thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

সবজি ও ব্রয়লারে  স্বস্তি, উত্তাপ মাছ-মসলায়

২০২৩ জুন ০৯ ১৪:২৪:১৭
সবজি ও ব্রয়লারে  স্বস্তি, উত্তাপ মাছ-মসলায়

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:অস্থির হয়ে ওঠা সবজি ও ব্রয়লার মুরগীর বাজারে স্বস্তি এসেছে। কেজিতে দাম কমেছে ১০ থেকে ৪০ টাকা হারে। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও অনেক বাজারে কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। তবে মাছের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে বরফ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মাছের সংরক্ষণ খরচ বেড়েছে। এতে প্রভাব পড়েছে দামে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে বাজার দরের এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে হুট করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরও কম। ভারতীয় এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

সবজির বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স। এক সপ্তাহ আগেও এই দুই সবজি বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে সজনে ডাটা, কাকরোল, বরবটি কিনতে। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। কিছুদিন আগেও বাজারে এক কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা দরে। সে দাম কমেনি। বরং বেড়েছে। আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

পেঁয়াজের দাম কমলেও বাজারে আদার দাম কমছে না। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি করা আদার দাম বেশি। মসলার বাজারে আরও কিছু পণ্যের দামে ঊর্ধ্বমুখী। জিরার কেজি ৯০০ টাকা। মাসখানেক আগেও জিরার কেজি ছিল ৬০০ টাকা।

অন্যদিকে মুদি বাজারে কোথাও কোথাও প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। বড় বাজারগুলোতে খুচরা ব্যবসায়ীরা খোলা চিনি বিক্রি করছেন ১৩৫ টাকা দরে। পাড়া-মহল্লার বেশিরভাগ মুদি দোকানে চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। যেখানে সরকার খুচরাপর্যায়ে খোলা চিনির কেজি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দর ১২৫ টাকা নিধার্রণ করে দিয়েছে।

কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। বাজারভেদে ২০০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে ব্রয়লার। ব্রয়লারের সঙ্গে সোনালি জাতের মুরগির দামও কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ৩০০ টাকার আশপাশে ছিল।

তবে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামে তেমন কমেনি। বড় বাজারে ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে মাংসের বাজারে আগের অবস্থাতেই আছে গরুর মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে। কোথাও কোথাও এক কেজি গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৯০০ টাকা পর্যন্ত৷

মাছের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোডশেডিংয়ে বরফের দাম বেড়েছে। এ কারণে সব ধরনের মাছ কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তেলাপিয়া ও পাঙাসের দামও বেড়েছে। এ দুই ধরনের মাছের দাম এখন প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের রুইয়ের দাম প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। এ মাছের দামও গত সপ্তাহের চেয়ে এখন কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া পাবদা, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের যে দাম, তা নিম্ন-মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে চলে গেছে। এসব মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর