thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি ইরানের

২০২১ এপ্রিল ১২ ১৮:২৭:৫৫
পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি ইরানের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরাইলি নাশকতার প্রতিশোধ নেয়া হবে। উপযুক্ত সময়ে দখলদার ইসরাইল এর জবাব পাবে।

গতকাল রবিবার ইরানের নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে সংগঠিত ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা। এর আগে শনিবার ইরানের জাতীয় পারমাণবিক প্রযুক্তি দিবসের ১৫তম বার্ষিকীতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই প্ল্যান্টে নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সেন্ট্রিফিউজ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম ‘শান্তিপূর্ণ ও নাগরিক উদ্দেশ্যে’ হলেও দেশটির পারমাণবিক ক্ষমতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।

সোমবার রাজধানী তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। খাতিবজাদে বলেন, নাতানজের সেন্ট্রিফিউজগুলো প্রথম প্রজন্মের ছিল। এখন সেখানে উন্নত সেন্ট্রিফিউজ বসানো হবে। নাতাঞ্জে যা ঘটেছে তা ইরানের পারমাণবিক শিল্পের অগ্রগতিকেও যেমন থামিয়ে দেবে না তেমনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত চলমান প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারবে না।

নাতানজের ঘটনার বিষয়ে ইরান আইনি ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইরান আত্মরক্ষার অধিকার রাখে। নাতানজে যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হয়েছে তাতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারত, কাজেই এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরাইলের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র নীরবতার সমালোচনা করে খতিবজাদে বলেন, "আইএইএ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিৎ এই সন্ত্রাসী কাজের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এ ধরণের তৎপরতার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো।

গত বছরের জুলাইয়ে আগুন লাগার কারণে নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রের একটি ভবন পুড়ে যায়। ইরান সরকার তখন বলেছিল, এটি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর আক্রমণ। ২০১০ সালে স্টক্সনেট সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে ছিল নাতানজ। দেশটির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাইবার হামলাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

চলতি সপ্তাহে ভিয়েনায় ইরান ও পারমাণবিক চুক্তির অন্যান্য স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আলোচনা শেষ হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারাও ভিয়েনায় ছিলেন এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন— যারা এখনো এই চুক্তিতে আছেন। তবে, তারা সরাসরি ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেনি।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বের হয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তাই ইরানের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ট্রাম্প যুগের সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে এবং চুক্তি মেনে পুনরায় পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ এপ্রিল, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর