thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

অপরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির সুযোগ আসছে, অনুমতি ফি ৩০ লাখ

২০২১ জুলাই ০২ ১৯:১১:৩৫
অপরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির সুযোগ আসছে, অনুমতি ফি ৩০ লাখ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিদেশ থেকে অপরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করে দেশের কারখানায় পরিশোধন করে স্বর্ণের বার ও কয়েন উৎপাদন করা হবে। প্রয়োজনে স্বর্ণের বার ও কয়েন দেশীয় অলঙ্কারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

দেশে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির সুযোগ দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত মাসে স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করেছে।

বিদেশ থেকে অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির সুযোগ দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করেছে। কোন প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করতে পারবে, সেই বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

জানা গেছে, দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করে পরিশোধনের জন্য কারখানা স্থাপনের অনুমতি চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বর্ণ পরিশোধনের জন্য কারখানা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। অনুমোদনের শর্তানুযায়ী, নির্ধারিত স্থানে স্বর্ণ পরিশোধনগার স্থাপন করতে হবে। অন্যান্য সব ধরনের লাইসেন্সের পাশাপাশি স্বর্ণ পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুমোদিত ব্যবসায়ী সংগঠনের বৈধ সদস্য হতে হবে। অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।

অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির অনুমতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কাগজপত্র, হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সনদ, মূসক নিবন্ধন, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যপদের কপি, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জীবনবৃত্তান্ত, পরিশোধনাগারের নির্ধারিত স্থানের মালিকানার দলিল ইত্যাদি জমা দিতে হবে। অনুমতি ফি বাবদ ৩০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। অনুমোদনের মেয়াদকাল হবে পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে আবারও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির নবায়ন নিতে হবে।

সংশোধিত স্বর্ণ নীতিমালায় বলা হয়, বিশ্বের অলঙ্কার উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের দেশ, ভারত, চীন অন্যতম। আর অলঙ্কার আমদানিকারক দেশের মধ্যে সুইজারল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলজিয়াম, জার্মানি ও সিঙ্গাপুর শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে মেশিন ও হাতে তৈরি স্বর্ণের অলঙ্কারের বাজার ছিল ২২ হাজার ৯৩০ কোটি ডলারের। ২০২৫ সালে সেটির আকার বেড়ে ২৯ হাজার ১৭০ কোটি ডলার হবে। হাতে তৈরি অলঙ্কারের মূল্য সংযোজন বেশি। সারা দুনিয়ার ৮০ শতাংশ হাতে তৈরি অলঙ্কার বাংলাদেশ ও ভারতে তৈরি হয়। তবে নানা কারণে রপ্তানি বাজারে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি স্বর্ণের উচ্চমূল্যের কারণে দেশের বাজারও সংকুচিত হচ্ছে।

দেশে প্রতি বছর প্রায় ২০-৪০ মেট্রিক টন স্বর্ণের চাহিদা থাকলেও মাত্র ১০ শতাংশ পুরোনো অলঙ্কার দিয়ে চাহিদা মেটানো হয়। বাকিটা ব্যাগজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে আসছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০২ জুলাই, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর