thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউস সানি 1446

বিদেশি খেলোয়াড়ে নির্ভরতা বাড়ছে

২০১৩ নভেম্বর ১১ ১৪:৩৮:৫৯
বিদেশি খেলোয়াড়ে নির্ভরতা বাড়ছে

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক: দেশি ফুটবলারদের চেয়ে বিদেশি ফুটবলার ও কোচদের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে পেশাদার লিগের ক্লাবগুলো। ম্যাচের ফলাফল গড়ে দিতে দেশি ফুটবলারদের চেয়ে বিদেশিরা ভালো ভূমিকা রাখছে বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাই বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচ দলে ভেড়াতে মরিয়া।

এবার এক ক্লাব ৭ জন বিদেশি খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে তবে গোলরক্ষকসহ সর্বোচ্চ ৫জন খেলোয়াড় মাঠে নামাতে পারবে। গত বছর প্রিমিয়ার লিগে ৬৬ জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলে গেলেও তাদের মধ্যে ৪৫ জনই ছিল আফ্রিকান। এবারও লিগে আফ্রিকান খেলোয়াড়র সংখ্যা বেশি থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সস্তায় পাওয়া যায় আফ্রিকান ফুটবলার।

নাইজেরিয়ান কোচ জোসেফ আফুসির অধীনে গতবার তিনটি টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড। সেই আফুসিকে এবার মোটা অংকের অর্থে দলে রেখেছে শেখ জামাল। ইরানি কোচ বাদ দিয়ে এবার থাইল্যান্ড থেকে জোনাথন হলকে উড়িয়ে এনেছে আবাহনী। দু এক দিনের ভেতর শেখ জামাল এবং আবাহনীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিদেশি কোচ নিয়োগ দিচ্ছে গোপীবাগের দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

তিনজন কোচ আছে ব্রাদার্সের পছন্দের তালিকায়। তার মধ্যে একজন পুরোনো মুখ ভারতের সৈয়দ নইমুদ্দিন। কলকাতা মোহনবাগানের সাবেক কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য আছেন তালিকায়। তৃতীয় জন হলেন সার্জিও ক্লদিও, ইনি ব্রাজিলিয়ান। ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন এই তিনজনের একজনকে আনা হতে পারে।

অন্য দিকে ক্লাবগুলো এখন হণ্যে হয়ে বিদেশি খেলোয়াড় খুঁজছে। কারণ দেশি ফুটবলার যা নেওয়ার তারা নিয়ে ফেলেছে। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ভাবনা এখন কেবল বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে। কারণ লিগে ক্লাবগুলোর ভরসা বিদেশি ফুটবলার। তাই ক্লাবগুলোতে এখন চলছে বিদেশি খেলোয়াড়দের ট্রায়াল।

শেখ রাসেলে মরক্কো থেকে এসেছে চারজন ফুটবলার। এরা হলেন-স্ট্রাইকার, ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডার। তাদের ট্রায়াল দেখে সন্তুষ্ট হলেই নিবদ্ধন সম্পন্ন হবে। এর আগেই এসেছেন জ্যামাইকান ফুটবলার, উরুগুয়ে থেকে আসছেন একজন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। মোদ্দা কথা ক্লাবগুলোতে এখন বিদেশি ফুটবলারদের হাট বসছে।

বিদেশি তরুণ কোচ নিয়োগ দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি আবাহনী। উচুঁ মানের বিদেশি ফুটবলার খোঁজছে দলটি। আকাশি-হলুদ জার্সিধারীরা ইতিমধ্যে ইরাক থেকে ফুটবলার এনেছে। বাংলাদেশে এখন আর মানসম্পন্ন বিদেশি ফুটবলার দেখা যায় না। আশির দশক এমনকি নব্বই দশকের প্রথম দিক পর্যন্ত উঁচু মানের বিদেশি ফুটবলার এদেশের মাঠে খেলতে দেখা গেছে। সে সময় ক্লাব কর্মকর্তারা বিদেশে গিয়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখে তাদের সাথে চুক্তি করেছেন। ঢাকায় এনে খেলিয়েছেন। অনেক দিন পর ইরাকি ফুটবলার দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী। এবার আকাশি-হলুদ জার্সি গায়ে ২৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার মোহাম্মেদ বাশার আলনিমাকে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে।

এর আগে ১৯৮৭ সালে প্রথম ইরাকি ফুটবলার দলে ভিড়িয়েছিল আবাহনী। ’৮৬ বিশ্বকাপ খেলে এসে আবাহনীর জার্সি গায়ে ঢাকার ফুটবল মাতিয়েছিলেন সামির শাকির ও করিম মোহাম্মদ আলভী। পরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচও হয়েছিলেন সামির। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফ গেমসে বাংলাদেশকে সোনা জেতান তিনি। তারপর নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগে আসেন নজর আলী ও জসিম মেহেদি। বাশার বাগদাদের প্রিমিয়ার বিভাগের দল সালাহ আলদিনে গত দুই মৌসুমে গোল করেছেন বিশটি। খেলেছেন ক্রোয়েশিয়া, সিরিয়ায়। মা সিরিয়ান, বাবা ইরাকি। জন্ম সিরিয়ায় হলেও বাবা ইরাকি হওয়ায় ইরাকি পাসপোর্টই নিয়েছেন বাশার। মোহামেডানে ট্রায়াল দিয়ে দেশে ফিরে গেছেন দুই কৃষ্ণাঙ্গ ডাচ ফুটবলার।

শেভেলো ডি রিপ ও মেলভিন গ্রুটফাম। প্রথমজন স্ট্রাইকার, বয়স ২৩। ২২ বছর বয়সী মেলভিন খেলেন মাঝমাঠে। দুজনেরই জন্ম হল্যান্ডে হলেও পূর্বপুরুষেরা এসেছেন সুরিনাম থেকে। একই সঙ্গে খেলেন হল্যান্ডের উটেখট শহরের প্রথম বিভাগের দল ম্যাগরেব নাইনটি ক্লাবে। শেভেলো এর আগে বাহরাইনে ট্রায়াল দিতে গেলেও সেখানে তার খেলা হয়নি। মেলভিন এই প্রথম এলেন হল্যান্ডের বাইরে। মোহামেডান তাদের ট্রায়াল দেখেছে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

(দিরিপোর্ট২৪/এএস/সিজি/নভেম্বর ১১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

খেলা এর সর্বশেষ খবর

খেলা - এর সব খবর