thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

পরলোকে অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পয়টিয়ের

২০২২ জানুয়ারি ০৯ ১০:৩৪:০২
পরলোকে অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পয়টিয়ের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রুপালি পর্দায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও মর্যাদাবান নায়কের চরিত্র রূপায়নে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। সেই সময়টায় মার্কিন মুলুকের চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য বা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কৃষ্ণাঙ্গদের কাজের সুযোগ কম ছিল। তবে তা সত্ত্বেও অভিনয় দক্ষতায় সিডনি পটিয়ার হয়ে উঠেছিলেন সমসাময়িক শীর্ষ অভিনেতাদের একজন।

সেই সিডনি পয়টিয়ের (৯৪) মারা গেছেন গত ৬ জানুয়ারি, লস অ্যাঞ্জেলেস অঙ্গরাজ্যের ক্যালিফোর্নিয়ায়। তিনি ছিলেন মর্যাদাকর অস্কার পুরস্কার জয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা। সিডনি পয়টিয়ের ‘হলিউডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মুভি স্টার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সিএনএন। মার্কিন উপপ্রধানমন্ত্রী চেস্টার কুপার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন একজন আইকন, একজন মেন্টর, একজন যোদ্ধা এবং সর্বোপরি একটি জাতীয় সম্পদ।’

হলিউডে বর্ণবৈষম্য দূর করায় নেতৃত্ব দেন সিডনি পয়টিয়ার। তার অভিনীত অনেক চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য ছিল মার্কিন নাগরিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঘটা সামাজিক পরিবর্তন।

১৯৬৭ সালে পয়টিয়ের ‘ইন দ্য হিট অব দ্য নাইট’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন একজন গোয়েন্দার চরিত্রে। তার চরিত্রটি ছিল সামাজিক কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে লড়াই করা এক যুবকের।

টেলিভিশনেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন পয়টিয়ের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি অসামান্য দক্ষতায়। পাশাপাশি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন বিচারপতি থারগুড মার্শালের চরিত্রেও অনবদ্য অভিনয় করেন তিনি।

২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকত্ব সম্মান ‘মেডেল অব ফ্রিডম’-এ অভিষিক্ত করেন।

১৯২৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে জন্ম নেওয়া এই খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী ‘লিলিস অব দ্য ফিল্ড’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৩ সালে সেরা অভিনেতার অস্কার জিতেন। এর পাঁচ বছর আগে ‘দ্য ডিফিয়েন্ট ওয়ানস’-এ অভিনয়ের জন্য প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

সর্বশেষ ২০০২ সালে অভিনয় ক্ষেত্রে জীবনব্যাপী অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তাকে সাম্মানিক অস্কার দেওয়া হয়।

৫০ ও ৬০ দশকে বর্ণবৈষম্যকে কেন্দ্র করে আন্দোলন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। দেশ-সমাজের সেই সময়কার বিভিন্ন চিত্র নানা চরিত্রে রুপালি পর্দায় তুলে ধরে সিডনি পয়টিয়ের সাফল্যের শীর্ষে উঠেছিলেন।

১৯৬৭ সালে দুটি ছবি ‘গেস, হু ইজ কামিং টু ডিনার’ এবং ‘ইন দ্য হিট অব দ্য নাইট’ দর্শকদের মনে আলাদা স্থান তৈরি করে দেয় তার জন্য। ‘গেস হু ইজ কামিং টু ডিনার’-এ তিনি অভিনয় করেন এক কৃষ্ণাঙ্গ চিকিৎসকের ভূমিকায় যে তার শ্বেতাঙ্গ বাগদত্তার বাবা-মায়ের মন জিতে নেয়।

সিডনি পয়টিয়েরের বাবা রেগিনাল্ড পয়টিয়ের যুক্তরাষ্ট্রের বাহামার ক্যাট আইল্যান্ডের এক সাধারণ টমেটো চাষী ছিলেন। অভিনয় জগতে প্রবেশের আগে জীবিকার জন্য পয়টিয়েরকে বিচিত্র ধরনের সব কাজ করতে হয়েছে। অল্প সময়ের জন্য ছিলেন সেনাবাহিনীতেও।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯ জানুয়ারি, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর