ওষুধ ডাকাতির ৫ দাওয়াই
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ফেলোশিপ-২০২১ এর আওতায় এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক তৌহিদুর রহমানের নির্দেশনা ও সম্পাদনায় চার পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের শেষ পর্ব প্রকাশ হলো আজ।
শরীফুল রুকন: যে ওষুধ অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তুলবে; মুমূর্ষু মানুষের প্রাণ রক্ষা করবে— সেই ওষুধের রাজ্যে এত যে নৈরাজ্য, সে বিষয়ে মন্তব্য চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির অন্যতম প্রণেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বললেন, ‘সরকার যদি ওষুধ কোম্পানিকে দাম ঠিক করতে দেয়, তারা তো ডাকাতি করবেই। সরকার যদি আমার কথা শোনে, তাহলে ১৫ দিনের মধ্যে ওষুধের দাম অর্ধেক কমে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’
কী সেই কথা ডা. জাফরুল্লাহর, যা কাজ করবে জাদুমন্ত্রের মতো? জানা গেল, কথা তেমন বেশি নয়। ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ যথাযথভাবে প্রয়োগ করা। ওই অধ্যাদেশে বলা আছে, ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভুল করে ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা কোম্পানির হাতে তুলে দেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও সেই ভুল সংশোধন করেননি, যে কারণে আজকে ওষুধের এত দাম। ওষুধের দাম নির্ধারণে এখন দুর্নীতি হচ্ছে। সরকারি ব্যর্থতায় ওষুধের দাম বেড়েছে এবং বাড়ছেই। এখানে অন্য কোনো কারণ নাই।’
দেশের ওষুধ সাম্রাজ্যের বেশ কিছু নৈরাজ্যের বিবরণ গত তিন দিন ধরে এই সিরিজের“ওষুধের দামে আগুন ডাক্তারের উপহারে” ও ‘জোচ্চুরি ফাঁস সরকারি ওষুধে’ এবং ‘ওষুধের দাম বাড়াতে কাঁচামালেও কারসাজি’ শিরোনামে তিনটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তথ্য-প্রমাণসহ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আজকের এই শেষ পর্বে মূলত সংকট থেকে মুক্তিলাভের উপায়গুলো কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সুপারিশগুলো তুলে ধরা হবে। তার আগে আরও কিছু সংকটে আলো ফেলানো যাক।
ওষুধের খুচরা বাজার অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যাটোরভাস্ট্যাটিন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটটি ডেল্টা ফার্মা বিক্রি করছে প্রতিটি সর্বোচ্চ ৫ টাকায়। একই ওষুধ বেক্সিমকো, ইনসেপ্টা, একমি, এরিস্টোফার্মা, এসকেএফ, গ্লোব, পপুলার, ইবনে সিনা, বায়োফার্মা, ওরিয়নসহ আরও কিছু কোম্পানি বিক্রি করছে প্রতিটি সর্বোচ্চ ১০ টাকায়। আবার একই ওষুধ স্কয়ার ও রেনেটা ১২ টাকায় বিক্রি করছে। সানোফি আবার ওষুধটি বিক্রি করছে ২০ টাকা করে।
রোসুভাস্ট্যাটিন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটটি প্রতিটি সর্বোচ্চ ২৮ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৬ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে দোকানে। ওষুধটি মাত্র ৬ টাকা দাম রাখছে ডেল্টা ফার্মা আর সর্বোচ্চ ২৮ টাকা রাখছে ইনোভা ফার্মা। রেডিয়েন্ট ২৭ টাকা, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ২৫ টাকা, বায়োফার্মা ২৫.১৮ টাকায় বিক্রি করছে। বেক্সিমকো, একমি, এরিস্টোফার্মা, অপসোনিন ও স্কয়ার ২০ টাকায় বিক্রি করছে। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল বিক্রি করছে ১৫ টাকা, আর পপুলার বিক্রি করছে ১৮ টাকায়।
আবার গণস্বাস্থ্যের একটি ইনজেকশনের নাম জি-সেফট্রিয়াক্স, এক গ্রামের দাম ১২০ টাকা। এপেক্স ফার্মাও ১২০ টাকায় ইনজেকশনটি বিক্রি করছে। কিন্তু ওই ইনজেকশন ৩৬১ টাকায় বিক্রি করছে রেডিয়েন্ট, ৩২০ টাকায় ল্যাবএইড ও হেলথকেয়ার এবং ২৫০ টাকায় বিক্রি করছে স্কয়ার। এছাড়া এরিস্টোফার্মা ২০০ টাকা, এসিআই ১৯১ টাকা, বেক্সিমকো, অপসোনিন ও এসকায়েফ ১৯০ টাকা, ইবনে সিনা ১৮০ টাকা, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ১৬০ টাকা ও ডেল্টা ফার্মা ১৫০ টাকায় বিক্রি করছে।
দেখা যাচ্ছে, ওই দুটি ওষুধ ও একটি ইনজেকশনে কোম্পানি ভেদে দামে বড় পার্থক্য। এখানে হয় ডেল্টা ফার্মা ও গণস্বাস্থ্য নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে ওষুধ ও ইনজেকশন তৈরি করছে অথবা অন্য কোম্পানিগুলো বেশি দামে বিক্রি করছে। প্রথমটা সত্যি ধরে নিলে, নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে ওষুধ তৈরি করে ওষুধ কোম্পানিগুলো চরম অন্যায় করছে। আবার দ্বিতীয়টা সত্যি বলে ধরে নিলে, অন্য কোম্পানিগুলো রীতিমতো ডাকাতি করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এইসব চুরি-ডাকাতি ধরবে কে? ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর? তারাও তো ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে প্রকাশ্যে ‘অনুদান’ নিচ্ছে।
কাঁচামাল আমদানির জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলোর তৈরি করা ব্লকলিস্ট জমা, যাচাইকরণ ও ক্লিয়ারেন্সের কাজে আলাদা একটি ওয়েবসাইট (আইপি ঠিকানা: ১৮০.২১১.১৩৭.৭৩) রয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। ওয়েবসাইটটির নিচে লেখা রয়েছে, ‘ডেভেলপ বাই অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড’। ওষুধ কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের টাকার কী এতই অভাব যে, সামান্য একটি ওয়েবসাইট বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে তৈরি করে নিতে হবে?
এমন প্রশ্ন তুলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটিরই একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘বাজেট না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে ওয়েবসাইটটি করিয়ে নিয়েছেন।’ একই প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চেয়ে অপসোনিন ফার্মাকে গত ১৩ মার্চ সকালে ইমেইল করা হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাড়া দেয়নি তারা।
ওষুধ প্রশাসনের তথ্যমতে, বর্তমানে ৩ হাজার ৮৪০ জেনেরিকের ৩১ হাজার ৯০৭টি ব্র্যান্ড ওষুধ তৈরি করে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধ, ভ্যাকসিন ও পরিবার পরিকল্পনার সামগ্রী ছাড়া বাকি ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করার আইনি সুযোগ রয়েছে ওষুধ কোম্পানিগুলোর। ফলে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো যে দাম চায়, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সেই দামেই বিক্রির অনুমতি দেয়। এমন অবস্থায় ওষুধের দাম কোনো সময়ই কমে তো না, বরং বিভিন্ন সময় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।
কাঁচামাল আমদানির সময় অনুমোদন করিয়ে নেওয়া ব্লকলিস্ট যুক্ত করে প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তীতে ওষুধের মূল্য সনদের (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ) জন্য আবেদন করে ওষুধ প্রশাসনে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাঁচামালের দাম বেড়ে গেলে সংশোধিত ব্লকলিস্ট দেখিয়ে ওষুধের দাম পুনরায় নির্ধারণের জন্য আবেদন করে কোম্পানিগুলো। কিন্তু কাঁচামালের দাম কমে গেলে, ওষুধের দাম কমিয়ে পুনরায় নির্ধারণ সবসময় করা হয় না। ওষুধের দাম নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্যসচিবের সভাপতিত্বে ১৬ সদস্যের ‘ঔষধের মূল্য নির্ধারণ কমিটি’ রয়েছে। এতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি রয়েছেন।
ক্যাব সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘কোনো ওষুধের মূল্য কমেছে কি না সেটা আমাদের জানা নেই। মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হলে আমাদের একজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়। কিন্তু কমিটির অনুমোদন নিয়ে কোনো ওষুধের দাম কখনো কমেছে কি না সেটা আমরা জানি না।’
ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘ওষুধের দাম কখনো কমেনি। বরং অনেক ওষুধের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।’
এদিকে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ বাজারের অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের ক্ষেত্রে উৎপাদকরা সরকার নির্ধারিত দামের হেরফের করতে পারবেন না। কিন্তু ২০২১ সালের জুনে প্রকাশিত বাংলাদেশ উন্নয়ন সমীক্ষার একটি গবেষণা নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ‘ফ্লুক্লোক্সাসিলিন ৫০০ এমজি ক্যাপসুলের দাম গড়ে ৯.৬ টাকা এবং এর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম যথাক্রমে ৮ ও ১০ টাকা। মেট্রোনিডাজোল ৪০০ এমজি ট্যাবলেটের দাম গড়ে ১ টাকা এবং এর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম যথাক্রমে ০.৫ ও ১.৩ টাকা। প্যারাসিটামল ৫০০ এমজি ট্যাবলেটের দাম গড়ে ০.৬ টাকা এবং এর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম যথাক্রমে ০.৩ ও ১.৩ টাকা। চারটি ওষুধই সরকারের অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকাভুক্ত বলে দামের ক্ষেত্রে তারতম্য হওয়ার কথা নয়।’
এ প্রশ্নে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দামের ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে, আমরা যে দামটা নির্ধারণ করে দিয়েছি, কেউ ওই দামে বিক্রি করছে, আবার কেউ আরও কম দামে বিক্রি করছে। কম দামে বিক্রি করলে তো কথা নেই। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’
শুধু অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ নয়, অন্য ওষুধগুলোও কোম্পানি ভেদে একেক রকম দাম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রামভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি এলবিয়নের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউনিমেড ইউনিহেলথ, রেডিয়েন্টসহ কিছু কোম্পানি ইউরোপ থেকে ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করে বলে এদের ওষুধের দাম বেশি থাকে। এই মূল্য ওষুধ প্রশাসন অনুমোদন দেয়। কিন্তু স্কয়ার, ইনসেপ্টা বা আমারটার মতো কোম্পানিগুলো যাদের কাঁচামালের সোর্স ভারত-চীন, তাদেরকে কিন্তু বেশি দামের অনুমতি দেবে না।’
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, ‘ওষুধের দাম কমাতে হলে ওষুধ প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বিএমএ এ বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে।’
নৈরাজ্য বন্ধের যত সুপারিশ
১. ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সুপারিশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হোসাইনও বলেন, ‘সব রকমের ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলে জনগণ উপকৃত হবে। বিদেশে সরকারই কোম্পানিগুলোর সাথে আলাপ করে দাম নির্ধারণ করে। উন্নত বিশ্বে ডাক্তাররা রোগ নির্ণয় করে থাকেন আর ফার্মাসিস্টরা ওষুধ ঠিক করে দেন। আমাদের দেশেও এরকম আইন করা উচিত।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা মো. আনোয়ারুল বাসেদ সব ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের কাছে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা এ মুহূর্তে ওষুধ প্রশাসনে হচ্ছে না জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত ওষুধ প্রশাসন নিতে পারে না। মন্ত্রণালয় বা সরকার যখন যে নীতি ঠিক করে দেয়, আমরা শুধু সেটা বাস্তবায়ন করি।’
ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের কাছে ফিরিয়ে আনা যায় কি না- এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানার জন্য গত ৯ মার্চ থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়ার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রীর বক্তব্য জানার জন্য তাঁর দপ্তরের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলামের সহযোগিতা চাইলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ওষুধ প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. এনামুল হক বলেন, ‘আপাতত এ রকম কোনো পরিকল্পনা নাই। তবে অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধ, যেগুলোর দাম সরকার নির্ধারণ করে, সেই তালিকায় কিছু নতুন ওষুধ যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
২. বর্তমানে চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে বা প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নাম না লিখে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ব্র্যান্ড নাম লেখায় রোগীরা সেই কোম্পানির ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম থাকলে রোগী ফার্মেসিতে গিয়ে ওই নাম দেখিয়ে পছন্দ অনুযায়ী কোম্পানির ওষুধ কিনতে পারতেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফিজিশিয়ান প্র্যাকটিস ম্যানুয়ালে উল্লেখ করা হয়েছে, রোগীর জন্য সহজলভ্য ও দাম তুলনামূলক কম, এমন ওষুধের জেনেরিক নাম প্রেসক্রিপশনে লিখতে হবে। এছাড়া ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু জেনেরিক নাম লেখার বিষয়টি মানছেন না দেশের বেশিরভাগ চিকিৎসক। তবে স্কয়ার, এভারকেয়ারসহ আরও কয়েকটি হাসপাতাল ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম ব্যবহার শুরু করেছে।
৩. দেশের ওষুধ শিল্পের জন্য সহায়ক অনেক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় ওষুধ নীতি ২০১৬-এ। সব ধরনের কাঁচামাল দেশে তৈরির উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করা হয় এতে। এছাড়া ওষুধ উৎপাদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত জিএমপি কঠোরভাবে মেনে চলা, বাজারে নকল-ভেজাল মেয়াদোত্তীর্ণ-নিবন্ধনহীন-কাউন্টারফেইট-মিসব্রান্ডেড ও চোরাচালানকৃত ওষুধের বিক্রি প্রতিরোধ করা, দেশে পর্যায়ক্রমে কমিউনিটি ফার্মেসি প্রতিষ্ঠা করা এবং সকল বড় হাসপাতালে ‘হসপিটাল ফার্মেসি’ চালু করা আবশ্যক বলেও জানানো হয় জাতীয় ওষুধ নীতি ২০১৬-এ।
এতে সুপারিশের মধ্যে আরও আছে- উন্নত দেশের নিবন্ধন মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতি রেখে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সময় সময় হালনাগাদ করা; ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বর্তমান জনশক্তি ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা যথাযথভাবে বৃদ্ধির মাধ্যমে একে ‘জাতীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে কার্যকর করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী করা।
এছাড়া ওষুধের পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার হিসেবে ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিকে আধুনিকীকরণ ও পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারের (ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি) শাখা স্থাপনের ব্যবস্থা করা এবং কেন্দ্রীয়ভাবে একটি স্বায়ত্তশাসিত জাতীয় রেফারেন্স পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করা; রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রয় ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা; মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছরে অন্তত একবার ওষুধের মূল্য হালনাগাদ করা; জনগণের অবগতির জন্য সকল ওষুধের খুচরা মূল্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার সুপারিশও রয়েছে ওই ওষুধ নীতিতে।
৪. ওষুধের কাঁচামাল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানির সময় সেখানে কতগুলো স্ট্যান্ডার্ড রক্ষা করা হয়েছে, সেটি দেখতে হবে। প্রথমত, মানের শর্তগুলো মানা হয়েছে কি না, দেখতে হবে। একটি কাঁচামালে যদি ১২টি মানার শর্ত থাকে, সেখানে যদি ৮টি মানা হয় আর আপনি যদি মান ঠিক আছে ধরে নিয়ে কিনে নেন, তাহলে তো হবে না। এমনও হতে পারে, যে ৪টি শর্ত মানা হয়নি, সেগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যা মানা না হলে সেটা দিয়ে বানানো ওষুধ সেবনের পর রোগীর ক্ষতি হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর হার্মোনাইজেশন’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে, যারা ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানের জন্য টেকনিক্যাল রিকোয়ারমেন্টগুলো তৈরি করে দিয়েছে। তারা কোন শর্তাবলী ব্যবহার করবে, তা সেখানে উল্লেখ করা আছে। কাঁচামাল আমদানির সময় এই বিধিমালা মানতে হবে। আরেকটি হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি)। তাদের বিধিমালার শর্তগুলোও মানতে হবে। তা না হলে সেটি কাঁচামাল হিসেবেই বিবেচ্য হবে না।’
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব বিষয় মানা হচ্ছে কি না তা দেখভাল করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তাদের আরও দেখতে হবে, যারা কাঁচামাল বানায়, তারা কোথায়, কীভাবে বানাচ্ছে; সেখানে নিয়োজিতরা দক্ষ বা প্রশিক্ষিত কি না; আদর্শ মান বজায় রাখার জন্য তাদের যথেষ্ট যন্ত্রপাতি আছে কি না; সেগুলো ব্যবহারে সমর্থ কি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এদেশের অধিকাংশ কোম্পানির ওষুধের মান নিয়ে সমস্যা আছে। শীর্ষ কয়েকটি কোম্পানি রপ্তানির স্বার্থে, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মান বজায় রাখে। কিন্তু অন্য সব কোম্পানি করে না। আমাদের দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যদি আমেরিকার এফডিএ (আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন)-এর মতো রেগুলেটরি অথরিটি না হয়, তাহলে এ দেশের ওষুধের মান ঠিক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি সব তো উপর থেকে হয়ে আসছে। আমরা এ দেশের পলিসি ম্যাকারদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। যারা অনিয়ম করে পার পেয়ে যেতে পারে, তারাই এসব অনিয়ম করে। এ দেশটি চোর-বাটপারে ভরা। উন্নত দেশে ১ শতাংশ ওষুধও নকল হয় না। বাংলাদেশ, ভারত, নাইজেরিয়া, চায়নার মতো দেশে ওষুধে ভেজালের পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।’
কাঁচামালের মেয়াদ সম্পর্কে জানার সুযোগ আছে কি না প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘সুযোগ আছে তবে সীমিত। দেশে আমদানির পর কাঁচামালের মান-মেয়াদ ঠিক আছে কি না তা বিশেষ ল্যাবে পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে যাচাই করতে হবে। এটা খুব জরুরি।’
৫. ‘কাঁচামালের আরেকটি বিষয় আছে- পিউরিটি। দেখা গেল একটার পিউরিটি ৯৯ শতাংশ, আরেকটার ৯৯.৯ শতাংশ। দুইটার দাম সমান হবে না। পিউরিটি বেশি থাকলে দামও বেশি হয়। ওষুধের কাঁচামালের মধ্যে এ রকম অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। আমি মনে করি, দেশের অনেক ওষুধ কোম্পানি সঠিক মানের ওষুধ তৈরি করে না। কাঁচামাল নিয়ে তারা নানা রকম অনিয়ম করে থাকে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’ বলেন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
(সৌজন্যে: একুশে পত্রিকা)
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২ এপ্রিল, ২০২২)
পাঠকের মতামত:
- কাজী নজরুলের নাতি বাবুল লাইফ সাপোর্টে
- নতুন বাজারে ৬৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
- বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস কারাগারে
- মঙ্গলবার থেকে অবৈধ অভিবাসীদের গণগ্রেপ্তার শুরু যুক্তরাষ্ট্রে
- ওষুধের ভ্যাট কমাতে সুপারিশ করা হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
- "যেকোনো উপায়ে সাধারণ মানুষের ভোট প্রদানের অধিকার থাকতে হবে"
- শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে: শফিকুল আলম
- ফ্যাসিস্ট যেন সংসদে ফিরে আসতে না পারে: বদিউল আলম
- ঋণ খেলাপিদের মনোনয়ন দেবে না বিএনপি, ফখরুলের অঙ্গীকার
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষ: দুঃখ প্রকাশ করলো বিএসএফ
- "ব্যাংক খাত পেলেও পুঁজিবাজার পায়নি সংস্কার সহায়তা"
- যশোর জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের ২৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- এআইবি পিএলসির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
- ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলনের শুরু
- ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার-২০২৫’ সমাপ্ত
- অবশেষে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করল ইসরাইল
- যোগ্যকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
- "দেশে আসেন, কাশিমপুরে ভালো ব্যবস্থা করা হবে"
- "পয়লা বৈশাখে স্থানীয় নামসহ নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ"
- ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে অভিমত জানাতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরা
- শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন: হাসিনার নির্দেশে ক্র্যাকডাউন
- আমদানি করায় কমছে চালের দাম
- "রক্তে যখন শরীর ভেসে যাচ্ছিল, তখন সিংহের মতো হাঁটছিলেন সাইফ"
- কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা, অপরিবর্তিত থাকবে রাতের
- বেশি খেলা হয়ে যাচ্ছে? বিশ্রাম নিয়ে যা ভাবছেন নাহিদ রানা
- রোহিত-কোহলিদের পাকিস্তানি আতিথেয়তার লোভ দেখালেন ফখর
- দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
- ফেসবুকে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম
- ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মান নিয়ে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে
- এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- মিয়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল
- আগের দামেই পেঁয়াজ, কমেছে সবজির
- অনতিবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: জয়নুল আবদিন
- ৩ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- নটিংহ্যামের বিপক্ষে লিভারপুলের ড্র
- আইসিসির ডিসেম্বর মাসের সেরা বুমরাহ
- গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ পর্যায়ে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে চুক্তি
- সাড়ে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার
- ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
- সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
- গভীররাতে সেন্টমার্টিনে আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
- পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কাজ করছে কমিশন: আইজিপি
- প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা
- বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত সব কর্মকর্তাকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস
- ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট’ অনুষ্ঠিত
- কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের নাম পরিবর্তনে ডিএসইর সম্মতি
- ‘কামব্যাক’ করে সাকিবের লড়াই করার সামর্থ্য ভালোই আছে
- দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনার খনিতে শতাধিক শ্রমিক নিহত
- অনলাইন পদ্ধতির উন্নয়নে সঞ্চয়পত্র বিক্রি সাময়িক বন্ধ
- লস অ্যাঞ্জেলেসে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাস, আরো ভয়ংকর হতে পারে দাবানল
- বাড়ছে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম, শঙ্কায় শিল্পমালিকরা
- টিউলিপকে এবার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার দাবি দুর্নীতিবিরোধী জোটের
- মেয়াদ শেষে ডাটা ও মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে আইনি নোটিশ
- কাফনের কাপড় জড়িয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের অনশনে ক্যাডেট এসআইরা
- সুস্থ হয়ে উঠছেন খালেদা জিয়া, পরিবার কাছে পেয়ে খুশি
- অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার
- ‘ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেল ইসলামী ব্যাংক
- প্রধান উপদেষ্ঠার প্রেস সচিবের সাথে ফ্রান্স প্রবাসী সাংবাদিকদের মতবিনিময়
- দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
- ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় ক্যাব
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন দেখতে পাকিস্তান গেল আইসিসি
- এই মুহূর্তে আমি জাতীয় দলে ফিট হচ্ছি না, তাই নেই: লিটন
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি
- সাত শিক্ষা বোর্ডে সচিব পদে রদবদল
- বিএসএফের অননুমোদিত প্রচেষ্টায় ‘সীমান্তে উত্তেজনা’
- পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে : উপদেষ্টা
- ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ
- বিডিআর হত্যার এক মামলার বিচার কেরানীগঞ্জে
- পুঁজিবাজার: সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু
- হামাস-ইসরাইল আলোচনা, সর্বশেষ যে তথ্য জানা গেল
- লিটন-তানজিদের সেঞ্চুরিতে ঢাকার রানের রেকর্ড
- হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ
- বছরের প্রথম ১১ দিনে এল ৭৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
- সুস্থ হয়ে উঠছেন খালেদা জিয়া, পরিবার কাছে পেয়ে খুশি
- পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে : উপদেষ্টা
- গভীররাতে সেন্টমার্টিনে আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
- প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন দেখতে পাকিস্তান গেল আইসিসি
- প্রধান উপদেষ্ঠার প্রেস সচিবের সাথে ফ্রান্স প্রবাসী সাংবাদিকদের মতবিনিময়
- বিএসএফের অননুমোদিত প্রচেষ্টায় ‘সীমান্তে উত্তেজনা’
- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস
- বাড়ছে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম, শঙ্কায় শিল্পমালিকরা
- এই মুহূর্তে আমি জাতীয় দলে ফিট হচ্ছি না, তাই নেই: লিটন
- বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত সব কর্মকর্তাকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ
- দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
- সাড়ে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার
- শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন: হাসিনার নির্দেশে ক্র্যাকডাউন
- ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় ক্যাব
- সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
- মেয়াদ শেষে ডাটা ও মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে আইনি নোটিশ
- অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার
- দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনার খনিতে শতাধিক শ্রমিক নিহত
- লস অ্যাঞ্জেলেসে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাস, আরো ভয়ংকর হতে পারে দাবানল
- কাফনের কাপড় জড়িয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের অনশনে ক্যাডেট এসআইরা
- "রক্তে যখন শরীর ভেসে যাচ্ছিল, তখন সিংহের মতো হাঁটছিলেন সাইফ"
- পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কাজ করছে কমিশন: আইজিপি
- অনলাইন পদ্ধতির উন্নয়নে সঞ্চয়পত্র বিক্রি সাময়িক বন্ধ