‘পুঁজিবাজারে আরও নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসার কাজ চলছে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে আরও নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়্যারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সুকুক বন্ডের লেনদেন উদ্বোধন করলাম। আমাদের সামনে অনেকগুলো ব্লু বন্ড, গ্রীন বন্ড চলে আসছে। আমরা ডেরিভেটিভস নিয়ে কিছু কাজ করছি সেটাও চলে আসবে। যত বাধাবিপত্তিই থাকুক সামনে আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট আনতে কাজ করব।’

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক বন্ডের লেনদেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

বিএসইসি চেয়্যারম্যান বলেন, আমাদের অর্থনীতিকে যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি আস্তে আস্তে সেটা বাস্তবায়িত হবে। আমাদের সরকার, মন্ত্রণালয় এবং ব্যবসায়ীরা এখন খুব সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের একটা স্ট্যাবিলিটি দরকার। আর এটি বাস্তবায়নে পাবলিক-প্রাইভেট সেক্টরকে সমন্বয় করেই কাজ করতে হবে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রথম প্রাইভেট কোম্পানি। যারা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের লাইসেন্স পেয়েছে। তারপর থেকেই যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এই কোম্পানিটিকে একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। কর্পোরেট কালচার বলতে আমরা যে জিনিসটা বুঝতে পারি এটা কিন্তু ওনারা ৭০ দশকে শুরু করেছেন। যখন কেউ এই মার্কেটকে চিনত না, তখন বেক্সিমকো গ্রুপ এই মার্কেটে এসে অনেক নতুন নতুন ইনোভেটিভ এনে আমাদের দেখিয়েছেন। আজকে এই গ্রুপটিই প্রথম সাহসিকতার সাথে নতুন আরেকটি প্রোডাক্ট নিয়ে আসল। আমাদের আজকের প্রধান অতিথ একজন খুবই ইনোভেটিভ এবং সাহসী ব্যবসায়ী। তিনি নতুন নতুন ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে খুবই পছন্দ করেন। শুধু ক্যাপিটাল মার্কেট নয়, তিনি অন্যান্য আরো অনেক কিছু করার চেষ্টা করছেন- যেগুলো বাংলাদেশে প্রথম আসতে যাচ্ছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বার বার যে কথাটা বলছি আউট অব দ্যা বক্সে যেতে হবে। আমাদেরকে ইনোভেটিভ হতে হবে। অন্যের আবিষ্কার, অন্যের কালচার, অন্যের রিসার্চ নিয়ে কাজ করলে এখন হবে না, আমাদের নিজস্ব কাজ নিজেদেরই করতে হবে। নিজেরাই ইনোভেটিভ হয়ে নিজেরাই দেশ, মার্কেট এবং সবকিছুই নিজেদেরই তৈরি করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।

উল্লেখ্য, সুকুক বন্ড হলো ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক একটি সুদবিহীন বন্ড। এটি ট্রাস্টির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে মূলত বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়। এসব প্রকল্পের মালিকানার অংশীদার হন সুকুক বন্ডের বিনিয়োগকারীরা। সুকুক বন্ডের বিনিয়োগ ব্যর্থ হলে ওই প্রকল্পের সম্পদ বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩ জানুয়ারি, ২০২২)