thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

প্রতিবেশি দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর

২০২২ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৭:৫৬:৪৭
প্রতিবেশি দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:ভারত সফরের প্রথম দিনেই আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে এমন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

দিল্লিতে পৌঁছার পর সোমবার বিকালেপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেল আইটিসি মাওরায় এসে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। দিল্লিতে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত, নেপাল এবং ভুটান থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ আনা যেতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যে দিকটায় বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সেটা হলো কানেক্টিভিটি। এই কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ভারতের যেসব চাওয়া রয়েছে বাংলাদেশের কাছে এবং বাংলাদেশের পক্ষে যেসব পেন্ডিং ইস্যু আছে সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত, ভুটান, নেপাল- সবমিলে এই পুরো অঞ্চলের কল্যাণের জন্য যেসব প্রজেক্ট হতে পারে সেগুলো নিয়ে আমাদের প্রায়োরিটি হওয়া উচিত। বেশকিছু প্রজেক্ট দেরি হচ্ছে, যেমন- বিবিআইএন আছে, আমাদের পোর্টে নেপাল ও ভুটানের ব্যবহার করার বিষয় আছে। এই কানেক্টিভিটি শুধু যে ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি, তা নয়। এখানে আছে এনার্জি কানেক্টিভিটি, পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি।

সচিব বলেন, গ্রিড কানেক্টিভিটি যার মাধ্যমে আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে পারি। একইভাবে নেপাল-ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনা। ভারতেরও এক অংশ থেকে আরেক অংশে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার যে বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তার সঙ্গে সহমত হয়েছেন।

এছাড়া পানির যে ইস্যুগুলো আছে, সেগুলোতে কিভাবে আরও অগ্রগতি আনা যায় সে বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো সমস্যা হবে কি না সে নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি থাকলে দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত) সুবিধার ভিত্তিতে কিভাবে তা আমদানি করা যায় সে নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

হোটেলে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানী। এরপর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ভবনে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন। এই নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর