thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১,  ১৭ জমাদিউস সানি 1446

হুমায়ূননামা

২০১৩ নভেম্বর ১৩ ০৮:০৯:২০
হুমায়ূননামা

দি রিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর। এই দিনটি অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ হতে পারতো। যদি না এই দিনে জন্ম নিতেন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। কালের পরিক্রমায় পার হয়ে গেছে ৬৫ বছর।

বেঁচে থাকলে তিনি অন্য সবার সঙ্গে জন্মদিনটি পালন করতে পারতেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নন্দিত এই কথাসাহিত্যিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ৬৫তম জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে দি রিপোর্ট২৪ ডটকম।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন শামসুর রহমান কাজল। যিনি সবার পরিচিত হুমায়ূন আহমেদ। ছোটবেলায় পিতা ফয়জুর রহমান আহমদের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছিলা তার নাম। পরে তিনি নিজেই নামটি পরিবর্তন করে ফেলেন। বাবা ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন। রয়ে যান তার স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ, বড় ছেলে হুমায়ূন আহমেদ, মেজো ছেলে কল্পবিজ্ঞান লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ছোট ছেলে রম্যলেখক, কার্টুনিস্ট ও উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব।

হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অতুলনীয় জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তিনি ঢাকার অদূরে গাজীপুরের নূহাশ পল্লীতে অন্তরাল জীবন-যাপন করেন। মাঝে মাঝে ঢাকায় আসতেন আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনাদি সারতে। তার বেশ কিছু বই পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আর বেশকিছু স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। লেখালেখি এবং নাটক-চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সাহিত্যিক থেকে জনপ্রিয় নাট্যকার, পরিচালক ও চলচ্চিত্রকারের তকমা গায়ে মাখান।

হিমু, মিসির আলী, শুভ্র-তার সৃষ্ট সাহিত্যিক চরিত্র। এগুলো এতোটাই জনপ্রিয় হয় যে, হুমায়ূন আহমেদ চলে যান খ্যাতির শীর্ষে। মধ্যবিত্ত জীবনের রোজনামচা নিয়ে তিনি যেমন সাহিত্য রচনা করেছেন। তেমনি নির্মাণ করেছেন নাটক ও চলচ্চিত্র। প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। আর তার শেষ উপন্যাস দেয়াল। শেষ চলচ্চিত্র ঘেটুপুত্র কমলা। তার প্রতিটি সৃষ্টিকর্মই ভক্ত-দর্শকদের বিনোদন দিয়েছে।

জোছনা ও জননীর গল্প, কুটু মিয়া, মধ্যাহ্ন, কৃষ্ণপক্ষ, গৌরিপুর জংশন, ময়ুরাক্ষী, হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম, সে আসে ধীরে, অন্যভুবন, আমিই মিসির আলীসহ অনেক পাঠকপ্রিয় সাহিত্য রচনা করেছেন। এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাত, অয়োময়সহ বহু নাটক নির্মাণ করেও আনন্দ দিয়েছেন দর্শকদের।

কথার জাদুকর বলে খ্যাত হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর রয়েছে ভিন্ন রকমের এক কথা বলার ধরন। ‘আপনার কি বিবাহ হয়েছে?’, অবশ্যই যাবো, কেন যাবো না?’, ‘কী আচানক কারবার!’ ‘তু রাজাকার’ ‘আপনাকে চড় দেই?’, ‘বড়ই সৌন্দর্য্য’, ‘সুখে থাকো’সহ নানান ধরনের সংলাপ তিনি তার লেখায় ব্যবহার করেছেন বা চরিত্রে উপস্থাপন করেছেন। তাই তিনি হয়ে উঠেছেন সবার প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ।

(দিরিপোর্ট২৪/আইএফ/এইচএসএম/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর