thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি 25, ১০ মাঘ ১৪৩১,  ২৪ রজব 1446

ডেঙ্গুতে মারা গেলে পরিবারকে সহযোগিতা

২০২১ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৮:৫২:১২
ডেঙ্গুতে মারা গেলে পরিবারকে সহযোগিতা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তার পরিবার থেকে আর্থিক সহযোগিতা চাইলে তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া, চলতি মাসের শেষের দিক থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসতে পারে বলে আশা তার।

শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসিতে) ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ’ বিষয়ে এই আয়োজন করে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ নামে একটি সংগঠন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে কেউ যদি সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন তাহলে সেটি অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া হবে।

‘প্রতিটি মৃত্যুই অত্যন্ত বেদনাদায়ক যা আমাদের মর্মাহত করে। আমরা কেউ এ ধরনের মৃত্যু চাই না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে যারা মারা গেছেন তাদের কোনো পরিবার সহযোগিতা চাইলে সেটা আমলে নেয়া হবে।’

মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তৈরি হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে যারা আক্রান্ত অথবা মৃত্যুবরণ করছেন তাদের তথ্য নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হচ্ছে।

‘একাধিক উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায় শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে, নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন এগুলো আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়তো একটু সময় লাগতেছে, কিন্তু সব হাসপাতাল থেকে সঠিক তথ্য আসতেছে।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সেপ্টেম্বরের শেষে

তাজুল বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ মাসের পর থেকে আমাদের দেশে এডিস মশা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমবে।’

প্রকোপ বাড়লেই শুধু সরকার কাজ করে- এমন অভিযোগ নাকচ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মশার প্রকোপ বাড়লেই শুধু নিধন শুরু হয় এটি ঠিক নয়। সরকার সারা বছর ধরেই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।’

মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কাজ চলমান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি মাসেই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সভা করে স্ব স্ব দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়। এরপর সবাই অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। এ ব্যাপারে কারও অবহেলা করার সুযোগ নেই।’

মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে ঠিকই টাকা নিচ্ছেন- এমন অভিযোগ মন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য সুপারভাইজার বা পরিদর্শক অথবা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ করার জন্য সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে এবং তারা তা করছে। কেউ যদি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করলেও জনসম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ ছাড়া যেকোনো কিছু মোকাবিলা করা অসম্ভব। তাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এর থেকে উত্তরণ দুরূহ হবে না। আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে।’

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর