‘ধর্ম ও দ্বিজাতিতত্ত্বের দেশবিভাগ আমার কাছে পীড়াদায়ক’
অধ্যাপক ড. ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ির জন্ম ১৯৩৬ সালে মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে। বাবা-সুরাজলাল লাহিড়ি, মা- স্নেহলতা লাহিড়ি। শৈশব, কৈশোরে ছিলেন পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ শহরে। প্রাণিবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট অর্জন করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজ এবং দিল্লির National Council of Educational Research & Training (N.C.E.R.T)-এ অধ্যাপনা করেছেন।
ড. ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ি সমগ্র ভারতের বিদ্যালয়স্তরে বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, পাঠ্যসূচি, পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষা সংস্কারের উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে রূপায়িত চারটি বই UNESCO-এর উদ্যোগে ফরাসি, চেক, চীনা ও আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অবসর গ্রহণের পরে মানবাধিকার শিক্ষা, নারী শিক্ষা ও আদিবাসী শিক্ষার প্রসার ও গবেষণায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে যুক্ত আছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কর্মের ব্যবস্থা, পাক সেনাবাহিনীর বীভৎস অত্যাচারের বিশ্বস্ত তথ্য ভারতে ও বিদেশে প্রচার, চিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন, শরণার্থী শিবিরে সেবাদানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ও জীবনের নানা দিক নিয়ে দ্য রিপোর্টের সঙ্গে কথা বলেন ড. লাহিড়ি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক মুহম্মদ আকবর
মুক্তিযুদ্ধ সময়ের কথা জানতে চাই।
পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের গণতান্ত্রিক রায়কে নস্যাৎ করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক আহ্বান, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কেবল পূর্ববাংলায় নয়, সারাবিশ্বের সকল সচেতন মানুষ উদ্বুদ্ধ হন। রাতারাতি সামরিক কর্তৃপক্ষের অতর্কিত আক্রমণে পূর্ববাংলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। তাদের আক্রমণের নিশানায় ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী মহল, নারীর সম্মান ভূলুণ্ঠিত। অসহায় মানুষের মিছিল আসতে থাকে পশ্চিমবঙ্গে। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন অসংখ্য ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বাঙালির উপর এ নৃশংস আক্রমণে পশ্চিমবঙ্গবাসীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর আক্রোশে অধীর, তেমনি আকুল আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য করতে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তীর উদ্যোগে এবং উপাচার্য সত্যেন সেন ও সহ-উপাচার্য পূর্ণেন্দুকুমার বসুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ স্ট্রিট প্রাঙ্গণে ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন আশ্রয়প্রার্থীদের যথাসাধ্য সাহায্য করা হবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলায়। সেদিনই গঠিত হলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচারের প্রতিবাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পদক্ষেপ সহমর্মিতার এক নতুন ইতিহাস রচনা করে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্যেন সেন, সহ-উপাচার্য ড. পূর্ণেন্দুকুমার বসু, অধ্যাপক হীরেন্দ্রমোহন মজুমদার, অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইলা মিত্র, অধ্যাপক সৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক সুকোমল দাশগুপ্ত, অধ্যাপক সন্তোষ মিত্র।
প্রথম থেকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির দ্বারভাঙা বিল্ডিংয়ের অফিসের দায়িত্ব নিয়েছিলেনঅধ্যাপক জ্ঞানেশ পত্রনবীশ,অধ্যাপক যতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়,অধ্যাপকদীপক হাজরা,অধ্যাপক প্রিয়দর্শন সেনশর্মা। সন্ধ্যায় ১৪ বিধান সরণির অফিসে আসতেন শ্রীমতী বীণা ভৌমিক(দাস), শ্রীমতী কমলা বসু, শ্রীমতী মীরা সেন, শ্রীমতী মৃন্ময়ী বসু প্রমুখ।শ্রীমতী মৃন্ময়ী বসুসমিতির বহু কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন?
সমিতির সচিব অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আমি প্রথম থেকেই সমিতির কাজে যুক্ত হই। কলেজের কাজ সেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙা বিল্ডিং-এর দোতলায় সমিতির ঘরে প্রায় প্রতিদিনই যেতাম। সেখানে অনেক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্র প্রবল উৎসাহ ও দক্ষতার সঙ্গে দৈনন্দিন কর্তব্য করেছেন। শত শত খামে ঠিকানা লেখা, ডাকটিকিট লাগানো, নির্দিষ্ট ঠিকানায় চিঠি ও খবর পৌঁছে দিতে হত। এ ছাড়া জনসংযোগ, অর্থ, ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে পৌঁছে দেওয়া হতো।
কাজটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির উদ্যোগে ২১ মে বাংলাদেশের সকল স্তরের শরণার্থী শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’। বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত সকলেই এইসমিতির সদস্য ছিলেন। এই সমিতির সভাপতি ছিলেন ড. আবদুর রহমান মল্লিক, কার্যকরীসভাপতি ড. কামরুজ্জামান, সম্পাদক ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ড. অজয় রায় কলকাতায় পৌঁছলে তিনিই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন, ড. আনিসুজ্জামান অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ড. অজয় রায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে শরণার্থী ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ সংগঠিত হয় এবং ঐ শিক্ষকদের সম্পূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি দলিল তৈরি হয়। ইতোমধ্যে পাক সেনা ও তার দোসরদের অত্যাচার বাংলাদেশকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছিল। ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে জাতীয় স্তরের নেতৃবৃন্দ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির কাছে নানারকম সাহায্য চেয়ে পাঠাতেন। কাজের মাধ্যমে আমাদের সমিতি ইতোমধ্যে সকলের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিল। এ সব অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়। বাংলাদেশের সর্বজনাব আনিসুজ্জামান, আনোয়ারুজ্জামান, নিত্যগোপাল সাহা, আমিরুল ইসলাম সর্বোপরি ড. অজয় রায় এ দলগুলির সঙ্গে থাকতেন। যশোহর–খুলনা-কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অংশে আমি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলাম। সহায়ক সমিতির কাজের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থের চাহিদাও বাড়ে। রবীন্দ্রসদনে ২৩ ও ২৪ আগস্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা হয়। আমাকে এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। মূল্যবান সহযোগিতা করেছিলেন কলকাতা রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্রের প্রধান রূপকার অধ্যাপক সোমেন্দ্রনাথ বসু এবং শান্তিনিকেতন আশ্রমিক সংঘের মৃন্ময়ী বসু।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতিতে যে কাজগুলো আমাদের করতে হত তাকে সম্ভবত কয়েকটি ভাগে অতিসংক্ষেপে আলোচনা করা চলে। তা হলো-
১. শরণার্থী শিক্ষক ও ছাত্রদের যথাসম্ভব সর্বতোভাবে সাহায্য করা। শরণার্থী শিক্ষকদের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা।
২.শরণার্থী শিবিরগুলোতে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ভেবে ক্যাম্প স্কুল চালু রাখা।
৩. পাক সেনাবাহিনীর বীভৎস অত্যাচারের বিশ্বস্ত তথ্য ভারতে ও বিদেশে প্রচার করা। চিত্র প্রদর্শনী ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা।
৪. পৃথিবীর বিভিন্ন কেন্দ্রে বাংলাদেশের সাহায্যের উদ্দেশে যে সব সংগঠন গড়ে উঠেছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন।
৫. বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী, যুব শিবিরগুলোতে সাধ্যমত খাদ্য, ওষুধ ও বহুবিধ প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা।
৬. প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা।
বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি উপলব্ধি করেছিল জনশ্রুতি বা গুজবের উপর ভিত্তি করে কোনো স্বাধীনতা সংগ্রাম চলতে পারে না। প্রয়োজন সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা। সেই উদ্দেশে প্রায় প্রতিমাসে প্রামাণ্য তথ্য সংবলিত পুস্তিকা এবং ফটোর অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়। তা ছাড়া বাংলাদেশের অধ্যাপক বা সাংবাদিকের লেখা তথ্য সম্বলিত পুস্তিকা প্রকাশনাতেও সাহায্য করা হতো।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত ও তীব্রতর হচ্ছিল ততই বাংলাদেশ সম্পর্কে বাস্তব তথ্য জানতে বিদেশিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছিল। বিদেশে যাচ্ছেন এমন সব দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তথ্যপুস্তিকা দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির প্রতিনিধি হিসাবে গন্তব্য দেশে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে অনুরোধ করা হত এবং ঐ সবদায়িত্বশীল ব্যক্তি সানন্দে সে দায়িত্ব পালন করতেন। ভারতেও কিছু অতিবাম রাজনীতির লোক অথবা বিভিন্ন গোষ্ঠী সংকীর্ণ পূর্বধারণায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন জানাতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। এ পুস্তিকা দেখে ও বাংলাদেশ আগত শরণার্থী শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার পরে তাদের জড়তা দূর হতে থাকে।
বাংলাদেশ সরকারমুক্তিযুদ্ধের সাথী ভিনদেশি গুণীজনদের সম্মান জানানোর প্রচেষ্টা নিয়েছেন, এ সম্মন্ধে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
৪০ বছর আগে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যৎসামান্য সহায়তা করে যে অসীম তৃপ্তি পেয়েছিলাম তা বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। এত বছর পরে সে জন্য যে স্বীকৃতি ও সম্মান বাংলাদেশ থেকে আমাকে দেওয়া হল তা অভূতপূর্ব, অভাবনীয়। হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো, মুছে যাওয়া সংগ্রামী মুখগুলো আবার্ও স্মৃতিপটে ফিরে আসছে। আমি অভিভূত। এর আগে কোনো রাষ্ট্র এভাবে ভিনদেশিমুক্তিযুদ্ধের সহায়কদের সম্মান জানিয়েছে কি না আমার জানা নেই। এ সম্মান জানানোর মাধ্যমে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ অত্যুচ্চ সম্মানের আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করল।
বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী ?
ড. লাহিড়ি :স্বাধীনতার পরে ১৯৮৬ সালে আমি ঢাকায় কয়েকদিন ছিলাম। তখন হাটে-বাজারে-দোকানে মানুষের সাথে কথা বলে মনে হয়েছিল এ দেশের কোন ভবিষ্যৎ নেই। মুক্তিযুদ্ধে দেওয়া ‘এক নদী রক্ত’ নালা দিয়ে বয়ে গেছে। এবার বাংলাদেশে গিয়ে সাধারণ মানুষ, রিক্সাওয়ালা, অটোচালক, দোকানি, ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এবং শহরে পথঘাট ও বিভিন্ন নির্মাণ দেখে মনে হচ্ছে দেশটি অভূতপূর্ব উন্নতি করছে। প্রায় সকলেই বলেছেন, ‘আমাগো দ্যাশের উন্নতি হইতেছে, দোয়া করবেন য্যানো এ উন্নতি চলতে থাকে’।
শাহবাগ চত্বরে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলেছি তাঁদের আদর্শবোধ নিয়ে। বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষার প্রতি অপরিসীম আগ্রহ দেশটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশারী। জাতীয় আত্মবিশ্বাসবোধ অত্যন্ত তেজী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দল যে আত্মবিশ্বাসের পরিচয় রাখছে ও দর্শকবৃন্দের মধ্যে তা সঞ্চারিত করছেন তা জাতীয় Maturity-র পরিচয় বহন করে।
বঙ্গভঙ্গ, দেশভাগ অতঃপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটকে কীভাবে মূল্যায়িত করবেন?
ধর্ম ও দ্বিজাতিতত্ত্বের দেশবিভাগ আমার কাছে পীড়াদায়ক। কিন্তু তৎকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাবনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহে আমার কৈশোরের স্মৃতিতে বাংলার বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর মধ্যে যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মারাত্মক প্রভেদ দেখেছি তা সমাধানের কোনো আলোকরেখা আমার চোখে পড়েনি। পূর্ব পাকিস্তান দাবির পক্ষেও যথেষ্ট যুক্তি ছিল।
পাকিস্তান সৃষ্টির সময় পূর্ববাংলায় হিন্দু আধিপত্যের বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ধর্মমোহমুক্ত মানুষ অচিরেই এ সত্য উপলব্ধি করেন ও প্রতিবাদে শামিল হন। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন মুক্তির ইতিহাসের দ্বার খুলে দেয়। ষাটের দশক জাগরণের দশক, পূর্ববাংলার মানুষ আলোর পথযাত্রী। তারই ফলশ্রুতিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। অনেক ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব বাংলাদেশের মানুষকে বহন করতে হচ্ছে। তাদের জন্য আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যর খুব বেশি পার্থক্য নেই। কাঁটাতারের দুই প্রান্তের দূরত্ব কীভাবে কমানো যেতে পারে?
এক্ষেত্রে এক দেশ আরেক দেশকে বুঝতে হবে। দরকার দুদেশের মধ্যে আরও নিবিড় সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গড়ে তোলা। দুটি দেশকেই পরস্পরের স্বাধীন সত্তার মর্যাদা রক্ষা করে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। দেশভাগের ফলে দুই দেশের সীমানায় বসবাসকারী মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ সমস্যা দূর করতে মানবাধিকারের ভিত্তিতে উভয় দেশ মিলিতভাবে এদের জীবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করুক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুস্থ জীবিকার ব্যবস্থা করুক।
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা কিছু বলুন?
বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করে আমি ধন্য হয়েছি। চলার পথে তথাকথিত সাধারণ কিন্তু অন্তরে মহৎ অনেক মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। সেই আনন্দলাভই আমার পরম প্রাপ্তি। প্রাচীন সভ্যতার এ উপমহাদেশে মানুষে মানুষে স্বাভাবিক শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও প্রীতির সম্পর্ক গড়তে তরুণ প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে আমার সেই স্বপ্নপূরণের অপ্রাপ্তির বেদনা তো রয়েই গেল।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/একে/মার্চ ২৫,২০১৪)
পাঠকের মতামত:
- চসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কম্বল দিল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
- পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
- ফ্রেঞ্চ সুপার কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল পিএসজি
- অবশেষে ভারতেও ছড়াল এইচএমপিভি ভাইরাস, আক্রান্ত ২ শিশু
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ৪.২৩ শতাংশ
- ‘হাসিনার ওপর রাগ হয় না আপনার’ আসিফ নজরুলের প্রশ্নে যা বলেন খালেদা জিয়া
- দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো পলক-জ্যোতিকে
- বৃহস্পতিবার থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
- বিনামূল্যে পাওয়া ফ্ল্যাট নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ : ডেইলি মেইল
- "আয়নাঘর-ভাতের হোটেল বলে কিছু থাকবে না, সিভিল ড্রেসে গ্রেপ্তার নয়"
- গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
- বড় জয়ে বছর শুরু করল বার্সেলোনা
- ভারতকে উড়িয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
- দাম বাড়লেও কাটছে না ভোজ্য তেলের সংকট
- বিয়ে করে দোয়া চাইলেন তাহসান
- সার্ভার জটিলতা কাটিয়ে ডিএসইতে লেনদেন চালু
- সীমান্তে নতুন ভাসমান চৌকি বসিয়েছে ভারত
- নাম ব্যবহার করে তদবির বিষয়ে যে বার্তা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ
- লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার: যুক্তরাজ্যে ব্যাপক তদন্তের মুখে টিউলিপ
- ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না নির্বাচন কমিশন : সিইসি
- খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা
- তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল
- টিউলিপকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট দেন আ.লীগ-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী
- অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন
- হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্নে যা বললেন জয়সোওয়াল
- বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি, মহামারির শঙ্কা
- শেখ হাসিনাকে ফেরতের প্রশ্নে এখনও নিরুত্তর ভারত
- বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
- চার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অপসারণ
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত
- নতুন দায়িত্বে বাফুফেতে ফিরলেন ছোটন
- গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলছেই, ২৪ ঘণ্টায় ঝরল ৭১ প্রাণ
- তাপমাত্রা নামল ৮ ডিগ্রির ঘরে, ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়
- হিন্দুদের চাকরি নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা: প্রেস উইং
- কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
- সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে উপদেষ্টা নাহিদের চিঠি
- নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি
- খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসায় গেলেন সেনাপ্রধান
- পুলিশের ৪৮ কর্মকর্তার পদায়ন
- অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
- ডিসেম্বরে এল রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
- ইসির ৬২ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- "হাসিনাকে ফেরত না দিলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না"
- আজ রাজবাড়ী যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- বিভ্রান্ত না হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: তারেক রহমান
- বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন
- বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত
- ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড
- বছরের শুরুতেই উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত, ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন
- আরও বাজারমুখী হলো ডলারের দাম
- "আ.লীগ আমলে ক্যাম্পাসগুলোকে অস্ত্রাগার বানানো হয়েছিল"
- বিদায়ী বছরে আস্থার সংকটে ভুগেছে পুঁজিবাজার
- সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়
- ক্রীড়াঙ্গনে কবে কোন খেলা, একনজরে দেখে নিন
- দ্বিকক্ষ আইনসভার সুপারিশ: কোন মডেলে যাবে বাংলাদেশ?
- আজ থেকে ২২ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
- নতুন বছরের ১ম দিন বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৯ কোটি
- রাজধানীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে শিশুসহ দগ্ধ ৫
- মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
- আগামীতে বাণিজ্য মেলা হবে দেশজুড়ে : প্রধান উপদেষ্টা
- ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে দগ্ধ ২ শিশু
- সচিবালয়ে আগুনের প্রাথমিক প্রতিবেদন: তদন্তে যা উঠে এলো
- নতুন প্রত্যাশার নবযাত্রা বাংলাদেশের
- আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের রেডিসন ব্লু ঢাকার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ
- পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
- ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
- নববর্ষে আতশবাজি বন্ধে কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- চাকরিতে আবেদন ফি ৫০-২০০ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি
- রমজানে সরবরাহে এক কোটি ৯০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের উদ্যোগ
- ভোর থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
- আজ বিকেলে বৈষম্যবিরোধীদের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’
- খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসায় গেলেন সেনাপ্রধান
- চাকরিতে আবেদন ফি ৫০-২০০ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি
- আজ বিকেলে বৈষম্যবিরোধীদের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’
- নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি, মহামারির শঙ্কা
- রমজানে সরবরাহে এক কোটি ৯০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের উদ্যোগ
- বিভ্রান্ত না হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: তারেক রহমান
- ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ
- নতুন প্রত্যাশার নবযাত্রা বাংলাদেশের
- ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে: তারেক রহমান
- আগামীতে বাণিজ্য মেলা হবে দেশজুড়ে : প্রধান উপদেষ্টা
- আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের রেডিসন ব্লু ঢাকার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর
- মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
- সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়
- রাজধানীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে শিশুসহ দগ্ধ ৫
- ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে দগ্ধ ২ শিশু
- ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- ডিসেম্বরে এল রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
- শেখ হাসিনাকে ফেরতের প্রশ্নে এখনও নিরুত্তর ভারত
- আরও বাজারমুখী হলো ডলারের দাম
- আজ রাজবাড়ী যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- নববর্ষে আতশবাজি বন্ধে কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- পুলিশের ৪৮ কর্মকর্তার পদায়ন
- আজ থেকে ২২ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
- পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক