তৃণমূলে যোগ দিলেন চার বিশিষ্ট অভিনেতা-শিল্পী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন আরও চার অভিনেতা-অভিনেত্রী ও শিল্পী।

শুক্রবার ঘাসফুলের পতাকা হাতে তৃণমূলে যোগ দেন প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর দে, ভরত কল এবং লাভলি মৈত্র। বাদ যাননি সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের কন্যা শাওনা খানও।

এ টলিউড শিল্পীরা তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

তারা সকলেই জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এই যোগদানের মঞ্চ থেকেই কৃষক আন্দোলন থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেছেন ব্রাত্য।

তৃণমূলের পতাকা নেয়ার পর দীপঙ্কর বলেন, ‘আমি বহু দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে আছি। শারীরিক কারণে সব জায়গায় যেতে পারিনি এত দিন।’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ‘দায়বদ্ধতা ও কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করে বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, ‘উনি আমাকে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ দু’টি সম্মানে সম্মানিত করেছিলেন। এটা আমার জীবনে বড় ব্যাপার। আমি যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, তখন উনি দু’বার অরূপ বিশ্বাসকে আমার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। আমার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করেছে। অতএব আমি বেইমানি করতে পারব না। তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব।’

উস্তাদ রাশিদ খানের কন্যা শাওনা সঙ্গীতশিল্পীর পাশাপাশি সমাজকর্মীও। বহু সামাজিক কাজকর্মে তার অবদান রয়েছে। লাভলি মৈত্র ‘মোহর’ এবং ‘জলনুপূর’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুবাদে টেলিপাড়ায় জনপ্রিয় মুখ। অন্যদিকে ‘খাদ’, ‘জুলফিকর’, ‘বাদশাহি আংটি’-র মতো বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন ভরত। এখনও সিনেমা-ধারাবাহিকে তাকে দেখা যায়।

এদের যোগদান বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘শুধু এই চার জন নয়, আরও অনেকে যোগদান করছেন। কিন্তু জায়গার সঙ্কুলান না হওয়ায় এঁদের প্রতীকী যোগদান করানো হলো।’

এই যোগদানের মঞ্চেও নানা ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন ব্রাত্য। বলিউডের তারকাদের টুইট নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবারই কৃষক আন্দোলন সমর্থন করে টুইট করেছেন সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা খুনবার্গ, আমেরিকার পপ তারকা রিহানার মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশিষ্টরা। উল্টো দিকে সরকারের পক্ষ নিয়ে বলিউড তারকারাও টুইট করেছেন। কিন্তু সেই টুইটের ভাষা প্রায় হুবহু এক। কঙ্কনা সেন শর্মা আবার এই সব বলিউড তারকা, খেলোয়াড়দের উদ্দেশে টুইটে বলেছেন, ভয় পেয়ে একই ধরনের টুইট করেছেন তারা। এই নিয়েই ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তোলেন, ‘এঁদের কি ভয় দেখানো হচ্ছে? শিরদাঁড়া দিয়ে কি হিমেল স্রোত বইয়ে দেয়া হচ্ছে। মাথার কাছে বন্দুক রেখে টুইট করানো হচ্ছে না তো?’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)