thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২২ জানুয়ারি 25, ৮ মাঘ ১৪৩১,  ২২ রজব 1446

প্রতিরক্ষা সহায়তায় বাংলাদেশ-ফ্রান্স ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ সই

২০২১ নভেম্বর ১০ ১২:০৬:৫৫
প্রতিরক্ষা সহায়তায় বাংলাদেশ-ফ্রান্স ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ সই

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরো জোরদারে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স। এই উদ্দেশ্য পূরণে উভয়পক্ষ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ সই করেছে।

প্যারিস সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পরে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দুই দেশের অংশীদারিত্বে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয় আরো দৃঢ় করতে উভয় পক্ষ আগ্রহী।

এ উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য বিষয়ে জোরালো সংলাপ ও সহযোগিতা বাড়াতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। এছাড়া, উভয়পক্ষের চাহিদা ও তা পূরণের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনা সংক্রান্ত সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্রমবিকাশমান অর্থনীতির সুযোগ নিতে চায় ফ্রান্স। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সামগ্রী যেমন: রাফাল বিমান, রাডারসহ অন্যান্য উপকরণ বিক্রি করতে চায় ইউরোপের এই দেশটি।

১৪ পয়েন্ট ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের ভিশন এক এবং উভয়পক্ষ উন্মুক্ত, অবারিত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক চায়।

আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উভয়পক্ষ একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হওয়ার পাশাপাশি সমুদ্র নিরাপত্তা ও সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতা বাড়াতে রাজি হয়েছে।

এদিকে সরকারি সংবাদ সংস্থা বিএসএস জানায়, শেখ হাসিনাকে এলিসি প্রাসাদে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি দুই শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে একান্ত আলোচনা হয়। প্যারিসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এয়ারবাসের সিইও গুইলাম ফৌরি, ড্যাসল্ট এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এরিক ট্র্যাপিয়ার এবং থ্যালেসের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস কেইন বুধবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লিও তার সঙ্গে দেখা করবেন।

উল্লেখ্য, পার্লিও গত বছর বাংলাদেশ সফর করেছেন। এছাড়া ড্যাসল্ট এভিয়েশন ফ্রান্সের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা।

এ সফর প্রসঙ্গে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক মনে করেন, ফ্রান্সের সঙ্গে যেকোনও ধরনের সহযোগিতায় যুক্ত হলে বাংলাদেশের জন্য ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি কম। এর কারণ হচ্ছে, উভয় দেশ যেমন ইন্দো-প্যাসিফিকে (আইপিএস) কাজ করছে তেমনি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) যোগ দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আইপিএস ও বিআরআই বাংলাদেশের মতো দেশের উন্নয়নে পরিপূরক ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে আইপিএস-এ সম্পৃক্ত হলে বাংলোদেশের জন্য স্ট্র্যাটেজিক অপরচুনিটি তৈরি হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০ নভেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর