thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ 25, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১,  ১৩ রমজান 1446

‘করোনা শিখিয়েছে প্রতিটি দেশ পরস্পর নির্ভরশীল’

২০২১ ডিসেম্বর ২৪ ১৭:৩৯:১৪
‘করোনা শিখিয়েছে প্রতিটি দেশ পরস্পর নির্ভরশীল’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কোনো দেশ একা একা চলতে পারে না। বিচ্ছিন্নভাবে উন্নতি করতে পারে না। করোনা মহামারি সবাইকে শিখিয়েছে যে, প্রতিটি দেশ পরস্পর নির্ভরশীল। উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বার্থে সব দেশকে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে হবে।

মালদ্বীপের জাতীয় সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় দেশটির সরকারি ও বেসরকারি খাতকে পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, আমি আশা করি আমাদের (বাংলাদেশ-মালদ্বীপ) উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুসংহত হবে। বাংলাদেশ সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমি মালদ্বীপের সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামী ৫০ বছরে উন্নয়ন যাত্রায় আমাদের অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার নীতিগত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি, যেমনটি আমাদের জাতির পিতা বলে গেছেন।

এর আগে মালদ্বীপের জাতীয় সংসদ ‘পিপলস মজলিস’ এ শেখ হাসিনাকে সেদেশের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ ও ডেপুটি স্পিকার স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং মালদ্বীপের সংসদের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ তার বক্তৃতায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশের নেতৃত্ব দেওয়ায় শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুগুলোতে সম্মত করাতে শেখ হাসিনাকে পাঁচ চুক্তি প্রণেতার অন্যতম হিসেবে বিবিসি রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করেন মোহাম্মদ নাশিদ। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একটি নৌকার চিত্র শিল্পকর্ম উপহার দেন।

সংসদে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা আরো বলেন, মালদ্বীপের উন্নয়নের যাত্রা, এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে সফল উত্তরণ প্রত্যক্ষ করে আমরা বিশেষভাবে উৎসাহিত হয়েছি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ পরিপূরকতাগুলোকে কাজে লাগাবে।

তিনি বলেন, এই সুন্দর দেশের গণতন্ত্রের প্রাণকেন্দ্র, রাজনীতি ও নীতির এই আবাসস্থলে মজলিসের বিশিষ্ট সদস্যদের মাঝে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি গভীরভাবে সম্মানিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এখানে একটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সংসদে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত, যার সাথে আমাদের ঐতিহাসিক যোগসূত্র, বহুবিধ মিল, একই ধরনের চ্যালেঞ্জ এবং সমৃদ্ধির একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করে থাকি।

২০২১ সালকে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী বছর উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। দুদেশের আগামী ৫০ বছরের যাত্রা আরও ফলপ্রসূ হবে এবং জনগণের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আনবে।

এ সময় প্রধানমনন্ত্রী মালদ্বীপের জনগণ এবং দেশটির অগ্রগামী নেতাদের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সারাটি জীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত শোষণ, বঞ্চনাহীন সমাজ বিনির্মাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন।

গত মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর