thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি 25, ১০ মাঘ ১৪৩১,  ২৪ রজব 1446

৮০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু, শনাক্ত হার কমে ৯.৮২

২০২১ সেপ্টেম্বর ০৪ ১৮:৩৯:০২
৮০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু, শনাক্ত হার কমে ৯.৮২

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ৮০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত এক দিনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৭৪৩ জনের দেহে, যা ৮৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। কমেছে শনাক্ত হারও।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ১২ হাজার ২৬ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৪৯৩ জনের।

এর চেয়ে কম মৃত্যু ছিল ১৮ জুন। সেদিন ৫৪ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর ২৪ ঘণ্টায় এর চেয়ে কম শনাক্ত হয়েছিল গত ১২ জুন, ১ হাজার ৬৩৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে শনাক্ত হারও। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৭৫০টি। শনাক্ত হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা ৯৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল গত ২ জুন। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৮১।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে মুক্তি লাভ করেছেন ৩ হাজার ৪২১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩ জন। সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬৩।

গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন, নারী ৩১ জন। এই নিয়ে ৯ বারের মতো পুরুষের চেয়ে নারী বেশি মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

মৃতদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ২, ত্রিশোর্ধ্ব ৬, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪ ও ষাটোর্ধ্ব ১১, সত্তরোর্ধ্ব ৫ ও অশীতিপর ২ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ১৩ জন। এ ছাড়া খুলনায় ৬ জন, রাজশাহীতে ৪, বরিশালে ২, সিলেটে ১, রংপুরে ২ ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।

গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ ছাড়িয়ে একপর্যায়ে ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ।

গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে। শাটডাউন চলাকালে নিয়মিতভাবে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই শর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও বহুজন।

ওই সময়ে প্রথমে রাজশাহী বিভাগ ও পরে খুলনা বিভাগে মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা দেয়া যাচ্ছিল না, দেখা দেয় অক্সিজেন সংকট।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে ঢাকায় অতটা না ছড়ালেও জুনের শেষ দিকে রাজধানী ও আশপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়াতে থাকে। হাসপাতালে তৈরি হয় ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। বিশেষ করে আইসিইউ সংকটে রোগীদের স্বজনরা পড়েন দুর্ভোগে। তবে এখন করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ করা হাসপাতালের শয্যার বেশির ভাগ অংশই ফাঁকা পড়ে আছে। আইসিইউ ইউনিটগুলোও এখন চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে।

.(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর