thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

পোষা বিড়াল থেকে হতে পারে সিজোফ্রেনিয়া

২০২১ জানুয়ারি ১৭ ১১:৩৮:২৪
পোষা বিড়াল থেকে হতে পারে সিজোফ্রেনিয়া

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিজ্ঞানীরা এমন একটি পরজীবী জীবাণু খুঁজে পেয়েছেন যা থেকে মানুষ সিজোফ্রেনিয়া ও বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আশঙ্কার বিষয় হলো বেশির ভাগ বিড়ালের শরীরেই এই জীবাণু থাকতে পারে। ফলে পোষা বিড়ালের কাছ থেকেই এমন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শিশু-কিশোরদের।

পোষা বিড়ালের থেকে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু -কিশোররা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানলি মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা বিড়াল পোষার সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়ার যোগসূত্র নিয়ে বেশ কিছু পর্যালোচনা করার পর যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে, শৈশবে বিড়াল পোষার অভ্যাস ছিল এমন ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পরবর্তী জীবনে মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

গবেষকেরা বলছেন,‘তিনটি আলাদা গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে বাড়িতে বিড়াল পোষার রীতি ছিল এমন পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পরবর্তী জীবনে সিজোফ্রেনিয়া বা অন্য মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা গিয়েছে।’

পরজীবী জীবাণুটির নাম ‘টক্সোপ্লাজমা গনডি’। যা প্রায় সব বিড়ালের শরীরেই বাসা বাঁধতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘টক্সোপ্লাজমা গনডি’র প্রভাব বোঝা যায়না।

তা বলে কী বিড়াল পোষা মানা? একেবারেই তা নয়। পোষা বিড়ালকে বাড়ির মধ্যেই আবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা, বিড়ালের পরিচ্ছন্নতায় মনোযোগ বাড়ানো এবং বিড়ালের থাকার জায়গা বা বিড়ালের খেলার বালির বাক্স ব্যবহারের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় ঢেকে রাখলে ‘টক্সোপ্লাজমা গনডি’ জীবাণুর বিস্তার রোধ করা যেতে পারে।

লন্ডনের সেন্ট জর্জেস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক রিচার্ড হলিম্যান বলেন, ‘টক্সোপ্লাজমা আসলে খুব বেশি লোকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় না। তবে যখন এর সংক্রমণ ঘটে, পরিণাম হয় বিধ্বংসী। এর সংক্রমণ নিয়ে কোনো শিশু জন্মালে তার জীবনটাই বরবাদ হয়ে যায়।’

এই পরজীবী টকসোপ্লাজমা গন্ডি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই আছে।

টক্সোপ্লাজমা গন্ডি এই পরজীবীর সংক্রমণে জন্মকালীন ত্রুটি, অন্ধত্ব ও স্মৃতিভ্রম ঘটার মতো বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পরজীবী জীবাণু ঘটাতে পারে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মস্তিষ্কের সমস্যা।

এই পরজীবীর সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সন্তানসম্ভবা নারী। যাদের স্নায়ু দুর্বল, তাদের ও এ রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের গর্ভাশয়ে থাকা শিশুরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বাড়ির পোষা বিড়ালটিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এবং এক বিড়াল থেকে আরেক বিড়ালে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। এর থেকে মানুষও করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হতে পারে। পোষা বিড়াল বা যে কোন বিড়ালের সংস্পর্শ থেকে সবাই সাবধান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ জানুয়ারি, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর