পালাতে ও সাহস জুগিয়ে সহযোগীতা করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক আল আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলী (২৬) কে গ্রেফতার করে। আল আমিন মিরপুরের ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও ইউসুফ আলী পাবনা জেলার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে।

ডিআইজি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই ঘটনায় পুরো দেশ যেমন ব্যথিত হয়েছে আমরাও তাই। এর পেছনে কোন লিংকেজ আছে কিনা তা তদন্ত করে বের করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬ডিসেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর