thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ বন্ধে পুতিনকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আহবান

২০২৩ মার্চ ২১ ১৮:১৪:৪২
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ বন্ধে পুতিনকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আহবান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক:ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপ দিতে সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার পুতিন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটিই চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম আনুষ্ঠানিক রাশিয়া সফর।

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি শিয়ের প্রতি পুতিনকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি ইউক্রেন থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারে চাপ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

জন কিরবি বলেন, শুধুযুদ্ধবিরতিই যথেষ্ট নয়। আমরা আশা করি, যুদ্ধাপরাধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট শি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ইউক্রেনের শহর, হাসপাতাল ও স্কুলে বোমা নিক্ষেপ বন্ধে এবং সৈন্য প্রত্যাহারে চাপ দেবেন।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন সংকট সমাধানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ১২ দফা পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন। চীনা প্রেসিডেন্ট এখন মস্কো সফরে রয়েছেন।

এই সফরের সময়েই পুতিন তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

শি জিনপিংকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে পুতিন বলেন, আলোচনা প্রক্রিয়ার জন্য আমরা উন্মুক্ত। শি জিনপিংও পুতিনকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলেই সম্বোধন করেন।

যুদ্ধ শেষ করতে গেল মাসে চীন একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে। শত্রুতা বন্ধ করা এবং শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করা- চীনের পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। আন্তর্জাতিকভাবে এটি ইউক্রেনে রাশিয়ায়র আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

রাশিয়ার এই সামরিক অভিযান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি করেছে। দাবি করা হয়, ৮.৮ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হযয়েছে আরও লক্ষাধিক মানুষ।

সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়ে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, ইউক্রেন থেকে আসা হুমকির প্রতিক্রিয়ায় সেখানে সামরিক অভিযান চালানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেন দখল করার কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই।

পুতিনের অভিযোগ, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত রাখার জন্য রাশিয়ার দাবি উপেক্ষা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা।

পুতিনের দাবি ছিল, ইউক্রেনের দোনবাসের প্রধানত রুশ-ভাষী অঞ্চলের জনগণকে রক্ষা করার জন্যই সামরিক অভিযান। তার মতে দোনবাসের রুশ-ভাষী অঞ্চলের জনগণ আট বছর ধরে কিয়েভ শাসনে অপমানিত ও গণহত্যার শিকার হচ্ছিল।

সামরিক অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও এর ফল ভালো হয়নি ইউরোপের জন্য। তাছাড়া সে সময় ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমদানি নির্ভর দেশগুলো সমস্যার মুখে পড়ে। পরে অবশ্য বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ শস্য রপ্তানি শুরু করে।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর