thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

নিত্যপণ্যের দাম চড়া,অস্বস্তিতে  ক্রেতারা 

২০২৩ জুলাই ১৪ ১৬:৫৭:১০
নিত্যপণ্যের দাম চড়া,অস্বস্তিতে  ক্রেতারা 

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা বাজারে এসে অস্বস্তিতে পড়ছেন। ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ।

কাঁচা মরিচ, আদা, পেঁয়াজ, আলু, ভোজ্যতেল, চিনি, সবজিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। এসব পণ্যের দাম কিছুতেই সাধারণ মানুষের নাগালে আসছে না। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

বাজারে প্রতিকেজি ভালো মানের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। ঈদের আগে একই আলুর দাম ছিল প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। পাশাপাশি গেল সপ্তাহে কালো গোলবেগুনের দামও ছিল বাড়তি। এ সপ্তাহে ভালো মানের কালো গোলবেগুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে যা ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দুদিন আগেও যে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ২৪০ টাকা কেজি, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে ঘিরে কেজিপ্রতি মরিচের দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা কমানোর ঘোষণা আসে, যা পরের দিন বুধবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু, বাজারে এখনও ভোজ্যতেলের দাম কমেনি। আগের বাড়তি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনও নতুন দামের তেল বাজারে আসেনি। কোম্পানি আরও কদিন পর সেগুলো বাজারে ছাড়বে। এখনও পুরোনো তেল বিক্রি করছি, যে কারণে আগের দাম রাখতে হচ্ছে।

এছাড়া, খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে এ পণ্যটির দাম আরও বেড়ে এখন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হচ্ছে। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আদার দাম ৩০০ টাকা কেজির নিচে নামছে না। সবজি বিক্রেতা মামুন হোসেন বলেন, গেল দুদিন ঢাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে সবজির গাড়ি কম এসেছে। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনি, সেই অনুযায়ী বিক্রি করি। বেশি লাভ করি না। কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, সব পণ্যের দামই আমাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সংসার চালাতে আমাদের মতো মানুষের খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাজারে কিছুটা কমেছে মাছের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জাতের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে।কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দামবাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যেটি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকা কেজিতে। আর বর্তমানে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ও প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। দাম বাড়েনি ডিমেরও। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪৪ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি দেশি মাগুর ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার ৬০০ টাকা ও শোল ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি টেংরা ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা, পাবদা ৭০০ থেকে ৮৫০, চিংড়ি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৭০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর