thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১,  ২৭ রবিউল আউয়াল 1446

কৃষকের ৩০০ আমগাছ কেটে দিলেন বন কর্মকর্তা

২০২১ জুলাই ১০ ২০:৫৯:৩১
কৃষকের ৩০০ আমগাছ কেটে দিলেন বন কর্মকর্তা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় এক কৃষকের দুই একর জমিতে রোপণ করা তিন শতাধিক আমগাছ কেটে ফেলেছেন বন বিভাগের এক কর্মকর্তা। কৃষক নবী হোসেন দাবি করেন, এই বাগান সরকারি জায়গায় বলে প্রতিনিয়ত টাকা দাবি করতেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। আর টাকা না পেয়ে তারা গাছগুলো কেটে দিয়েছেন। যদিও কর্মকর্তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কৃষক নবী হোসেন বলেন, ‘বিগত ৪/৫ বছর ধরে দুই একর জমিতে আমি আমবাগান গড়ে তুলি। এই বাগানের আয় দিয়ে আমার সংসার চলে। ৪/৫ বছর ধরে বন বিভাগের চাহিদা মতো টাকা দিতে পারলেও এবার লকডাউনের কারণে দিতে পারিনি। এছাড়াও এবার এক লাখ টাকা দাবি করেন শামলাপুর বন-বিট কর্মকর্তা ফেরদৌস তুহিন। এ নিয়ে গত কয়েকদিন তর্কাতর্কির পর আজ শনিবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আমার বাগানের সব গাছ কেটে দিয়ে যায়।’

নবী হোসেন বলেন, লকডাউনের মধ্যে গাছের সব আম বিক্রি করতে পারেননি। এর মধ্যে সব গাছ কেটে শেষ করে দিয়েছেন। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

নবী হোসেনের ছেলে মো. ইমরান বলেন, ‘টাকা দিতে না পারায় তিন শতাধিক আমগাছ কেটে দিয়েছেন তারা। আমি চার হাজার টাকা দিতে চেয়েছি, ওরা এক লাখ টাকা দাবি করছে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে এত টাকা কোথায় পাবো?’

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন বলেন, ‘ওখানে আরও অনেকের আম বাগান রয়েছে। একজনের গাছ কেটে দিলে তো প্রশ্ন আসে কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। নবী হোসেনের কাছে টাকা চেয়েছে এটা শুনেছি। সবাই টাকা দিয়ে বাগান করছে।’

টেকনাফ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন বলেন, ‘টাকা দিতে না পারায় এভাবে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা সত্যি দুঃখজনক। এ বিষয়ে জানার জন্য বিট কর্মকর্তা ফেরদৌসকে আমি ফোন দিলেও তিনি কথা বলতে চাননি। শুনে আসছি, কিছু লোক দিয়ে তিনি প্রত্যেক বাগান থেকে টাকা তোলেন।’

গাছ কাটার বিষয় স্বীকার করে কক্সবাজার দক্ষিণ বন-বিভাগের হোয়াইক্যং রেঞ্জের শামলাপুর বিট কর্মকর্তা ফেরদৌস তুহিন বলেন, ‘বাগানের গাছ কেটে সেখানে সামাজিক বনায়ন করা হবে। সেই জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।’ তবে টাকা দাবির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার দক্ষিণ বন-বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১০ জুলাই, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর