thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিদিনই

২০২১ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৯:৪৪:২৫
এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিদিনই

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলে প্রথমে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করার যে ঘোষণা ছিল, সেটি এসএসসি, এইচএসসি ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নয় বলে স্পষ্ট করেছে সরকার। এই তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে বসতে হবে প্রতি দিনই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে রোববার বিকেলে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যারা ২০২১ সালে এসএসসি-এইচএসসি আর আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। এছাড়া অন্যান্য ক্লাস একদিন চলবে। একইভাবে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি প্রতিদিন এবং অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে একদিন চলবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১৭ মাস যেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল না, তাই চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে ক্লাসের সময়সূচি স্বাভাবিক করা হবে। বাকি সব শ্রেণিতে একদিন করে ক্লাস হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’

কারও স্বজনের করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকে তার ক্লাসে আসার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এও বলেন যে, আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হাওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, মধ্য অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার একটি পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আবারও উপাচার্যদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারা চাইলে এর আগেও খুলতে পারবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও নার্সিংবিষয়ক সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি, সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রিন্সিপালসহ সবার মতামত নিয়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্টদের আগে থেকেই তাগিদ দিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী বিশেষ করে শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন মনোচিকিৎসকরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

আর শিক্ষামন্ত্রী বলে আসছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি তাদের আছে। করোনা পরিস্থিতি আর একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ভাষ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত বেশি সময় বন্ধ থাকবে, ততই বাড়বে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর