thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

এলডিসি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভাবনা

২০২১ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৮:৫৯:৩০
এলডিসি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভাবনা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার কৃতিত্ব জনগণকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন জাতির জন্য মর্যাদাকর। তবে এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্নতৃপ্তিতে ডুবে নয়, এখনই উচিৎ ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণ। বিশেষ করে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পিছিয়ে গেলে বড় বিপদও চেপে বসতে পারে। তারপরও মর্যাদার বিষয়টি অনেক বড় অর্জন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে পোশাকশিল্প আজ এই সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। তাই এলডিসি থেকে বের হলে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে রপ্তানি খাত। তবে এই অর্জনে আমাদের সম্মানের পাশাপাশি দায়িত্বও বাড়িয়ে দেবে। আমাদের আগামী ৫ বছর প্রতিযোগিতা নির্ভরতার জন্য নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, সল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে। এর মাধ্যমে মানব উন্নয়নের অগ্রগতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলো বাংলাদেশ। ফলে পুঁজিবাজারসহ দেশের অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বিদেশিরা সস্তিবোধ করবে। বিপরীত দিকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। আমরা যে বৈদেশিক সহায়তা পাই তার সুদ হার বাড়বে। শুল্ক মুক্ত রপ্তানি সুবিধা থাকবে না। ফলে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য করতে হবে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হওয়া একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এর ফলে দেশের সম্মান বাড়বে। বিশ্বে ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ প্রসারিত হলো। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। সল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হওয়ার কারণে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। বিশেষ করে রফতানি খাতে এ চ্যালেঞ্জ বেশি। ফলে তৈরি পোশাক খাত, ওষুধ খাতসহ অন্যান্য খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে হবে। মোট কথা টেকসই উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এর মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক তিক্ত। এখানে শিল্প সম্প্রসারণের কথা বলা হয়, কিন্তু শিল্প টিকে থাকার লড়াইয়ে খুব একটা সাড়া মেলে না। আমরা প্রতিযোগীতার সক্ষমতায় এখন তলানিতে। শুল্ক সুবিধা হারালে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা দায় হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর