thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

বিড়ির মূল্যস্তরসহ শিল্প রক্ষার্থে মালিক ও শ্রমিকদের মতবিনিময় সভা

২০২১ ডিসেম্বর ২০ ১৮:০১:২২
বিড়ির মূল্যস্তরসহ শিল্প রক্ষার্থে মালিক ও শ্রমিকদের মতবিনিময় সভা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিড়িতে ৩টি মূল্যস্তরসহ শ্রমিক ও শিল্প রক্ষার্থে কুষ্টিয়ায় বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার কুষ্টিয়ায় মাসুদ বিড়ি ফ্যাক্টরীতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মাসুদ বিড়ির ফ্যাক্টরীর মালিক মিশারুল ইসলাম লোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কুষ্টিয়া জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ডাক্তার আমির হোসেন বাচ্চু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া মুনছুর বিড়ির মালিক শাহাব উদ্দিন মিলন, বাংলাদেশে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শ্রমিক নেতা লুৎফর রহমান প্রমুখ।

আলোচনা সভায় মাসুদ বিড়ির ফ্যাক্টরীর মালিক মিশারুল ইসলাম লোটন বিড়িকে সিগারেটের ন্যায় ৩টি স্লাব করার প্রস্তাবনা পেশ করেন। প্রস্তাবনাগুলো হলো প্রথম স্লাব বড় (প্রতি প্যাকেট ১৪টাকা), দ্বিতীয় স্লাব মাঝারি (প্রতি প্যাকেট ১২টাকা) ও তৃতীয় স্লাব ছোট (প্রতি প্যাকেট ১০টাকা)।

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন,“বিড়ি মালিকরা বাঁচলে শ্রমিকরা বাঁচবে। যদি বিড়ি ফ্যাক্টরী বাঁচে তবে মালিকরা বাঁচবে। মালিক ও শ্রমিকদের সম্পর্ক একে অপরের সাথে জড়িত। বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হলে যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আগামী বাজেটে বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হলে শ্রমিকলীগ আপনাদের সাথে থাকবে।”

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বিড়ি শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। বিজয়ের এ মাসে আমরা বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

বক্তারা আরো বলেন, “অসহায় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র দেশীয় বিড়ি শিল্পে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাত্রাতিরিক্ত করের ভয়ে নকল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ি বাজারজাত করে শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে। এতেকরে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রস্তাবিত তিনটি স্লাবে বিড়িকে ভাগ করা হলে জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি কমবে এবং একই সাথে সরকার সকল স্তরের বিড়ি থেকে রাজস্ব পাবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২০ ডিসেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর