রিজার্ভ নিয়ে কতটা সংকটে বাংলাদেশ ?
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপদজনক মাত্রায় চলে গেছে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। তারা বলছেন, এখন রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসায় তা দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।
তবে সরকার এই পরিস্থিতিকে এখনও আশঙ্কাজনক মনে করছে না। যদিও রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং করাসহ সাশ্রয়ী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে জ্বলানি আমদানির খরচ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। এ নিয়ে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত কাদির কল্লোলের প্রতিবেদনটি দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্যও প্রচার করা হলো।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন বা চার হাজার কোটি ডলারের নীচে নেমে এসেছে।
এক বছর আগেই অর্থ্যাৎ গত বছরের জুলাই মাসেই সব রেকর্ড ভেঙে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ হয়েছিল।
রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের মজুদে চাপ বাড়ছিল।
সর্বশেষ কয়েকদিন আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয়েছে এবং সেকারণে রিজার্ভ কমেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর সদস্য।এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর এই আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া তথ্যে এখন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এই পরিমাণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিমাণ আরও কম। অন্যতম একজন অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড: দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ যা বলা হচ্ছে, সেটাও দেশের অর্থনীতির জন্য বিপদ সংকেত।
"এমুহুর্তে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার যে মজুদ আছে, তা তিন মাসের আমদানি মূল্যেরও কম হয়ে যায়। নি:সন্দেহে অর্থনীতির জন্য এই পরিমাণ মজুদ একটা বিপদ সংকেত দেয়।"
কী পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে ?
এখনই বিপদের ঝুঁকিতে পড়ছে, এমন কয়েকটি খাতও উল্লেখ করেন ড: ভট্টাচার্য।
তিনি মনে করেন, রিজার্ভ কমে যাওয়ায় প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে।
একইসাথে এটি টাকার বিনিময় মূল্যকেও দূর্বল করে দিচ্ছে। এর ফলে, অনেক ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি হবে।
ড: ভট্টাচার্য এটাও উল্লেখ করেন যে, এখনকার পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাড়ানো এবং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর উৎসাহ বাড়াতে কিছুটা সুযোগ সৃষ্টি করবে।
কিন্তু তার ধারণা, সামগ্রিক বিচারে এটি নি:সন্দেহে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা দূর্বল করবে। এছাড়া বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের ধারাকেও শ্লথ করে দেয়ার আশঙ্কা থাকে।
ইতিমধ্যেই নানামুখী প্রভাব পড়ছে আমদানির ক্ষেত্রে।
সরকার বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করছে। তবে কয়েকমাস ধরে ডলার সঙ্কটের কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতেও সমস্যায় পড়ছেন আমদানিকারকরা।
এমনকি বেসরকারি খাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি এবং সরকারিভাবে বিপিসির জ্বালানি তেল আমদানিতেও অনেক ব্যাংক ঋণপত্র বা এলসি খুলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ব্যাংকগুলো ডলারের অস্থির বাজারের কথা বলছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সেখানকার অন্যতম একজন আমদানিকারক ড: মুণাল মাহমুদ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে না পারলে বাজারে অস্থিরতা কমবে না।
"আমদানি খাতে চাপ তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে সবকিছুর দাম বাড়তি থাকবে।"
ড: মুণাল মাহমুদ তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, "আগে আমদানির এলসি খুলতে সমস্যা হতো না। এখন অনেক পণ্য আমদানির শুল্ক শতভাগ করে দিয়ে এলসি নিরুৎসাহিত করছে।"
"ফলে শতভাগ শুল্ক দিয়ে কোন পণ্য আনা সম্ভব নয়। প্রয়োজনীয় পন্যের ব্যাপারেও এখন ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না," বলেন তিনি।
'জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয়'
ফলে, কয়েকমাস ধরে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এবং এখন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডলার সংকট এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন।
সরকার কী বলছে
তবে এখন ডলারের রিজার্ভ যা আছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামাল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এখনকার রিজার্ভ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকলে সেটা কোন বিপদ সংকেত দেয় না।
"আমাদের কাছে এখন যে রিজার্ভ আছে, সেটা তিন মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। এখন আমরা বিলাসী সব পণ্য আমদানির শুল্ক বাড়িয়েছি। আশা করি, তার সুফল আমরা পাব।"
দেশে বছরে আমদানি ব্যয় ৮০ বিলিয়ন বা আট হাজার কোটি ডলার।
গত অর্থ বছর গার্মেন্টস খাতে রপ্তানি আগের সব বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এরপরও রপ্তানি হয়েছে ৪৫ বিলিয়ন বা সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। আমদানি খরচ আরো বেশি হওয়ায় ঘাটতি ছিল সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার।
আমদানি ও রপ্তানির ঘাটতি মেটানো হয় প্রবাসী শ্রমিকের পাঠানো রেমিট্যান্স দিয়ে।
করোনাভাইরাস মহামারীর দুই বছরে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড পরিমাণ। কিন্তু কয়েকমাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।
বাংলাদেশে ব্যাংক তেমন গুরুত্ব না দিলেও সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান রিজার্ভের ওপর চাপের কথা স্বীকার করেন।
তবে তিনি বলেন, চাপ থাকলেও পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সরকার মনে করছে।
"চাপতো অস্বীকার করার কোন বিষয় নেই। তবে চাপেরতো মাত্রা আছে। আমরা মনে করি, সহনীয় পর্যায়ে আছে।"
এই বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে সর্বশেষ আমদানির যে পেমেন্ট, সেটা দেয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস কোন দায় বা পেমেন্ট নাই।
"এছাড়া আমাদের রেমিট্যান্সও বাড়বে আশা করছি এবং এখন রপ্তানি খুবই ভাল আছে। তাছাড়া আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, আমরা ব্যয় সংকোচন করছি। ফলে আমরা সাসটেইন করবো," বলেন মন্ত্রী মি: মান্নান।
শিল্প মালিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
তবে তারা মনে করেন, সরকার সতর্ককতামূলক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সঙ্কট সামলানো সম্ভব হতে পারে।
ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআই এর একজন পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ বলছিলেন, "আমরা ব্যবসায়ীরা সত্যিই শঙ্কিত হচ্ছি। শঙ্কার কারণ হলো, আমরা ১২ ঘন্টা একটা কারখানা চালাই, সেখানে যখন বিদ্যুতের ঘাটতি হবে, উৎপাদনের ক্ষতি হবে।"
"তার মানে এই নয় যে আমরা হতাশ হচ্ছি।"
শঙ্কা থাকলেও হতাশ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হাসিনা নেওয়াজ বলেন, "আমাদের যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বা ডলারের ব্যাপারে, সেগুলোর সাথে অ্যাডজাস্ট করে আমরা ব্যবসায়ীরা ঠিকই টিকে যাব। সেজন্য আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।"
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এর ওপর সরাসরি প্রভাব
রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানিসহ সামগ্রিকভাবে ব্যয় কমানোর জন্য সরকার সাশ্রয়ী যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বড় প্রভাব পড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া দামের কারণে ডিজেলসহ জ্বালানি তেল এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
গ্যাস এবং ডিজেল ভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে সারাদেশে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়লেও জ্বালানি তেলের অভাবে এখন উৎপাদন কমিয়ে দিতে হচ্ছে
ছবির ক্যাপশান,
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়লেও জ্বালানি তেলের অভাবে এখন উৎপাদন কমিয়ে দিতে হচ্ছে
এই পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার এখন শীত আসার অপেক্ষার কথা বলছে।
'এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি সাময়িকীর সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি খাত আমদানি নির্ভর হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
"জ্বালানি খাত নিয়ে আমরা যা ভাবছি, পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়াবহ।"
মি: হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে যেখানে জ্বালানি আমদানির খরচ ছিল মোট আমদানির ২২শতাংশ গত বছর তা ৪৮শতাংশ হয়েছে।
"এখন যে বিদ্যুৎ সঙ্কট, আমার ধারণা, এটা আরও বাড়বে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে তেল এবং গ্যাসের দাম না কমে তাহলে সঙ্কট বাড়বে" বলেন মোল্লা আমজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, একদিকে বিশ্ববাজার চড়া অন্যদিকে ডলার সঙ্কটের কারণে তেল এবং গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না।
"এখন বিদ্যুতে সাশ্রয় করা না হলে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম অনেক বাড়াতে হবে এবং সরকারের ভর্তুকি তুলে নিতে হবে। যেটা সরকার এখন চাইছে না।
"ফলে সরকার মনে করছে লোডশেডিং করে আড়াই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে। তাতে দাম বাড়াতে হবে না," বলেন মি: হোসেন।
সাশ্রয়ী কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারকে বৈদেশিক এবং দেশের ভেতর থেকে ঋণ নিতে হবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন।
অর্থ সহায়তার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর উচ্চ পর্যায়ে একটি দল এখন ঢাকায় আলোচনা করছে।
এখনকার পরিস্থিতিতে আইএমএফ এর সাথে আলোচনাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখেন ড: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
"এ মুহুর্তে সরকার আইএমএফ এর সাথে যে আলোচনা শুরু করেছে, আমি এটাকে সঠিক মনে করি।"
ড: ভট্টাচার্যের বক্তব্য হচ্ছে, "শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা থেকে যদি দেখি, একটু আগে থেকে আইএমএফ থেকে বৈদেশিক লেনদন কাঠামোটা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগ বেশি ঘনীভূত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ঠিক নয়।"
তিনি বলেন, "যেহেতু সরকার সঠিক সময়ে এই আলোচনা শুরু করেছে, তাই সাড়ে বিলিয়ন বা ন্যূনতম দুই বিলিয়ন হোক, যে পরিমাণ অর্থ আনতে পারবে, সেটা অর্থের দিক থেকে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ হবে, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে আমাদের বৈদেশিক সহযোগীদের একটা সঙ্কেত দেয়ার ক্ষেত্রে।"
"বিদেশী সহযোগীদের প্রতি এই সংকেতের অর্থ হচ্ছে, আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে আছি," বলেন ড: ভট্টাচার্য।
বাংলাদেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতা; উদ্বেগ কী নিয়ে?
আইএমএফ এর কাছ থেকে এমুহুর্তে ঋণ সহায়তা চাওয়ার বিষয়ে দেশে নানা রকম আলোচনা চলছে।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে আইএমএফ এর কাছে কিছু ঋণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এনিয়ে তিনি আতঙ্কের কিছু দেখেন না।
এই অর্থ সহায়তা চাওয়ার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে মন্ত্রী মি: মান্নান বলেন, "আইএমএফ এর কাছে আমরা এই প্রথম চাইনি। ৯০ দশকেও ঋণ নিয়ে কাঠামোগত সংস্কার আমরা করেছিলাম, তখন অন্য সরকার ক্ষমতায় ছিল।"
"আমরা আইএমএফ এর সদস্য। এটা আমাদের অধিকার। এর মধ্যেতো আমি ভয়ভীতির কোন কিছু দেখছি না," বলেন মন্ত্রী মি: মান্নান।
একদিকে অর্থসহায়তার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে আলোচনা এবং অন্যদিকে ব্যয় কমানোর সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হবে না বলে সরকার মনে করছে।
সাময়িক সমস্যা মনে করছেন না বিশ্লেষকরা
কিন্তু অর্থনীতিবিদ ড: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য হচ্ছে, এখন সমস্যাকে মৌসুমী সমস্যা হিসাবে দেখা ঠিক হবে না।
"যে সমস্যা হচ্ছে, এটা মৌসুমী কোন সমস্যা না। এটা অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যা।"
তিনি বলেন, "মৌসুমী সমস্যা হলে আমরা চলমান একটা পদক্ষেপ নিয়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করি এবং সুসময় আবার আসার জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে, বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি। এছাড়া রেমিট্যান্স কম আসছে।"
ড: ভট্টাচার্য মনে করেন, এই কাঠামোগত সমস্যা এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন শুধু আন্তর্জাতিক বাজার বা ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপার না। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীন কাঠামোগত সমস্যা এবং এর ভেতরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের দায় দেনা পরিশোধের বিষয়ও আসবে। দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/
পাঠকের মতামত:
- গাজীপুরে আগুনে পুড়ল বাসা বাড়ির ৫৭ কক্ষ
- ট্রাম্পের নজর কাটাতে গ্রিনল্যান্ডে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে ডেনমার্ক
- ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আয় রোনালদোর, মেসি কোথায়
- কাকরাইল চার্চে দেশ-জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় প্রার্থনা
- ৪ দিন পর হলে ফিরেছেন সহ-সমন্বয়ক খালিদ
- জাহাজে সাত খুন: বাগেরহাট থেকে ইরফান গ্রেফতার
- বিচার বিভাগকে আ. লীগ ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে: জামায়াতের আমির
- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের
- চাঁদপুরে জাহাজে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা
- সংস্কার শেষে নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
- ওয়ালটন ও সেইফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের বার্ষিক ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের মেহেন্দিগঞ্জ উপশাখা উদ্বোধন
- ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, বেশি লালবাগ-তেজগাঁওয়ে
- তালাকের আবেদন আসাদের স্ত্রীর, অস্বীকার ক্রেমলিনের
- আতশবাজি ও রাহাতের সুরের মূর্ছনায় শুরু বিপিএল উন্মাদনা
- কমোডিটি ডেরিভেটিভসের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে: বিএসইসি
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- "মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ"
- ২০২৫ সালে মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
- "চেতনার কথা বলে বাংলাদেশকে অন্য দেশের কাছে ইজারা দিয়েছিল হাসিনা"
- আসুন বিভেদ ভুলে বাংলাদেশকে গড়ে তুলি: মির্জা ফখরুল
- ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য’
- ঢাকার চিঠি পেয়েছে দিল্লি, নিশ্চিত করলেন মুখপাত্র জয়সওয়াল
- মিনিস্টারের ‘কোটিপতি হোন’ অফারে লাখপতি হলেন জামালপুরের হাবিবুর রহমান
- দেশব্যাপী গ্রাহকসেবা সপ্তাহ শুরু করলো ওয়ালটন
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
- ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অর্ধকোটি গ্রাহকের মাইলফলক
- ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকে সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নবম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু বৃহস্পতিবার
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নতুন এএমডি রাফাত উল্লা খান
- ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের “রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড - ২০২৪” অর্জন
- এমডি অব দ্য ইয়ার হলেন ওয়ালটনের এস এম মাহবুবুল আলম
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪১১তম সভা অনুষ্ঠিত
- ব্রাজিলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই
- চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
- দেশের দীর্ঘতম ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা’র নিবন্ধন শুরু
- ভারত ইস্যুতে কথা বলাতেই ছাত্রলীগ আমার ওপর হামলা করে: নুর
- যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
- ২১ দিনেই প্রবাসী আয় এলো ২৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা
- বাতিল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ প্রকল্প
- উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ১৪৫৬ আগ্নেয়াস্ত্র, নিরাপত্তায় বড় হুমকি
- না ফেরার দেশে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত, বিকেলে জানাজা
- হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারের দিকে তাকিয়ে ইউজিসি
- কাজের মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ হতে চাই : ডিবি প্রধান
- ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
- ঢাকার বাতাস আজ খুবই অবস্থ্যকর
- সিভিল সার্ভিসে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা, কলমবিরতি-মানববন্ধন-সমাবেশের ঘোষণা
- ইয়েমেনে ফের যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
- সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে না, যন্ত্রগুলো কী করবে ইসি
- আগে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
- তিন বিভাগে বৃষ্টি, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা
- এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লাখ ছুঁই ছুঁই
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা
- অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক রাখতে ‘ডিটেনশন সেন্টার’ বানাবে মহারাষ্ট্র
- সাকিব-তামিম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’: বিসিবি সভাপতি
- এশিয়া কাপজয়ীদের ৩ লাখ করে পুরস্কারের ঘোষণা বিসিবির
- জনগণের সঙ্গে প্রতারণার কোনো সুযোগ আর নেই: সাকি
- গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, দেওয়া যাবে মতামত ও তথ্য
- জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে হবে না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি
- চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত
- সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন, বলছেন লিটন
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- বাড়ছে শীত বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার
- কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে করতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
- ঢাকার চিঠি পেয়েছে দিল্লি, নিশ্চিত করলেন মুখপাত্র জয়সওয়াল
- আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে অশ্বিন
- এশিয়া কাপজয়ীদের ৩ লাখ করে পুরস্কারের ঘোষণা বিসিবির
- সিভিল সার্ভিসে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা, কলমবিরতি-মানববন্ধন-সমাবেশের ঘোষণা
- ঢাকার বাতাস আজ খুবই অবস্থ্যকর
- মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার
- ২০২৫ সালে মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
- ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য’
- টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন, বলছেন লিটন
- চাল-মুরগির দাম বাড়তি, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ এখনো কম
- না ফেরার দেশে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত, বিকেলে জানাজা