thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে 24, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২ জিলকদ  1445

চলতি বছরেই শুরু হচ্ছে সিএসইর কমোডিটি একচেঞ্জ

২০২২ এপ্রিল ১৩ ০০:০০:৪১
চলতি বছরেই শুরু হচ্ছে সিএসইর কমোডিটি একচেঞ্জ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে একটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে তা বাজারে পণ্য-মূল্যের অস্থিরতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে ভোক্তা ও উৎপাদকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হবেন মনে করেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর রেডিসন হোটেলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ভারত মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ(এমসিএক্স) এর মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সিএসই যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করবে এ চুক্তির আওতায় তাতে কারিগরি ও পরামর্শক সেবা দেবে এমসিএক্স । সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক এবং এমসিএক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিএস রেড্ডি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি আরো বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর সিদ্ধান্তটি খুবই সময়োপযোগী। সাম্প্রতিক সময়ে পণ্য-মূল্যের যে বড় ধরণের উঠা-নামা দেখা যাচ্ছে, তাতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ একটি বড় পদক্ষেপ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দেশের অর্থনীতিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে কৃষক ও উৎপাদকরা তাদের পণ্যের উপযুক্ত নায্য মূল্য পাবেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান মনে করেন এই এক্সচেঞ্জ চালু হলে দেশে পণ্যের সাপ্লাই চেইন উন্নত হবে, কোল্ডস্টোরেজ সুবিধা বাড়বে। সব মিলিয়ে উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশে একটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি কার্যকর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন গতির সঞ্চার করবে। এই এক্সচেঞ্জ কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থার অধুনিকায়ন এবং পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মনে করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। বাংলাদেশ যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে অচিরেই এদেশ এই অঞ্চলের সিঙ্গাপুরে পরিণত হবে। আর এই যাত্রায় একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ হবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরের দিকে আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। চূড়ান্ত অনুমোদন আমাদের আছে। এখন সফটওয়্যার, অন্যান্য অবকাঠামো এবং নীতি পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য এ সময়টুকু লাগবে। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটা পণ্য নিয়ে আমরা এগোবো। কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা তুলাকে পণ্য হিসেবে যুক্ত করব। খাদ্যপণ্য হিসেবে গম ও বুলিয়ানের মধ্যে হয়তো সোনাকে প্রাথমিক পণ্য হিসেবে রাখা হবে। এমসিএক্স পরামর্শক হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা শতভাগ সিএসইর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় চলবে।

প্রসঙ্গত,এমসিএক্স ২০০৩ সালে ভারতে কার্যক্রম শুরু করেছে। অন্যদিকে সিএসই দেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে। উল্লেখ্য কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে পণ্য বেচাকেনায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়মপদ্ধতি অনুসরণ করে নিজেদের মধ্যে বিপণন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। (দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/১২ এপ্রিল,২০২২)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর