thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

পরাজয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করলো টাইগাররা

২০২২ অক্টোবর ০৭ ১৫:৪০:১২
পরাজয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করলো টাইগাররা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:আরো একবার হতাশায় সমাপ্ত হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরিবর্তনের শুরুতেও সেই পরাজয়টাই স্থায়ী হলো টাইগারদের। ইয়াসির আলী রাব্বি শেষ ওভারে ২০ রান নিলেও তা দিল না বাংলাদেশের জন্য। তার দৃঢ় ব্যাটিং করলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা হতাশায় ডুবিয়েছে টাইগারদের কে। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করলো টাইগাররা।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই মাঠে নামে বাংলাদেশ। তাতে জয়টাও অধরা রয়ে গেল টাইগারদের জন্য, তাতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করলো নুরুল হাসান সোহানের দল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ হারিয়ে বসে দুই উইকেট। বিদায় নেন দুই ওপেনার, এদিনও ব্যর্থ ছিলেন সাব্বির রহমান। এরপর অবশ্য লিটন এবং আফিফ মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বাংলাদেশকে যদিও বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নটা টিকেছিল লিটনের ওপর। ২৬ বলে ৩৫ রান করে লিটন বিদায় নিলে বাংলাদেশের স্বপ্নটা যেন শেষ হয়ে যায় সেখানেই। শেষদিকে ইয়াসির আলী রাব্বির ইনিংসটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসের। শেষ ওভারে ২০ রান নেন ইয়াসির। ২১ বলে ৪১ রান আসে তার ব্যাটে।

আর কেউ লড়াই করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে। তাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান জয় তুলে নেয় *২১* রানে। পরাজয়ের পর হতাশ ছিলেন টাইগার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। মিডল ওভারের ব্যর্থতাকেই পরাজয়ের কারণ হিসেবে মনে করেছেন তিনি।

হারের পর তিনি বলেন, হতাশাজনক! উইকেট অনেক ভাল ছিল। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বোলাররা অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে তবে বেশ কিছু জায়গায় আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে। লিটন, আফিফ ও ইয়াসির অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, তবে মাঝে আমরা বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলেছি।

পরবর্তী ৯ তারিখ 2য় ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের।

এর আগে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিং করার জন্য স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা বেশ ভাল করেছিল পাকিস্তান, যদিও ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন বাবর আজম। শুরুতেই মোহাম্মদ রিজওয়ান কে রান আউট করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন সাব্বির। এটাই অবশ্য কাল হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্যে।

যদিও ব্রেকথ্রুর জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে, মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরিয়ে দেন বাবর আজমকে। ২৫ বলে ২২ রান করেন তিনি। এরপর অবশ্য পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন রিজওয়ান এবং শান মাসুদ। তবে নাসুম আহমেদ ফিরিয়ে দেন শান মাসুদ কে, ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি।

পাকিস্তানের তখন ভরসার প্রতীক হয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২১তম অর্ধশতক। সবশেষ ৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই নিয়ে ৬ বার তিনি পেরিয়ে গেলেন অর্ধশতকের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত রিজওয়ানের ৭৮ রানের উপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ এবং নাসুম আহমেদ। ৪ ওভার বোলিং করে ২৫ রান খরচে ২ উইকেট তুলে নেন তাসকিন, এবং ৪ ওভার বোলিং করে ২২ রান খরচে ১ উইকেট তুলে নেন নাসুম।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

ক্রিকেট এর সর্বশেষ খবর

ক্রিকেট - এর সব খবর