thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালুর কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী

২০২২ জুলাই ০৫ ২১:০৫:১৭
এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালুর কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালু করার কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য (প্রতিদিন) বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে বলব, যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশবাসী প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং প্রত্যক্ষ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমরা একটা সুনির্দিষ্ট সময় যদি ধরে দেই যে একেক এলাকাভিত্তিক কিছুক্ষণের জন্য সেখানে বিদ্যুতের কিছুটা লোড শেডিং হবে, হঠাৎ যাবে হঠাৎ আসবে না, এতে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারবে।

আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভাচুয়ালি কর্মসূচিতে যোগ দেন।

সবার ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিল এবং সবাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তার ওপর রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ কারণে তেল, ডিজেল, ভোজ্য তেল, সারের দাম বেড়ে গেছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে। শুধু তাই না, যেসব শিপমেন্ট হয় তার ভাড়াও বেড়ে গেছে। যেটা হয়তো ৮০০ কোটি টাকায় পেতাম সেটা এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোটির বেশি লেগে যাচ্ছে। আমরা এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতাম, তার দাম বেড়ে গেছে।

দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদ্যুতে মোটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে আমাদের। বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে খরচ আমরা কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সে খরচও নিতে পারি না। কিন্তু কত ভর্তুকি আমরা দেব? যেখানে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। তাই আপনাদের অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবেন, সীমিত রাখবেন। তাতে আপনারও লাভ হবে। আপনার বিলও কম উঠবে।

অনেক উন্নত দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি এবং জলাশয়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। তাই সবক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের কিছু কিছু পদক্ষেপ এখন থেকেই যদি আমরা নেই তাহলে আগামী দিনে যে আরো সমস্যাটা দেখা দিতে পারে সে পরিস্থিতি থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারব।

ফোর্সেস গোল ২০৩০ অনুসরণ করে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না, আমরা শান্তি চাই। এক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতি মেনে চলি। তবে একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সংগঠনগুলো গড়ে তুলতে হবে। আমরা সে জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। যারা দুর্নীতির অভিযোগ এনে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সচিবকে অসম্মান করতে চেয়েছিল বা বাংলাদেশকে অসম্মান করতে চেয়েছিল, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ করে তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছি।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অনন্য জাতিসত্তার বহিঃপ্রকাশ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৫ জুলাই, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর